বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

জনগণ শুধু প্রতীক দেখে আর ভোট দিবে না, দলীয় কর্মকান্ড বিবেচনা করে ভোট দিবে: বুলবুল

যাযাদি ডেস্ক
  ২৪ জুন ২০২৫, ১৮:০৭
জনগণ শুধু প্রতীক দেখে আর ভোট দিবে না, দলীয় কর্মকান্ড বিবেচনা করে ভোট দিবে: বুলবুল
ছবি: যায়যায়দিন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, শহীদ ও আহতদের পরিবারের আকাঙ্ক্ষা পূরণে নির্বাচনের আগেই সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত না হলে, নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণ হবে না। বরং নতুন করে ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে।

তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামীর প্রথম দাবি ছিল শহীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে হবে এবং আহতদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা সহ সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। সরকার এবিষয়ে উদ্যোগ নিলেও তা আশার আলো দেখেনি। শহীদদের নিয়ে প্রকাশিত গেজেটে অনেক শহীদের নাম আসেনি। যারা আগামী দিনে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে, তারা শহীদ পরিবারের জন্য কিংবা আহতদের জন্য কি করেছে? ৫ আগস্ট পরবর্তী তাদের সামাজিক কার্যক্রম কি ছিল? - প্রশ্ন রেখে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জামায়াতে ইসলামী প্রকৃত সকল শহীদদের পরিবারকে নগদ ২ লাখ টাকা করে উপহার প্রদান করেছে এবং শহীদদের আত্মদানের ইতিহাস ১০ খন্ডে ১৫শ পৃষ্ঠার বই প্রকাশ করে ইতিহাস সংরক্ষণ করেছে। আমাদের এসব সার্বিক কার্যক্রম দলমত, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ( ২৪ জুন) ঢাকা-৬ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভোটকেন্দ্র ভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্বশীল সমাবেশ ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জনগণ প্রতীক দেখে আর ভোট দিবে না! জনগণ দলীয় কর্মকান্ড বিবেচনা করে ভোট দিবে। তিনি বলেন, কারা নিজ দলের কর্মীদের হত্যা করছে, কারা ধর্ষণ করছে, কারা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, লুটপাট করছে তা জনগণের কাছে দিবালোকের মতো পরিস্কার। তরুণদের কন্ঠে-কন্ঠ মিলিয়ে পুরো জাতি বলবে; বয়কট, বয়কট সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ-দখলবাজ বয়কট। তরুণ প্রজন্ম বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরো বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের অন্যতম দায়িত্ব একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনমূখী দল, গ্রহণযোগ্য সব নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী অংশগ্রহণ করবে। তবে কোন কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচন-নির্বাচন করতে করতে নিজেদের অবস্থান জনগণের সামনে পরিস্কার করেছে, তারা শুধু নির্বাচন চায়, রাষ্ট্রের সংস্কার চায় না, গণহত্যার বিচার চায় না। বরং তারা আওয়ামী লীগের মতই ফ্যাসিবাদ কায়েমের পথে হাঁটছে।

জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে মানুষের নিরাপত্তা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও দ্রব্যমূল্য উর্ধগতি রোধ নিশ্চিত করা হবে উল্লেখ করে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও মানুষ নিরাপদ নয়, নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর সবাই নিরাপত্তাহীনতায়। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পাবে এবং মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে দ্রব্যমূল্য নির্ধারিত হবে। কেউ চাইলেই নিজের ইচ্ছেমতো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে পারবে না। তাই নতুন বাংলাদেশ গড়তে তিনি দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব এগিয়ে আসতে দেশবাসীকে আহ্বান জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে