পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজের প্রথম দুটিতে হেরে আগেই সিরিজ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ দল। তার ওপর প্রথম দুই ম্যাচেই লড়াইবিহীন হার, বিশেষ করে সর্বশেষ ম্যাচে বাংলাদেশের অবস্থা হয় বেশ বেহাল। খেলায় ছিলো না কোন লড়াইয়ের ঝাঁজ।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আজ রোববার (১ জুন) রাত ৯টায় তৃতীয় টি২০তে খেলতে নামবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এই ম্যাচে বাংলাদেশ স্কোয়াডে শক্তি আরও কমেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে চোট পাওয়া শরিফুল ইসলাম ছিটকে গেছেন তিন সপ্তাহের জন্য।
শরিফুল না থাকায় পেস আক্রমণে নতুন মুখ দেখা নিশ্চিত, দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হতে পারে পেসার খালেদ আহমেদের। বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট, ওয়ানডে খেললেও এখনো সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে নামা হয়নি ডানহাতি পেসারের।
গোটা সিরিজে বোলিং বিভাগ চরম হতাশ করলেও খুব বেশি বদলের সুযোগ নেই। সংযুক্ত আরব আমিরাত সিরিজের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হতাশ করা শেখ মেহেদী হাসানকে দ্বিতীয় ম্যাচে বাদ দেওয়া হয়। তার জায়গায় আসা মেহেদী হাসান মিরাজের কাছ থেকেও তেমন কিছু মেলেনি। তিনিও ছিলেন খরুচে।
বাংলাদেশের সমস্যা অবশ্য ব্যাটিংয়েও। বিশেষ করে মিডল অর্ডারে তাওহিদ হৃদয়ের আড়ষ্টতা, ছন্দহীনতা দলের চিন্তা বাড়াচ্ছেন, রান খরায় ভুগছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারিও। স্কোয়াডে মিডল অর্ডারের জন্য বিশেষজ্ঞ বিকল্প ব্যাটার না থাকায় তাদের উপরই আস্থা রাখতে হবে।
অধিনায়ক লিটন দাস প্রথম ম্যাচে ৩০ বলে ৪৮ রান করে ছন্দে ফেরার আভাস দিলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হন ব্যর্থ। বাজে শটে আউটের আগে সতীর্থ হৃদয়ের উপর সিঙ্গেল না নেওয়া নিয়ে মেজাজ হারান তিনি। মেজাজ হারানোর পর পর তার বিদায় ছিলো দৃষ্টিকটু।
অধিনায়ক নিজেকে কতটা সংযত থাকেন, পরিপক্কতার পরিচয় দেন দেখার বিষয়। আর শেষ ম্যাচটায় কোনভাবে জেতা গেলে পরের সিরিজের জন্য অন্তত সামান্য আত্মবিশ্বাস জড়ো করতে পারবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
লাহোরের উইকেটে আগে ব্যাট করা দলের সাফল্যের হার বেশি। প্রথম দুই ম্যাচেও তাই দেখা গেছে। এক্ষেত্রে টসও গুরুত্বপূর্ণ। স্থায়ী অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর টানা পাঁচ টস হেরে যাওয়া লিটন সিরিজের শেষ ম্যাচে টস জিততে পারেন কিনা দেখার বিষয়।