ফিলিস্তিনের গাজার রাফাহতে ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে আমেরিকা। সেখানে কোনো ধরনের হামলা না চালাতে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধসহ বিভিন্নভাবে ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়িয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিস্নংকেন সতর্ক করেছেন, রাফাহ শহরে ইসরাইলি হামলায় হামাস নির্মূল হবে না, বরং তা নৈরাজ্য উসকে দেবে। এছাড়া ইসরাইলি বাহিনী হামাস যোদ্ধাদের চেয়ে বেশি বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে; এমন মতের সঙ্গেও একমত হয়েছেন তিনি। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিস্নংকেন এনবিসি'র 'মিট দ্য প্রেস'কে এসব কথা বলেন। তথ্যসূত্র : এএফপি, টিআরটি ওয়ার্ল্ড
সিবিএসের 'ফেস দ্য নেশন' অনুষ্ঠানে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরাইলি বাহিনী হামাস যোদ্ধাদের চেয়েও বেসামরিক লোককে বেশি হত্যা করেছে বলে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিবৃতির সঙ্গে আমেরিকা একমত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিস্নংকেন বলেন, 'হঁ্যা, আমরাও তাই মনে করি।' তিনি বলেন, রাফাহতে পূর্ণ মাত্রার অভিযানে অবিশ্বাস্য রকমভাবে হতাহতের ঘটনা ঘটবে। এমনকি রাফাহতে ব্যাপক অভিযান চালানো হলেও হামাসের হুমকিকে শেষ করা যাবে না। মার্কিন এই শীর্ষ কূটনীতিক আরও বলেন, হামাস যোদ্ধারা এরই মধ্যে উত্তর গাজার নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ফিরে এসেছে যেগুলোকে ইসরাইল 'মুক্ত করেছিল'।
বিস্নংকেন নিশ্চিত করেছেন, ইসরাইলের কাছে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি স্থগিত রেখেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এছাড়া গাজার বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য আরও কিছু করতে এবং রাফাহতে সর্বাত্মক আক্রমণ এড়াতে (ইসরাইলের ওপর) চাপ অব্যাহত রেখেছে আমেরিকা। তিনি বলেন, যুদ্ধ শেষ হলে গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা উপস্থাপনের জন্য আমেরিকা ইসরাইলি নেতাদের ওপর চাপ দিয়ে চলেছে। বিস্নংকেন বলেন, 'গাজায় এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরের দিন কী হবে তার জন্য আমরা একটি পরিকল্পনাও দেখিনি। আমরা একটি স্থায়ী ফল পাওয়ার বিষয়ে তাদের সঙ্গে আরও ভালো উপায় সম্পর্কে কথা বলেছি।'
উত্তর গাজায় তীব্র লড়াই
এদিকে ইসরাইল যখন রাফাহ শহরে অভিযান শুরু করেছে, তখন উত্তর গাজায় ইসরাইলি সেনা ও হামাস যোদ্ধাদের মাঝে তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে। ইসরাইলের সংবাদপত্র 'হারেৎজ' জানিয়েছে, গাজা ভূখন্ডের উত্তর দিকে প্রবল লড়াই চলছে। রোববার রাতে ইসরাইলের সেনারা জাবালিয়াতে হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলের সেনার মুখপাত্র এর আগে জানিয়েছিলেন, ইসরাইলের যুদ্ধবিমান জাবালিয়ার বিভিন্ন টার্গেটে বোমা ফেলছে। জাবালিয়া খুবই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। সেখানে শরণার্থী শিবিরও ছিল। সাধারণ মানুষকে এলাকা থেকে চলে যেতে বলা হয়েছিল।