চোট আক্রান্ত সময়ে বরাবরই ডেম্বেলের পাশে ছিল বার্সেলোনা। প্রত্যাশা ছিল সব ঠিক হয়ে গেলে সব পুষিয়ে দেবেন তিনি। কিন্তু যখনই পরিণত হয়েছেন, সম্পূর্ণ ফিটনেস পেয়েছেন ঠিক তখন পিএসজির বড় অঙ্কের প্রস্তাবে পাড়ি জমান প্যারিসে। বার্সার দুঃসময়ে তিনি পাশে থাকেননি।
স্বাভাবিকভাবেই ডেম্বেলের ওপর ক্ষিপ্ত বার্সা সমর্থকরা। তাকে নিয়ে অনেক আগ্রাসী মন্তব্যই করেন তারা। তবে এই ফরাসি তারকা এসব নিয়ে ভাবছেন না। বার্সেলোনায় কাটানো সময় এবং পিএসজিতে তার ফুটবলীয় উত্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডেম্বেলে স্পষ্ট করে বলেন, ‘বার্সেলোন ছিল আমার স্বপ্নের ক্লাব।’
ক্যাম্প ন্যুতে কাটানো দিনগুলোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি যখন বার্সায় আসি তখন আমার বয়স ছিল ২০। এটি ছিল আমার স্বপ্নের ক্লাব। আমি কখনোই বার্সাকে অপমান করব না বা তাদের প্রতি অসম্মান দেখাব না—কোনো অবস্থাতেই না। এই ক্লাবের জন্য আমি সবসময় স্বপ্ন দেখেছি।’
২০১৭ সালের গ্রীষ্মে বার্সেলোনায় যোগ দেন ডেম্বেলে। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে তাকে দলে ভেড়াতে সবমিলিয়ে খরচ হয়েছিল ১৩৫ মিলিয়ন ইউরো। তবে ছয় বছরের বার্সা অধ্যায়টা খুব একটা সুখকর ছিল না—ঘন ঘন চোট আর প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রভাব ফেলতে না পারায়। দুই বছর আগে ৫০ মিলিয়ন ইউরোতে তিনি পাড়ি জমান পিএসজিতে।
ফ্রান্সে এসে ডেম্বেলে নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে। লুইস এনরিকের অধীনে অসাধারণ পারফরম্যান্সে মাত করেছেন দর্শকদের। দুর্দান্ত এই মৌসুমের সুবাদে এখন তিনি ব্যালন ডি’অরের অন্যতম দাবিদার—যা বার্সা ছাড়ার সময় একেবারেই অকল্পনীয় ছিল।
চলতি মৌসুমে ডেম্বেলের পারফরম্যান্স ছিল চোখধাঁধানো—৩৩ গোল ও ১৪ অ্যাসিস্ট—যা পিএসজির ট্রেবল (লিগ, কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আগের দিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচেও করেছেন দুটি অ্যাসিস্ট।