বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির যে চিত্র মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো বক্তব্য দেয়নি সরকার। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা মার্কিন প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একই সঙ্গে এই প্রতিবেদন ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলে মনে করছেন তারা।
দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এটি একটি মনগড়া রিপোর্ট এবং এখানে সত্যের হার খুবই কম’।
প্রতিবেদনে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে মার্কিন সরকারের কাছে ‘তথ্য-প্রমাণ’ চাওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে তারা প্রায়ই এ ধরনের অভিযোগ তোলে, যার বেশিরভাগই অসত্য’।
এসব অভিযোগের বিষয়ে তাদের কাছে তথ্য-প্রমাণ চাওয়া হবে।’
এমন প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়ার সমালোচনা করে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘অভিযোগগুলোর পক্ষে তাদের কাছে যদি সত্যিই তথ্য-প্রমাণ থেকে থাকে, তাহলে তারা বাংলাদেশ সরকারকে সেটি জানাননি কেন? তাদের তো উচিত ছিল বাংলাদেশ সরকারের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানানো এবং সমস্যা সমাধানে সাহায্য করা।’মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উল্টো প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিবিসি বাংলাকে আও বলেন, ‘তাদের ওখানেও কি পরিস্থিতি খুব ভালো? প্রায়ই তো শোনা যায়, পুলিশের গুলি ও নির্যাতনে মানুষ মারা যাচ্ছে। আবার অনেকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করছে, বর্ণবাদী সহিংসতা হচ্ছে।’
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির যে চিত্র ফুটে উঠেছে, দীর্ঘমেয়াদে সেটি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনাÑ সে বিষয়ে বিবিসি বাংলাকে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি এতটা খারাপ না যে, নিষেধাজ্ঞা আসবে। এ রকম নিষেধাজ্ঞার কথা আমরা আগেও অনেকবার শুনেছি এবং দেখা গেছে, সরকারবিরোধীরাই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সেগুলো ছড়িয়েছে।’
যাযাদি/ এস