বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

আষাঢ়ের শুরুতে বৃষ্টিতে জমে উঠেছে ফুটবল খেলা

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
  ১৭ জুন ২০২৫, ১৯:২৪
আষাঢ়ের শুরুতে বৃষ্টিতে জমে উঠেছে ফুটবল খেলা
ছবি: যায়যায়দিন

আষাঢ়ের শুরুতে বৃষ্টিতে জমে উঠেছে পাইকগাছার গদাইপুর মাঠে ফুটবল খেলা। বৃষ্টিতে ভিজতে কার না ভালো লাগে। বৃষ্টির পানি জমে থাকা মাঠে ফুটবল খেলার মজাই আলাদা। সে মজায় মেতেছে গ্রামের দামাল ছেলেরা।

বৃষ্টি নামলেই ফুটবল প্রেমিদের মনে নামে আনন্দের বৃষ্টির খেলা। বর্ষাকাল শুরুতে আষাঢ়ের ভারী বৃষ্টি , কখন হালকা কখন ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি হলে গদাইপুর মাঠে খেলা হবে।

যারা নিয়মিত খেলে না তারাও খেলবে। কে ভালো খেলে আর কে খারাপ খেলে তা দেখার নেই। সবাই দল বেঁধে হৈ হুল্লোড় করে বৃষ্টিতে মাঠে নামবে, গায়ে কাঁদা মাখবে, পানি ছিটাবে, গড়াগড়ি করবে। ছোটবড় সবাই মিলিয়ে যেনো বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দ সবার মনে।

বৃষ্টি হলেই ফুটবল খেলায় মেতে ওঠে ছোট-বড় সবাই। কাঁদা-পানিতে জমে ওঠে খেলা। সারাদিনই চলে ফুটবল খেলা। বৃষ্টি ভেজা মাটির গন্ধে তারা খেলেছে ফুটবল। দুই দলে বিভক্ত হয়ে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে গোলবারে ফুটবল নিয়ে যাচ্ছে। একে অপরকে টেনে ধরছে। কেউ বা আবার মাটিতে আঁছড়ে পড়ছে।

খেলায় কোন রিফারী নেই। ফুটবল ২২ জনের খেলা হলেও বৃষ্টি ভেজা মাঠে খেলছে প্রায় এক শত জন খেলোয়াড়। খেলায় মেতেছে স্থানীয় ফুটবলপ্রেমী ও সৌখিন খেলোয়াড়রা।

এলাকা ছাড়াও বাহির থেকেও গাড়ীতে করে গদাইপুর মাঠে ফুটবল খেলার জন্য ভীড় জমাচ্ছে। মাঠে আসার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভালো। ঐতিহ্যবাহী গদাইপুর মাঠটি মেইন সড়ক সংলগ্ন হওয়ায় সকলের কাছে আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।

খেলোয়াড়দের পাশাপাশি এলাকার ক্রীড়ামদীরা বৃষ্টি ভেজা মাঠে কাদামাটিতে ফুটবল খেলার আনন্দ উপভোগ করছে। দেখে মনে হবে এই আনন্দের শেষ নেই। গ্রামের মাঠে বৃষ্টিতে ফুটবল খেলার অপর নাম কাঁদায় কুস্তি খেলা। ফুটবল ক্রীড়ামোদীরা পানি কাদায় পড়ে খেলোয়াড়দের কাঁদা মাখামাখি দেখার জন্য মাঠে ভিড় জমাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে