নিয়ম করে ত্বকের যত্ন নেওয়া হলেও কনুইয়ের দিকে মন দেন না অনেকেই। ফলে দেহের এই অংশটি হয়ে থাকে কালো। অতিরিক্ত শুষ্কতা আর কালো ছোপ দাগের জন্য পরতে পারেন না পছন্দের পোশাক।

দেহের অন্যান্য অংশের তুলনায় কনুইয়ের ত্বক হয় বেশি পুরু। ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করলেও তা তেমন একটা কাজ করে না। ফলে দ্রুত এই অংশটি হয়ে পড়ে শুষ্ক। কনুইয়ে মেলানিন বেশি হওয়ায় কালচে ভাবও বেশি দেখা যায়। কিছু ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে কনুই থেকে কালচে ভাব কমিয়ে ফেলতে পারেন। এমন কিছু উপায় জানুন।

লেবুর রস

প্রাকৃতিক এই উপাদানে রয়েছে ব্লিচিং এফেক্ট। কনুইয়ের কালো ছোপ উঠাতে সাহায্য করে এটি। কীভাবে ব্যবহার করবেন? একটি লেবুর রস নিংড়ে নিন। এর সঙ্গে সামান্য চিনি মেশান। এবার এই মিশ্রণ কনুইয়ে ভালো করে ঘষুন। এতে কালো দাগ তো যাবেই, দূর হবে ডেড সেলও। আধা ঘণ্টা পর ঘন ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

দুধ ও বেকিং সোডা

কনুইয়ের কালো দাগ দূর করতে দুধ আর বেকিং সোডাও ভালো কাজ করে। দুটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণ কনুইয়ে মেয়ে চক্রাকারে ম্যাসেজ করে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে কালো দাগ কমবে। দুধের ফ্যাট কনুইয়ের শুষ্কতাও কমাবে।

শসার রস

ঘরে থাকা শসাও এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। একটা শসা একটু মোটা করে কেটে নিন। কনুইয়ে মিনিট দশেক ঘষতে থাকুন। ৫ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। চাইলে শসা আর লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করেও ব্যবহার করতে পারেন।

চিনি ও অলিভ অয়েল

অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল দিয়ে এই প্যাক তৈরি করতে পারেন। একটি বাটিতে সমপরিমাণ চিনি ও অলিভ অয়েল নিন। এই মিশ্রণ কনুইয়ে লাগিয়ে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। কালো দাগ ও শুষ্কতা কমবে।

তবে কনুইয়ের কালচেভাব দূর করার জন্য কেবল এসব প্যাক ব্যবহার করা যথেষ্ট নয়। প্রতিদিন গোসলের পর ভালো করে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও একই কাজ করুন। পেট্রোলিয়াম জেলি, নারিকেল তেল, কোকো বা শিয়া বাটার ময়শ্চারাইজার হিসেবে খুবই ভালো। কনুই পরিষ্কার এবং কালচে দাগ মুক্ত রাখতে এগুলো ব্যবহার করুন। একই উপায় কাজে লাগিয়ে হাঁটুর কালো দাগও দূর করতে পারেন।

যাযাদি/ এস