শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
দুই নেতার দূরত্ব

মাত্র তিনটি শব্দে নেতানিয়াহু ও বাইডেনের কথা বন্ধ

'সেদিনের পর থেকে তার সঙ্গে আমি আর কথা বলিনি'
যাযাদি ডেস্ক
  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
জো বাইডেন নেতানিয়াহু

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন নাকি কথা বলেন না ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এই কথা জানিয়েছেন তিনি। খোলসা করলেন 'বন্ধু' বাইডেনের সঙ্গে 'মনোমালিন্যের' আসল কারণ। এই সংঘাতের মূলে নাকি রয়েছে মাত্র তিনটি শব্দ। গাজায় ইসরাইলি সেনার হামলায় ফিলিস্তিনিদের মৃতু্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকা। সেই থেকেই কূটনৈতিক মহলে কানাঘুষা শুরু হয়েছে, ইসরাইলের পাশ থেকে সরে আসতে চাইছে আমেরিকা! এই পরিপ্রেক্ষিতে এমন কোন কথার জন্য দূরত্ব বাড়ল দুই নেতার মধ্যে? তথ্যসূত্র : রয়টার্স

গত রোববার 'ফক্স নিউজ'-এর এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। সেখানেই এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রয়োগ করা তিনটি শব্দই নাকি তাদের মনোমালিন্যের কারণ। গাজায় ইসরাইলের হামলাকে তিনটি শব্দে ব্যাখ্যা করেছিলেন বাইডেন। সেই শব্দগুলো হলো 'ওভার দ্য টপ'। অর্থাৎ, ইসরাইলি হামলাকে তিনি 'প্রয়োজনের তুলনায় বেশি' বলে মন্তব্য করেন। যা ভালোভাবে নিতে পারেননি নেতানিয়াহু। সে সময় তিনিও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত লড়াই চলবে।

নেতানিয়াহু বলেন, 'হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে আমেরিকা আমাদের পাশে রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই সমর্থনে আমরা আপস্নুত। আমি তার সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। কিন্তু ওই তিন শব্দের মাধ্যমে বাইডেন ঠিক কী বলতে চেয়েছিলেন তা আমি জানি না। সেদিনের পর থেকে তার সঙ্গে আমি আর কথা বলিনি।'

উলেস্নখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরাইল। তার আগে ইসরাইলি ভূখন্ডে ঢুকে বহু মানুষকে পণবন্দি করে নিয়ে গিয়েছিল হামাস। নেতানিয়াহু সেই হামলার বদলা নেওয়ার শপথ করেন এবং জানান, যত দিন পর্যন্ত না হামাস নির্মূল হচ্ছে তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন। এখনও পশ্চিম এশিয়ায় সেই আগ্রাসন চলছে। হামলার শুরুতেই আমেরিকা জানিয়েছিল, তারা ইসরাইলের পাশে আছে। যত দিন এগিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের শক্তি প্রয়োগ ততো বেড়েছে। নেতানিয়াহুর প্রত্যাঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। হাসপাতালগুলোও ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণের হাত থেকে রেহাই পায়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে