প্রতিপক্ষের ওপর আক্রমণ করার পরপরই গোল হজম করল বার্সেলোনা। বিরতির আগে ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া মনোভাব সেভাবে ফুটে উঠল না তাদের খেলায়। দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরার পরও তাদেরকে দেখা গেল না চেনা ছন্দে। তবে ঠিকই শেষ দিকের গোলে পয়েন্ট হারানোর শঙ্কার মেঘ সরিয়ে জয়ের আনন্দে নতুন বছর শুরু করল লা লিগার শিরোপাধারীরা।

স্প্যানিশ লা লিগায় বৃহস্পতিবার রাতে লাস পালমাসের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। গত বছর তারা শেষ করেছিল প্রীতি ম্যাচে ক্লাব আমেরিকার কাছে হেরে। ২০২৪ সালের শুরুতে জাভি হার্নান্দেজের দল সাদামাটা ফুটবল খেলেও খুঁজে পেল জয়ের পথ। পালমাসের বিপক্ষে এ নিয়ে লিগে বার্সেলোনা ১৫ ম্যাচ অজেয় থাকল। লিগ টেবিলে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের (৪৮ পয়েন্ট) সঙ্গে ব্যবধানও কমিয়ে আনল। ১৯ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে জাভির দল বার্সা। রিয়ালের সমান পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে জিরোনা।

নতুন বছর, নতুন শুরু হবে কি? উত্তর খুঁজতে গিয়ে প্রতিপক্ষের মাঠে এক মিনিটের ব্যবধানে দুই ধাক্কায় কোণঠাসা হয়ে পড়ে বার্সেলোনা। একাদশ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন জোয়াও কানসেলো। বদলি নামেন আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন। পরের মিনিটেই গোল হজম করে বসে তারা। ডান দিক দিয়ে আক্রমণ শাণানো সান্দ্রো রামিরেস বক্সে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান, দ্রুত সাড়া দিতে পারেননি কুন্দে-আরাউহোদের কেউ। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ক্লিয়ার করার শেষ চেষ্টা করেছিলেন গোলরক্ষক ইনাকি পেনা, কিন্তু তিনি বলের নাগাল পাওয়ার আগেই টোকায় জাল খুঁজে নেন মুনির এল হাদ্দাদি।

গোলের জন্য বার্সেলোনার মরিয়া চেষ্টা ফুটে উঠতে থাকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে। ৫১ মিনিটে বুদ্ধিদ্বীপ্ত টোকায় বল বের করে নিয়ে একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে ওঠেন রাফিনহা। বক্সের ওপরে জায়গা করে শটও নেন, কিন্তু বল উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। একটু পর লেভানদোভস্কি দুর্বল হেডে হতাশা বাড়ান। কিছুটা ভাগ্যের পরশে ৫৫ মিনিটে মলিনতার বৃত্ত ভেঙে বেরিয়ে আসার উপলক্ষ পায় বার্সেলোনা। বক্সের ভেতর থেকে বিপদমুক্ত করতে জোরাল শট নেন সাউল কোকো, কিন্তু বল লেভানদোভস্কির গায়ে লেগে চলে যায় রবার্তোর পায়ে। শট নিতে জায়গা করতে না পেরে তিনি বাড়ান তরেসকে। এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের শট বলের লাইনে ঝাঁপিয়েও ফেরাতে পারেননি পালমাস গোলরক্ষক।

মেসি-বার্সা চুক্তির সেই ন্যাকপিন পেপার নিলামে বিক্রি

দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ফেলিক্সের শট ফিস্ট করে ফেরান গোলরক্ষক। বাতাসে ভেসে থাকা বলে হেড করতে গিয়েছিলেন ইলকাই গিনদোয়ান, কিন্তু তাকে পেছন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে লাল কার্ড দেখেন সিঙ্কগ্রাভেন। স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করেন গিনদোয়ান। তরেসের বদলি নামা ভিতর খক লা লিগা অভিষেকে পেতে পারতেন জালের দেখা, কিন্তু শেষ দিকে তার শট অল্পের জন্য যায় বাইরে। কিন্তু গিনদোয়ানের গোলটি আগলে রেখে ঠিকই জয়ের রঙে বছর শুরু নিশ্চিত করে বার্সেলোনা।

যাযাদি/ এসএম