রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার পক্ষে মত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তারা বর্তমান সংসদ সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটের পরিবর্তে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত প্রায় ৭০ হাজার সদস্যের ইলেকটোরাল কলেজব্যবস্থার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিরতিতে সাংবাদিকদের কাছে জামায়াতের অবস্থান তুলে ধরেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রস্তাব অনুযায়ী, ইলেকটোরাল কলেজব্যবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য থেকে শুরু করে ৭০ হাজার জনপ্রতিনিধি ভোটার হিসেবে থাকবেন। ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কাছও প্রস্তাব এসেছে। একটি প্রস্তাব হলো, সংসদ যদি উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষে বিভক্ত হয়, তাহলে ৫০০ ইলেকটোরাল কলেজ। আরেকটি প্রস্তাব হলো, উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষের সদস্যদের পাশাপাশি জেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশনের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা ৫৭৬ করা।’
জামায়াত তিনটির যেকোনো প্রস্তাব গ্রহণ করতে রাজি আছে বলে জানান আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘ভোটারের সংখ্যার বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান নমনীয় থাকবে। তবে ইলেকটোরাল কলেজ বৃদ্ধির প্রস্তাব গ্রহণ করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনও সুষ্ঠু হওয়া জরুরি। তা না হলে যারা ভোটার থাকবেন, তাদের মতামত প্রশ্নবিদ্ধ থাকবে।’
জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, ‘আলোচনায় গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে কয়েকটি দল। জামায়াত এই প্রস্তাবকে আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করবে। জামায়াতের অভ্যন্তরীণ সব নির্বাচন গোপন ব্যালটে হয়। তাই তারা এমন প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানায়।’