শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
 চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর

খালেদা জিয়া ১৯৯১'র ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঘুমিয়ে ছিলেন : প্রধানমন্ত্রী

যাযাদি ডেস্ক
  ২২ মার্চ ২০২৩, ১১:৫২
আপডেট  : ২২ মার্চ ২০২৩, ১১:৫৩
ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় কোনো মানুষ ঠিকানাহীন থাকবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না সে ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। আমরা শুধু ঘর-বাড়িই যে তৈরি করে দিচ্ছি তা কিন্তু নয়, সেই সঙ্গে পানির ব্যবস্থা, সুপেয় পানি, বিদ্যুতের ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঋণ দেওয়া হচ্ছে। তারা যে কাজ করতে চায় সে কাজ যেন তারা করতে পারে আমরা সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২২ মার্চ) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যেই আমাদের এই পদক্ষেপের ফলে ১৫৯টি উপজেলা সম্পূর্ণ ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত হয়ে গেছে। এর আগে পঞ্চগড় ছাড়াও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ ৫২টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত করেছি। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের একটি উপজেলাও বাকি থাকবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯১ সালের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ঘুমিয়ে ছিলেন, তিনি ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কিছু জানতেন না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১-এর ঘূর্ণিঝড় আসার সময় যে ব্যবস্থা নিতে হবে, সে সময় বিএনপি সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যেহেতু আমাদের সংগঠন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে, আমি প্রথমে ফোন পাই। আমাদের চট্টগ্রাম বিশেষ করে দক্ষিণের উপকূলীয় অঞ্চল পুরোপুরি তছনছ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ প্রথম ছুটে গিয়েছিল মানুষের পাশে। লাখ লাখ মানুষ মারা যায়, আমরা নিজের চোখে দেখেছি। আমরা ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে দেখি মানুষ এবং পশু-পাখির লাশ একসঙ্গে ভাসছে। আমরা সেখানে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে মানুষের পাশে দাঁড়াই, তাদের সাহায্য করি। তখনকার যে সরকার, আমরা যখন সংসদে বিষয়টা তুললাম, তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া, তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন, জানেন না তিনি। ঘূর্ণিঝড়ে যে এতো বড় ক্ষতি হয়ে গেছে তাও তারা জানতেন না।

তিনি আরও বলেন, বিমান বাহিনীর, নৌ বাহিনীর সব কিছু চট্টগ্রামে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। রাস্তা-ঘাট বন্ধ ছিল, তারপরও আমরা ছুটে গিয়েছিলাম, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সেসময় অনেক মানুষ উদবাস্তু হয়ে কক্সবাজারে বস্তিতে থাকতো। আমরা তাদের পুনর্বাসন করেছি।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা আরও যদি কেউ ভূমিহীন, গৃহহীন থাকে তার তালিকা করবেন। আমরা তাদেরও ঘর করে দেব।

অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে আরও যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে