শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

রাশিয়া আগ্রহ দেখালে ইউক্রেন আলোচনায় রাজি : বিস্নংকেন

যাযাদি ডেস্ক
  ১৭ মে ২০২৪, ০০:০০
রাশিয়া আগ্রহ দেখালে ইউক্রেন আলোচনায় রাজি : বিস্নংকেন
অ্যান্টনি বিস্নংকেন

দুদিনের কিয়েভ সফরের শেষ দিনে বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিস্নংকেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবার সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যদি রাশিয়া 'আগ্রহ দেখায়' তাহলে সংঘাত বন্ধে মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছে কিয়েভ। তথ্যসূত্র : এএফপি

বিস্নংকেন বলেন, 'রুশ প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন যদি আন্তরিকভাবে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে চান, তাহলে আমি নিশ্চিত ইউক্রেন আলোচনায় বসতে রাজি হবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এ ব্যাপরে রাশিয়ার কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।

এর আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছিলেন, পশ্চিমারা 'শান্তি' শব্দটির আড়ালে একটা ধূম্র্রজাল সৃষ্টি করে রেখেছে। তাদের আকাঙ্ক্ষা অন্য কিছু। পশ্চিমা দেশগুলো সবাই মিলে এ অঞ্চলে প্রকৃত অর্থে কোনো শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।

আর চীনের প্রভাবশালী গণমাধ্যম 'সিনহুয়া'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইউক্রেনের সঙ্গে বসতে রাজি আছে রাশিয়া। তবে, তা হতে হবে দুই পক্ষের জন্য মঙ্গলজনক। এতে পশ্চিমারা কোনো ধরনের ইন্ধন দিতে পারবে না। পুতিন আরও বলেন, 'ইউক্রেন সংকট সমাধানে চীনের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে আমরা সবসময় ইতিবাচক। আমরা কখনো ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি সংলাপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করিনি। বেইজিং সত্যিই এই সংকটের মূল কারণ এবং এর বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক প্রভাব বোঝে।' রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, গত মাসে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইউক্রেন সংকট সমাধানে যে নীতির কথা বলেছেন, তাতে সংঘাতের পেছনের কারণগুলো বিবেচনা করা হয়েছে।

এদিকে, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে বৈঠকে শি জিনপিং ইউক্রেন-সংকট সমাধানের লক্ষ্যে যেসব নীতির কথা বলেছেন, সেগুলোকে বাস্তব এবং গঠনমূলক বলেও মত দেন পুতিন। তার মতে, বেইজিংয়ের প্রস্তাব স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি টানার জন্য বেইজিং প্রায় এক বছর আগেই ১২ দফার একটি প্রস্তাব পেশ করলেও তখন রাশিয়া বা ইউক্রেন কোনো পক্ষই প্রস্তাবটির ব্যাপারে খুব বেশি আগ্রহ দেখায়নি। সে সময় আমেরিকা চীনের প্রস্তাবটির সমালোচনা করে বলেছিল, চীন এখানে নিজেকে শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে দেখাতে চাইলেও রাশিয়ার মিথ্যা বয়ানকেই তারা প্রচার করেছে এবং রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে