গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপি নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে আজ রাজধানী ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে জনসমাবেশের। সমাবেশ উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দুপুরের পর নেতাকর্মীদের ঢল নামে নয়া পল্টনের সমাবেশ স্থলে। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে দুপুরের পর সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে ঢাকা মহানগরী উত্তর-দক্ষিণের নেতারা ছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ চলাকালে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত থাকে পুরো এলাকা।
জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দী নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
আজ শুক্রবার (১০ মে) দুপুরের পর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন থানা-ওয়ার্ড থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। প্রায় ছয় মাস পরে সমাবেশে অংশ নিতে পেরে উজ্জীবিত বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে তারা সমাবেশে হাজির হন।
সমাবেশে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থেকে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসেন। এ সময় তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে সমাবেশস্থল মুখরিত করে তোলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানিয়েছেন, ১৯ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী আজ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) সমাবেশের অনুমতি নিতে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু।
যাযাদি/ এস