জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে আসন বিন্যাস নিয়ে ‘বৈষম্যের’ প্রতিবাদ জানিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ১২ দলীয় জোটসহ কয়েকটি দলের নেতারা পেছনের সারিতে গিয়ে বসেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের চতুর্থ দিনের মুলতবি বৈঠকে এই ঘটনা ঘটে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে নেতাদের জন্য নির্ধারিত আসনে বসেননি বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ১২ দলীয় জোটের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, মুখপাত্র শাহদাত হোসেন সেলিমসহ বেশ কটি দলের নেতারা এ প্রতিবাদে অংশ নেন।
বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আসন বিন্যাস নিয়ে আমরাসহ বাম জোটের নেতারা অসন্তুষ্ট হয়ে নির্ধারিত আসনে না বসে পেছনের সারিতে বসেছেন। আমিও নেতাদের নিয়ে পেছনের সারিতে বসেছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, ‘আমরা আসন বিন্যাসের ক্ষেত্রে প্রথম দিন থেকেই বৈষম্য দেখছি। ইচ্ছে মত আসন বিন্যাস করা হয়েছে। অনেক দলের একাধিক নেতা প্রথম সারিতে বসলেও অনেক দলের প্রধান নেতাকে দ্বিতীয় সারিতে আসনে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন আসন পরিবর্তন করা হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ জানাতে ও বিতর্ক এড়াতে আজ আমরা শেষ সারিতে বসেছি। ওই আসনে বসেই আমরা আমাদের কথা বলেছি ‘
ঐক্যমত্য কমিশন আগামীতে কী করে তারা তা দেখার অপেক্ষায় থাকার কথা বলেছেন এই নেতা। তিনি বলেন, ‘ঐক্যমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে শুরুতে এসব নেতৃবৃন্দকে তাদের নির্ধারিত আসনে বসার অনুরোধ করলেও তারা নির্ধারিত আসনে বসেননি।’
যদিও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ও ১২ দলের মুখপাত্র শাহদাত হোসেন সেলিমের আসন সামনের সারিতে নির্ধারিত ছিল। ওই সব আসন খালি থাকতে দেখা যায়।
দ্বিতীয় পর্যায়ের এই সংলাপে অংশ নেয় বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী, জাতীয় গণফ্রন্ট, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।