দেশবিরোধী যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে বিএনপি প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই-বিপ্লব স্মৃতি হলে মহানগর বিএনপির সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ বলেন, ‘অতীতের মতোই বিএনপি রাজপথে থেকে আন্দোলন ও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর গণ-অভ্যুত্থানের সময়েও বিএনপি রাজপথে সক্রিয় ছিল এবং উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।’
এরশাদ উল্লাহ বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পরাজিত অপশক্তির ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাশাপাশি দেশের পক্ষের সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করুন, তাদের পাশে থাকুন এবং জনগণকে সম্পৃক্ত রাখুন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণ যদি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায়, তবে বিএনপি অবশ্যই বিজয়ী হবে।’
নগর বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা এখনও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এক সময়ের মাফিয়া সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে দেশকে বিশ্ব-দরবারে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করার অপকৌশলে লিপ্ত ছিল।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা হারিয়ে ৫ আগস্টের অপশক্তি এখন আবার বিশ্বে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। দেশকে আমদানি নির্ভর, পর নির্ভর এবং ঋণ নির্ভর একটি ভঙ্গুর রাষ্ট্রে পরিণত করে মাফিয়া সরকারের প্রধান দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।’
চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বলেন, ‘পলাতক স্বৈরাচারের ১৫ বছরের দুঃশাসনের ভার এখনো দেশের মানুষকে বইতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পরাজয় প্রমাণ করে দিয়েছে—দেশ ও জনগণের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে বাংলাদেশের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী জাতীয়তাবাদী শক্তির বৃহত্তর ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।’
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান ও বৈশাখী টেলিভিশনের ব্যুরো চিফ গোলাম মওলা মুরাদের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস এম সাইফুল আলম, সফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রত্যাশা নিয়ে বক্তব্য রাখেন পিপলস ভিউর সম্পাদক ওসমান গণি মনসুর, কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নাঈম, সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম সেলিম, ওয়াহিদ জামান, সাইফুল ইসলাম শিল্পী, এনাম হায়দার, এমরান এমি, ইভান মীর। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল বালি, মোহাম্মদ জাফর, নূর উদ্দিন নুরু, এম এ সবুর, আবু মুসা প্রমুখ।