আবারও লিওনেল মেসির অতিমানবীয় নৈপুণ্যে জ্বলে উঠল ইন্টার মায়ামি। মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) স্থানীয় সময় শনিবার রাতের ম্যাচে কলম্বাস ক্রুর বিপক্ষে মাঠে নামা ডেভিড বেকহামের দল যেন রূপকথার গল্প লিখল। ৫-১ গোলের বড় জয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল নামটি ছিল আর্জেন্টিনার ক্ষুদে যাদুকরের।
দুটি গোলের পাশাপাশি আরও দুটি গোল বানিয়ে দিয়ে ম্যাচে প্রত্যক্ষ চার গোলের নায়ক মেসি ইন্টার মায়ামির ইতিহাসে নিজের নাম আরও একবার সোনার হরফে লিখে নিলেন। তার ঝলকেই দলটি জয়ের ধারায় ফিরল এবং লিগ টেবিলে নিজেদের অবস্থান মজবুত করল।
এদিনের এই ম্যাচে একটি ঐতিহাসিক রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন মেসি—এমএলএসে ইন্টার মায়ামির হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনটি এখন এককভাবে তার। আগের রেকর্ডধারী গঞ্জালো হিগুয়েইনের ২৯ গোল ছাড়িয়ে তিনি পৌঁছে গেছেন ৩১ গোলে।
১৮ ম্যাচ শেষে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে মায়ামি এখন লিগ টেবিলের তিন নম্বরে। এক ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে থাকা ফিলাডেলফিয়ার সঙ্গে তাদের ব্যবধান মাত্র ৫ পয়েন্ট।
সামনেই ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। তার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছে লিওনেল মেসি ও ইন্টার মায়ামি। আর্জেন্টিনা অধিনায়কের জোড়া গোল ও দুই অ্যাসিস্টে মেজর লিগ সকারে কলম্বাস ক্রুকে ৫-১ গোলে হারিয়েছে তারা।
এদিন আবার রেকর্ডের পাতায় নাম উঠেছে আর্জেন্টাইন তারকার। জোড়া গোলে মেজর লিগ সকারে মায়ামির সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন মেসি। তার গোল সংখ্যা ৩১। নিয়মিত মৌসুমে আগের ২৯ গোলের রেকর্ডটি করেছিলেন তারই আর্জেন্টাইন সতীর্থ গঞ্জালো হিগুয়েইন।
অবশ্য হিগুয়েইনের চেয়ে এই রেকর্ডে মেসি একটা জায়গায় এগিয়ে। নিয়মিত মৌসুমে ৬৭ ম্যাচ খেলার পর হিগুয়েইন গোলের রেকর্ডটি গড়েছিলেন। মেসি সেটা ভাঙলেন মাত্র ৩৮ ম্যাচ খেলার পর।
গত তিন মৌসুমেই মেজর লিগ সকারে ধারাবাহিক পারফর্মার কলম্বাস। কিন্তু এদিন মেসি ও তার সতীর্থদের কাছে পুরোপুরি মুখ থুবড়ে পড়ে দলটির রক্ষণ। ১৩ মিনিটে মায়ামিকে অগ্রগামিতা এনে দেন তাডেও অ্যালেন্ডে। মিডফিল্ড থেকে মেসির ভাসানো বল পোস্টের কাছে পেয়ে যান আর্জেন্টাইন উইঙ্গার অ্যালেন্ডে। তার পর নিখুঁত ফিনিশিংয়ে জাল কাঁপান তিনি।
দুই মিনিট পর কলম্বাস গোলকিপার নিকোলাস হ্যাগেন দ্বিতীয় গোলটি মায়ামিকে উপহার দিয়েছেন! শুরুতে বল পায়ে নিয়ে কাকে দেবেন, সেটা নিয়ে দ্বিধায় ভুগছিলেন। তখনই ভুল করে মেসির কাছে দেন বল তিনি। সুযোগ পেয়ে ৮বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী বল চিপ করতেই বলটা দূরের জালে গিয়ে পড়েছে।
মেসি ২৪ মিনিটে স্কোর ৩-০ করেন। সের্হিও বুসকেৎজ বাতাসে ভাসানো পাস দিয়েছিলেন। ততক্ষণে গোল মুখের কাছে চলে গিয়েছিলেন মেসি। কলম্বাস গোলকিপার এগিয়ে আসলে ঠাণ্ড মাথায় লব করে বল পাঠান জালে।
৫৮ মিনিটে সেজার রাউভালকাবার হেডে কলম্বাস একটি গোল শোধ দিলেও লাভ হয়নি। ৬ মিনিট বাদে আবার ৩ গোলের অগ্রগামিতা পুনরুদ্ধার করে মায়ামি। এবার স্কোর করেন লুইস সুয়ারেজ। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে পঞ্চম গোলটিও আসে মেসির অ্যাসিস্টে। বদলি ফাফা পিকাউল্টকে পাস দিয়েছিলেন। সেখান থেকে জাল কাঁপান পিকাউল্ট।