গোলের পর উচ্ছ্বসিত অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা
নিজেদের প্রথম ম্যাচে যেভাবে ছন্দ খুঁজে পায়নি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) কাছে পাত্তাই পায়নি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
স্প্যানিশ লা লিগার ক্লাবটি ওই ম্যাচে হেরেছিল ৪-০ গোলে। অবশেষে দ্বিতীয় ম্যাচে সিয়াটল সাউন্ডার্স এফসিকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপার লড়াইয়ে ফিরেছে ক্লাবটি। বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ১১ মিনিটে অ্যাটলেটিকোকে এগিয়ে দেন পাবলো বারিওস।
গিওলিয়ানো সিমিওনে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে চমৎকার কাটব্যাক করেন ও নিচু ক্রস পাঠান পেনাল্টি এরিয়ার দিকে। সেখান থেকে বারিওসের ডান পায়ের শট ক্রসবারের নিচে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে অ্যাটলেটিকো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে দুই দল একটি করে গোল করে। ৪৭ মিনিটে ফ্রেই লোরেন্তের হাফ-ভলি শট রুখে দিলেও বল ছিটকে গিয়ে অ্যাক্সার উইটসেলের সামনে পড়ে। ৬ গজের বক্সে বল পেয়ে হেডে গোল করে অ্যাটলেটিকোকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন উইটসেল।
ম্যাচের ৫০ মিনিটে সিয়াটলের রুসনাক বক্সে বল পেয়ে অ্যাটলেটিকোর ভুল ক্লিয়ারেন্সের সুযোগে ডিফ্লেক্টেড শটে গোল করেন। এতে ব্যবধান কমে ২-১ এ নেমে আসে।
ম্যাচের ৫৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন বারিওস। এতে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো। মার্কোস লোরেন্তের একটি লং থ্রো ঠিকভাবে ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় সিয়াটল। সুযোগ পেয়ে বারিওস হাফ-ভলিতে গোলরক্ষক স্টেফান ফ্রেইকে পরাস্ত করেন।
এদিনের এই জয়ে আটলেটিকো মাদ্রিদ আবারো শিরোপার লড়াইয়ে ফিরেছে। আর দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার সমীকরণ কঠিন হয়ে গেছেক আমেরিকান ক্লাব সিয়াটলের।