সম্প্রতি পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের বিষয়টি এখন 'টক অফ দ্যা কান্ট্রি'। গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের বিএনপির কার্যালয়ে হামলার মধ্য দিয়ে এ ঘটণার সূত্রপাত হয়।
এরপর বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদ একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করতে থাকে। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর দাবি করেন, 'স্থানীয় বিএনপি তাকেসহ তার লোকজনকে অবরুদ্ধ ও তাদের বিভিন্ন দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে।’
এদিকে, নুরের দাবি অস্বীকার করে ঘটনার ভিন্ন বর্ণনা দেন দশমিনা উপজেলা বিএনপির সাবেক ১ম যুগ্ম-সম্পাদক হাওলাদার ইফতিয়াস উদ্দিন জয়। তিনি বলেন, 'নুরকে অবরুদ্ধ ও তার লোকজনকে মারধরে দাবি অসত্য ও ভৌতিক।'
তিনি আরো বলেন, 'নুরের লোকজন বিএনপি অফিস ও দলের লোকজনের ওপর হামলা করেছে। নুর দশমিনা-গলাচিপার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে নিজেকে উপস্থাপন করতে চায়। নিজের পরিচিতি বাড়াতে চায়।'
বিএনপি নেতা জয় বলেন, ' নুর ঢাকায় বসে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ চায় আর এলাকায় গেলে আওয়ামী লীগকে পুনঃর্বাসন করে।'
তিনি দাবি করেন, 'নুরের কথাবার্তা, চালচলন, শারীরিক অঙ্গভঙ্গি সবই রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।'
বিএনপি নেতা জয় দশমিনা গলাচিপায় নুরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিএনপির হাইকমান্ডকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার অনুরোধ জানান এবং নুরের বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানান।