শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
জাতিসংঘের তথ্য

রাফাহ ছেড়েছেন তিন লাখ মানুষ

যাযাদি ডেস্ক
  ১৪ মে ২০২৪, ০০:০০
রাফাহ ছেড়েছেন তিন লাখ মানুষ

ইসরাইলি বর্বরতায় গোটা গাজা উপত্যকা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গত সাত মাসের বেশি ধরে চলা ইসরাইলি নৃশংস হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে অসহায় ফিলিস্তিনিরা জড়ো হয়েছিলেন মিসর সীমান্তের কাছে রাফাহ শহরে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরেও এরই মধ্যে হামলা জোরদার করেছে ইসরাইল। এ কারণে এখন রাফাহ ছেড়ে এরই মধ্যে পালিয়ে গেছেন তিন লাখের বেশি মানুষ। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ হয়েছে। তথ্যসূত্র : এবিসি

জায়নবাদী আগ্রাসনের কারণে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে গত সাত মাস ধরে এসব মানুষ এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু এক সপ্তাহে তিন লাখের বেশি মানুষ রাফাহ থেকে পালিয়ে গেছে বলে গাজায় ফিলিস্তিনিদের সাহায্যকারী জাতিসংঘের প্রধান সংস্থা রোববার জানিয়েছে।

ইসরাইলি আগ্রাসন থেকে বাঁচতে গাজা উপত্যকার দক্ষিণ প্রান্তের এই শহরটি গত সাত মাস ধরে ১০ লাখের বেশি বাস্তুচু্যত মানুষ আশ্রয় নেন। মূলত লাখ লাখ ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠা রাফাহ শহরে বড় ধরনের হামলার বিরোধিতা করে আসছে আমেরিকাসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

বেসামরিক লোকদের বাস্তুচু্যত হওয়ার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি রোববার বলেছে, রাফাহতে পূর্ণমাত্রার হামলা হলে এখানে 'মানবিক বিপর্যয়' হবে। সংস্থাটি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, রাফাহর পরিবারগুলো আবারও সরে যাচ্ছে, আশ্রয়, খাবার, পানির সন্ধান করছে।

গাজা উপত্যকার বৃহত্তম টেলিযোগাযোগ সংস্থা 'প্যালটেল' বলেছে, ইসরাইলি সামরিক অভিযানের কারণে দক্ষিণ গাজার কিছু অংশে রোববার থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা 'ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস'র কর্মীরা যুদ্ধের মধ্যে গাজায় কাজ করছেন। এই সংস্থাটিও সোশ্যাল মিডিয়াতে বলেছে, রাফাহ ইন্দোনেশিয়ান ফিল্ড হাসপাতালের শেষ ২২ রোগীকে অন্য চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো শুরু করেছে তারা। কারণ তারা আর তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রায় পতনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে এবং রাফাহ শহরের তিনটি বড় হাসপাতালের মধ্যে যে একটি হাসপাতাল ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর অভিযানের আগে আংশিকভাবে কাজ করছিল সেটিও এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে