কক্সবাজারের চকরিয়ায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক দখলবাজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মাঝে বড় ধরনের সংঘাতের আশংখা রয়েছে। যেকোন মুহুর্তে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয় লোকজন ধারণা করছেন।
থানা পুলিশের বাঁধাও তারা মানছেনা বলে জমির মালিক মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন অভিযোগ করেন।
জানা যায়, চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড পুকপুকুরিয়া পাড়া এলাকার পুকপুকুরিয়া মৌজার বিএস ৯০ নম্বর খতিয়ানের বিএস ৪১৩ দাগের ৫ শতক জমি জনৈক গোলাম ছোবহানের ওয়ারিশ থেকে ২০১২ সালে ৬৬৬৪ নম্বর রেজিস্ট্রিযুক্ত কবলামূলে স্থানীয় শাহাবউদ্দিন ক্রয় করে ভোগ দখলে রয়েছেন। গত ৩ মে একই এলাকার এজাহার আহমদের ছেলে আব্বাস উদ্দিনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ও লাটিয়াল বাহিনী নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে। এসময় বাধা দিলে জমির মালিক শাহাবউদ্দিনের বাঁধা উপেক্ষা করে বিবাদীরা লোকজন দিয়ে নির্মাণ কাজ চালানোর চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় ৫ মে শাহাবউদ্দিন বাদী হয়ে আব্বাছ উদ্দিন ও তার দুই মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার, মরিয়ম খাতুন ও নুরুল আমিনের স্ত্রী মতিজা বেগম এবং অজ্ঞাত আরো ১২-১৫জনকে বিবাদী করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এমআর মামলা দায়ের করেন। এই্ মামলায় আদালতের বিচারক বিবাদী পক্ষকে দখল থেকে বিরত থেকে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু বিবাদী পক্ষ সস্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় তারা দখল করে স্থাপনা নির্মানের চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে বাঁধা দিতে গেলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের শংকা রয়েছে বলে বাদী পক্ষ দাবী করেন।
এদিকে বিরোধীয় জমিতে ১৪৪ ধারা জারি রাখতে দায়িত্বপ্রাপ্ত চকরিয়া থানার এএসআই পারভেজ মাহমুদ বলেন, বিবাদী পক্ষকে বিরোধীয় জমিতে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এরা আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে বাদী মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন বলেন, আব্বাছ উদ্দিনের নামে ক্রয়কৃত দলিলে উল্লেখিত জমির তফসীলে খতিয়ান, দাগ আলাদা ও অন্য এলাকায়। এই জমির সাথে উক্ত দলিলের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
বিবাদী পক্ষের ইয়াছমিন আক্তার বলেন, এই জমিটি আমাদের ভোগ দখলীয়।
চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিরোধীয় জায়গায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ নির্মাণ কাজ চালালে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।