ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে 'ধর্মনিরপেক্ষ' ও 'সমাজতন্ত্র' শব্দ দুটি কি বাদ পড়েছে? বিরোধীরা এই অভিযোগ সামনে এনেছে। নতুন পার্লামেন্ট ভবনে ঢোকার আগে দেশটির আইনপ্রণেতাদের একটা করে সংবিধানের কপি দেওয়া হয়েছে। আর সেটি নিয়েই প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি
কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী, ডিএমকে নেত্রী কানিমোরিসহ বিরোধী নেতা-নেত্রীদের দাবি, তাদের যে সংবিধান দেওয়া হয়েছে, এতে ওই শব্দ দুটি নেই।
অধীর চৌধুরী সংবিধানের কপি হাতে করে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে আসেন। তার সঙ্গে ছিলেন রাহুল গান্ধী, কানিমোরিসহ অন্যরা। সোনিয়া গান্ধী বলেন, সরকার সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে 'ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতন্ত্র' কথা দুটি বাদ দিয়েছে। সরকার এই কাজ করতে পারে না।
পরে আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল জানান, সংসদ সদস্যদের সংবিধানের প্রথম সংস্করণ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ওই কথাগুলো ছিল না।
উলেস্নখ্য, ইন্দিরা গান্ধী যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন সংবিধান সংশোধন করে প্রস্তাবনায় 'ধর্মনিরপেক্ষ' ও 'সমাজতান্ত্রিক' শব্দ দুটি ঢোকানো হয়। সেই সময় এ নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলানো যায় কিনা।