গণঅধিকার পরিষদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ডক্টর ইউনুছের পদত্যাগ চাইনি।
আমরা সরকারের ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে চেয়েছি। আমরা একটিবারের জন্যেও পদত্যাগ চায়নি। কিন্তু সরকার প্রধান পদত্যাগের নাটক করেছেন। এটা জনগণের সাথে ইমোশনালি ব্লাকমেইল করা হয়েছে।
বুধবার ১১ জুন সকালে ঝিনাইদহ শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষনার প্রতিক্রিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের সাধারন সম্পাদক মো. রাশেদ খান এসব কথা বলেন।
নির্বাচনী ভাবনা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেরনের আয়োজন করে দলটি। সভার শুরুতে মো. রাশেদ খান জুলাই গণ অভুত্থানে নিহত ও আহতদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি সাখাওত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ঝিনাইদহ সভাপতি আব্দুল আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক রিহান হোসেন (রায়হান), যুব অধিকার পরিষদ নেতা রকিবুল হাসান, পৌর গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি মাহফুজুর রহমান ও সদর উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি হালিম পারভেজ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সরকার তার সফলতার কথা বলছে কিন্তু তাদের অসংখ্য ব্যর্থতা রয়েছে তা বলছে না। ব্যর্থতা উত্তরণে তারা কি করতে চাই তা বলছে না।
এ সরকার গণঅভ্যুত্থানের সরকার। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত সরকার। কিন্তু এ সরকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে জনগণ এবং দেশের স্টেক হোলল্ডার ও রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।
তারা এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তাদের একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি স্বৈরচার সরকার প্রধান শেখ হাসিনার চরিত্রকে মনে করিয়ে দেয়। আলাপ আলোচনা ছাড়া কোন সিদ্ধান্ত নিলে তা গ্রহনযোগ্য হবে না। আমরা চাই গণঅভ্যুত্থানের সরকার হবে ১৮ কোটি মানুষের সরকার।
সরকার প্রধান বলেছিল, প্রতিমাসে সরকাররের কর্মকর্তা ও উপদেষ্টারা তাদের সম্পদের হিসাব দেবেন। কিন্তু গত ১০ মাসে একটিবারের জন্যও কেউ তাদের সম্পদের হিসাব দেয়নি। কিন্তু কয়েকজন উপদেষ্টার এপিএস এর এনআইডি লক করা হলো।
তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হলো। তাদের বিদেশ যেতে নিষেধাক্কা জারি হলো, এসবই নাটক।
সরকারের একজন নারী উপদেষ্টার বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে কিন্তু সরকার তদন্ত করছে না।
সম্প্রতি সরকার নির্বাচনী রোপম্য্যাপ ঘোষণা করেছে। এপ্রিল মাসে নির্বাচন হবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
বলা হয়েছে নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে ওই আসনে পুনরায় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। এপ্রিল মাস প্রচন্ড গরমের মাস। এপ্রিলের নির্বাচনের মাস নয় এটা পাগলেও বোঝে কিন্তু সরকার বোঝে না। এসময় নির্বাচনের উপযুক্ত সময় নয়। এসময় মানুষ প্রচন্ড গরমে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবে না।
এটা ভোট নিয়ে ষড়যন্ত্র বলে মনে করছি। নির্বাচন নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের পরিবর্তন আসতে হবে। আমাদের দাবি ছিল ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। কিন্তু উনি মাত্র তিনটা দলের দাবি অনুযায়ি এপ্রিলে ভোটের রোপম্যাপ দিয়েছেন। তাহলে বাকিরা কি দল না। তারা কি আন্দোলন করেনি।
সরকারের ১০ মাসের অর্জন। ১০ মাসে শেখ পরিবারের একজনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। যে আওয়ামীলীগ সরকার গুম খুনের রাষ্ট্র কায়েম করেছিল তাদের একজনকেও আটক করতে পারেনি।
যদি গণঅভ্যুত্থানের সরকার হয় তাহলে শেখ পরিবারের সদস্যদের গেপ্তার করতে হবে। তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তাদের গ্রেপ্তার করা না হলে দাতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
গলঅধিকার পরিষদ নেতা রাশেদ খান আরো বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন অবৈধ ঘোষনা করতে হবে। সে নির্বানে ডামি এমপিদের অবৈধ ঘোষনা করতে হবে।