আর তাইতো দলকে ঠিকমতো গুছিয়ে নেওয়ার জন্য আবারো সময় চাইলেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান এই কোচ। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ায় দলকে কাঠগড়ায় তুলতে চান না তিনি। বরং ভুলগুলো শুধরে পরবর্তী সিরিজের জন্য প্রস্তুত হতে চান সিমন্স ।
কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়া ছাড়াই ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। সিমন্স যে দলটাকে তরুণ বলছেন, সেই দলের সবচেয়ে কম টি২০ খেলা খেলোয়াড়ের ম্যাচ সংখ্যা দুই অঙ্ক পেরিয়ে গেছে। সবচেয়ে কম পারভেজ হোসেন ইমন (১২), আর সবচেয়ে বেশি লিটন কুমার দাস (১০১)।
অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই দলকে। তবুও অজুহাত দাঁড় করালেন সিমন্স,‘ যে কোনো সিরিজ হারই হতাশাজনক। আমরা যেখানে আছি, চেষ্টা করছি কিছু গড়ে তুলতে, কিছু ব্যাপার বদলাতে। দলে তরুণ ক্রিকেটার আছে বেশ কিছু। হতাশা আছে দলে, তবে ততটা নয়— থিতু একটা দল নিয়ে হারলে যতটা লাগত। এটা (সিরিজ হার) হতাশাজনক, তবে ততটা খারাপ নয়, যতটা গুছিয়ে নেওয়ার পর হারলে হতো।’
বোলিংয়ে ঘাটতির কথা স্বীকার করেছেন কোচ,‘ মুস্তফিজুর রহমানের মতো একজনের অভাব যে কোনো দলই অনুভব করত। বিশেষ করে, এই উইকেটে তার স্কিলের অভাববোধ হবেই। নাহিদ রানা তুলনামূলক তরুণ, মাত্রই টি২০ দলে এসেছে। ততটা অভিজ্ঞ নয় এখনও। তবে ফিজ, তাসকিন ওদেরকে অবশ্যই মিস করেছে দল। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ওভারে উঠে যেতে হলো মূল বোলারদের একজনকে (শরিফুল ইসলাম)। সেদিক থেকে আমাদের জন্য কঠিন সিরিজ ছিল।’’
শেষ টি২০তে উদ্বোধনী জুটিতে তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমন ১১০ রান করেন। ওপেনিং জুটি নিয়ে আশার কথা শোনালেন সিমন্স, ‘‘সবচেয়ে ইতিবাচক হলো, আমরা চেষ্টা করছিলাম এই উদ্বোধনী জুটি কার্যকর করতে। আজ তারা দেখিয়েছে, একসঙ্গে কতটা বিধ্বংসী হতে পারে। আজ আমরা দেখেছি, ব্যাটিং ছিল প্রাণবন্ত, যেটা আমরা দেখতে চাই। অনেক কিছুই গুছিয়ে উঠছে।’’
বাংলাদেশ দলের পরবর্তী অ্যাসাইনমেন্ট শ্রীলংকা সফর। সেখানে দুই দলের দুটি টেস্ট ও তিনটি করে টি২০ এবং ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে। কম সময়ে দ্রুত উন্নতি করতে চান সিমন্স, ‘‘অবশ্যই দ্রুত উন্নতি করতে চাই আমরা। সাদা বলের সিরিজের আগে দুটি টেস্ট ম্যাচ আছে শ্রীলকায়। সেই সিরিজ চলাকালে অন্য কাজও চলবে। উন্নতি তাই করতেই হবে।’