ঈদুল আজহার ছুটিতে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করেছেন ১৫ হাজার ৬১৯ জন, যাদের অভিযোগের ভিত্তিতে জরুরি সহায়তা দেয় পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিস।
এ সময় ৯৯৯-এ মারামারির অভিযোগ আসে সবচেয়ে বেশি। এ সংখ্যা ৪ হাজার ১০২টি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, ৫-১৩ জুন ৯৯৯-এ আসা কলের ভিত্তিতে জরুরি পুলিশি সহায়তা দেওয়া হয় ১৩ হাজার ৮৩১ জন কলারকে। একই সময়ে ৯৯৩ জনকে অ্যাম্বুলেন্স সেবা এবং ৭৯৫ জনকে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা দেওয়া হয়।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশজুড়ে যত্রতত্র পশুর হাট, রাস্তা ও নৌপথে পশু পরিবহন, পশু জবাই ও জনসমাগমের কারণে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলার শঙ্কা থাকলেও ৯৯৯-এর কার্যকর মনিটরিং ও তৎপরতায় এসব সংকট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ঈদকে ঘিরে যেসব অপরাধ বা বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এসেছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল পশুর হাটে ও রাস্তায় চাঁদাবাজি, জোর করে পশু অন্য হাটে নিয়ে যাওয়া, অজ্ঞান-মলম পার্টির উপদ্রব এবং অতিরিক্ত শব্দদূষণ। এ ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে ৯৯৯ থেকে মোট ১ হাজার ২৭১ জন কলার সহায়তা পান।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ঈদের সময় মারামারির অভিযোগ এসেছে সবচেয়ে বেশি। ৪ হাজার ১০২টি মারামারির ঘটনায় সহায়তা দেওয়া হয়।
এ ছাড়া কাউকে আটকে রাখা-সংক্রান্ত অভিযোগে সাড়া দেওয়া হয় ১ হাজার ২১৪ জন কলারকে। পাশাপাশি জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সেবা পান ১ হাজার ৬২ এবং বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে সহায়তা দেওয়া হয় ৯৯২ জনকে।
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঈদে মানুষের চলাচল, পশু কেনাবেচা, বড় আকারের জনসমাগম—সবকিছু মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ৯৯৯-এ আসা প্রতিটি কল গুরুত্বসহকারে যাচাই করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বিশেষ করে ঈদের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি চালানো হয়।