খুলনার ডুমুরিয়ায় নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের পুনর্বাসনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে।
এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এরই প্রতিবাদে ১৩ জুন রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে থুকড়া মাছ বাজার চত্বরে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সভায় বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে আ’লীগের পলাতক নেতাদের পুনর্বাসনের অভিযোগ তোলেন বক্তারা। পরে বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান কিসলু। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য শেখ সরোয়ার হোসেন।
এ সময় তিনি বলেন, ঈদ পুনর্মিলনীর নামে আ’লীগের পলাতক নেতাদের নিয়ে যে মিলন মেলার আয়োজন করা হয়েছে তাতে স্পষ্ট যে বিএনপির কতিপয় কিছু দুষ্টু লোক আ’লীগের অসৎ নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করছে এবং তাদেরকে পুর্নবাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুন (বুধবার) রঘুনাথপুর বিএনপির দুই নেতা জিএম আলমগীর হোসেন ও আব্দুর রব আকুঞ্জির আহবানে থুকড়া বাজারে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের এই মিলন মেলা। অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা-কর্মীর তেমন দেখা না গেলেও ভরপুর উপস্থিতি ছিলো আ’লীগ নেতৃবৃন্দের। ঈদ পুনর্মিলনীর নামে আ’লীগ নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসনের চেষ্টার ঘটনায় গোটা উপজেলা জুড়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে দলের মধ্যে।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা জিএম আলমগীর হোসেন জানান, ‘সেদিনের থুকড়ার অনুষ্ঠানটি কোন রাজনৈতিক প্রোগ্রাম ছিল না। আমি থুকড়া কাছারি বাড়ি আরআরজিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদ্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। তাই সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষকদেরকে সংবর্ধনা দিতে এবং শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে অনুষ্ঠানে আ’লীগের কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। উন্মুক্ত জায়গায় হয়েছে তাই স্থানীয় হিসেবে তারা (আ’লীগ নেতাকর্মী) এসেছে।’
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আব্দুর রব আকুঞ্জি জানান, ‘মূলত অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন ডা. আলমগীর। তিনি সম্পর্কে আমার বন্ধু হন। আমাকে বলেছিলেন ঈদ উপলক্ষে খাওয়া-দাওয়া হবে। সেই দাওয়াতে সেখানে যাই। যেয়ে দেখি শিক্ষকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হচ্ছে। সেখানে আ’লীগ ও বিএনপির অনেক লোকজন ছিল। আমি ওই অনুষ্ঠানে কোন বক্তব্যও দেইনি।’