আন্তর্জাতিক

ভারতের কংগ্রেস নেতা এবং লোকসভার সংসদ সদস্য ড. শশী থারুর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। “সিঁদুরের বদলা রক্ত”—এই বাক্যবন্ধে তিনি তুলে ধরেন কাশ্মীরে নারী নির্যাতনের ভয়াবহতা এবং এর বিরুদ্ধে ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়া।

মার্কিন রাজধানীর ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে থারুর বলেন, “আমি মনে করি ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামটি যথার্থ। হিন্দু ধর্মে বিবাহিত নারীরা কপালে সিঁদুর পরেন, যা তাদের বৈবাহিক পবিত্রতার প্রতীক। কিন্তু জঙ্গিরা বর্বরভাবে ২৬ জন নারীর কপাল থেকে সিঁদুর মুছে দিয়েছে। তাই এবার সিঁদুরের বদলা রক্ত।”

তিনি আরও বলেন, “হিন্দিতে একটি কথা আছে—‘রক্তের বদলা রক্ত’। কিন্তু এখানে তা বদলে গেছে ‘সিঁদুরের বদলা রক্ত’-এ।”

পাকিস্তানের প্রতি সরাসরি ইঙ্গিত করে থারুর বলেন, “ভারত কেবল পাকিস্তানের ১১টি বিমানঘাঁটিতেই আঘাত হানেনি, বরং ইসলামাবাদ স্বীকার করেছে যে ভারতের পাল্টা হামলা এতটাই তীব্র ছিল যে তার শব্দ হায়দরাবাদ থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত শোনা গেছে।”

কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলা এবং পরবর্তীতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের অবস্থান তুলে ধরতে বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে সাত সদস্যের একটি ভারতীয় প্রতিনিধি দল এখন ওয়াশিংটনে অবস্থান করছে।

এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন থারুর ছাড়াও বিজেপির তেজস্বী সূর্য, ভুবনেশ্বর কলিতা ও শশাঙ্ক মণি ত্রিপাঠী, এলজেপির শাম্ভবী চৌধুরী, টিডিপির জিএম হরিশ বালাযোগী, শিবসেনার (শিন্ডে গোষ্ঠী) মিলিন্দ দেওরা, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) সরফরাজ আহমেদ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত তারাঞ্জিত সিং।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সফরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্নতাবাদি পোষণের জন্য দায়ী করার কূটনৈতিক প্রচারে গতি আনতে চায় দিল্লি। ওয়াশিংটনে থারুরের বক্তব্য সেই উদ্যোগেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

এদিকে ভারতের কংগ্রেস নেতার এমন দম্ভোক্তিতে ফের উত্তেজনা ছড়াচ্ছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত ও দুদেশের নাগরিকদের মাঝে।

পাকিস্তানি নেটিজেনরা ট্রল করে বলছেন, এবার ভারতকে পাল্টা জবাব দিতে তারা ‘আতর’ নিয়ে প্রস্তুত রয়েছেন।