১৯৭৮ সালে চাঁদপুরের মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। শিশু বয়স কেটেছে তার পারিবারিক ও ধর্মীয় অপ্রতিরোধ্য পরিবেশে। মাদ্রাসা শিক্ষার পর ইচ্ছা ছিল চারুকলায় ভর্তি হয়ে শিল্প শিক্ষায় জীবনকে গড়ে তোলার। অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ফারসি ভাষা ও সংস্কৃতে স্নাতক শেষ করে গড়ে তুলেন নিজস্ব প্রতিষ্টান "ক্যানভাস বাংলাদেশ” । দেখতে চেয়েছেন সমস্ত দেশকে একটি সুন্দর পটে । ছোট বেলা থেকেই স্বাধীনচেতা , নিশ্চুপ মুবাশ্বির নিজের মতো ছবি আঁকেন। ফলে একটা নিজস্ব জগৎ ও অবয়ব সৃষ্টি হয় তার শিল্প চর্চায়। শিল্পী তাজউদ্দীনের মাধ্যমে আমার পরিচয় ঘটে মুবাশ্বির এর সাথে। খুঁজে পেলাম একজন নিজ ভুবনে মানুষিক উদ্দীপনার বিমূর্ত ধারায় অবগাহন করার শিল্পী মুবাশ্শির মজুমদার কে।
এক সময় মুবাশ্শির মজুমদার বাংলা বর্ণের ব্যবহারকে ভিন্ন ভাবে দেখা শুরুকরেন যা তার মানুষিক অবস্থার বহি প্রকাশ ও জৈব রূপ এবং শিশুতোষ রেখায় রূপ লাভ করে। এ ভাবে গত দুই দশকের ও বেশি সময় ধরেই মুবাশ্শির তার সৃষ্টি জগতে নিমজ্জিত হয়ে আছেন। সিমেন্ট , কাদামাটি , প্রাকৃতিক রং , গাম, ছাপাই কালী প্রভৃতি উপকরণ তিনি ব্যবহার করেন তার সৃষ্টিতে। শিল্পী মোবাশ্শিরের কাজে রং , রেখা , গঠনে এক নিজস্ব মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ যা অনানুষ্ঠাটিনিক ব্যাক্তিগত বিমূর্ত অভিব্যাক্তি ও সর্বনিম্মে যা না হলেই নয় তা প্রকাশ পায়। তার কাজে একধরণের মনস্তাত্ত্বিক হস্তলিপির অবয়ব কে খুঁজে পাওয়া যায়। মুবাশ্শির তার ধুসুর রং , পোড়া আম্বর ও কালো রঙের বিষন্নতায় আত্মদর্শনের অনুভূতিকে জাগিয়ে তুলে পাশা পাশি দর্শকের মনে কৌতুহলের জিজ্ঞাসাও সৃষ্টি করে করেন । আমাদের মাঝে শিল্পী মুবাশশির মজুমদার আরো উদ্দ্রিক হয়ে উঠবেন তার নতুন সৃষ্টি নিয়ে এটাই আমাদের বাসনা।
যাযাদি/এস এস