নতুন কর্মসূচি ঠিক করতে আবার যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার প্রথম দিনে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকাল ৪টা থেকে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, পিপলস পার্টি, এনডিএম এবং গণফোরামের নেতাদের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ নেতাদের বৈঠক হয়েছে।
সূত্র জানায়, এবারও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক করবে না বিএনপি।
বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই বৈঠকে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি কিভাবে জোরদার করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রতিটি বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়া দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুও ছিলেন। বাম গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের বৈঠকে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির হারুন আল রশিদ, সাম্যবাদী দলের হারুন চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি সামসুল আলম ও সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আবুল কালাম আজাদ ছিলেন। এডিএমের বৈঠকে ছিলেন দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, মোমিনুল আমিন, ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, শাহেদুল আজম, জাবেদুর রহমান জনি ও হুমায়ুন পারভেজ।
গণফোরামের মহাসচিব অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারি নেতৃত্বে দুই দলের বৈঠকে ছিলেন গণফোরামের জগলুর হায়দার আফ্রিক, ফজলুল হক সরকার, মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, পিপলস পার্টির এআর জাফর উল্লাহ চৌধুরী, হারুনুর রশিদ, আবু তালেব সরদার ও মোশাররফ হোসেন ছিলেন।
বৈঠকের পর কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘প্রত্যেকটি দেশে পিছিয়ে পড়া লোকদের জন্য কিছু কোটা থাকে। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের তৃতীয় জেনারেশন যদি তারা মনে করে যদি পিছিয়ে পড়া লোক তাহলে কিছু বলার নেই। তারপরেও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সন্মান রেখে ছোটখাটো কোটা রাখা যেতে পারে।’
ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় কোটা বিরোধীদের ওপর পুলিশের চড়াও হওয়ার কঠোর সমালোচনা করে খসরু বলেন, কোটা আন্দোলনকারীদের দাবি ‘যৌক্তিক ও গণতান্ত্রিক’।
যাযাদি/ এস