রাজনীতি

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ড. এস.এম. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, গণতন্ত্র মনে থাকতে হবে, গণতন্ত্র জাতীয় জীবনেও থাকতে হবে। গণতন্ত্র থাকলে কাউকে পালাতে হয় না।

গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কোন প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় না। যে শাসক গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হন, জনগণকে যারা বিশ্বাস করেন, জনগনকে যারা তোয়াক্কা করে, জনগণ তাদের সম্পদ হয়ে যায়, তাদের পালাতে হয় না। যেমন আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পালায়নি। ১/১১ এর সময় তার উপরে চাপ ছিল। তাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি দেশ ছেড়ে চলে যায়নি। রোববার বিকেলে গোপালগঞ্জের কোপালীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধানকে উদ্দেশ্যে করে ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সংস্কারের কথা বলে আর কালক্ষেপন করবেন না। দ্রæত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। আজ (০২ জুন) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাথে আপনার সংলাম অনুষ্ঠিত হবে। আশাকরি এই সংলাপের পর তিনি নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।

আমরা সেই সংস্কার চাই যাতে জনগন ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার পরে কেউ যেন নিজেকে মোগল সম্রাট মনে করতে না পারে। তিনি জবাবদিহি ম‚লক সরকার গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা চাই, আমরা সবাই মিলে আমাদের দেশটাকে গড়বো। সবাই মিলে আমরা দেশটাকে হেফাজত করবো। জনগন ভোটের মাধ্যমে যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।

সমাবেশে ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এমন একটি দল যারা সংখ্যালঘু শব্দে বিশ্বাস করেনা। ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সকলে সমান। এই কোটালীপাড়ার মানুষ আগে তাদের ভোট দিতে পারেনি। আগামী নির্বাচনে আশাকরি তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

কোটালীপাড়া সরকারী আদর্শ কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এম, এম মহিউদ্দিন। সমাবেশে ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস.এম জিলানী বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।

দীর্ঘ দুইযুগ পর রবিবার(১ জুন) অনুষ্ঠিত হয় কোটালীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। ব্যাপক উৎসাহ আর উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা জুড়ে সড়কে সড়কে নির্মাণ করা হয় তোরন। টাঙ্গানো হয় নানা ধরনের ব্যানার-ফেস্টুন।