এবার গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকিতে পড়লেন দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। সোমবার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইউনের সামরিক আইন চালুর জের ধরে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অনুরোধ করেছেন তদন্তকারীরা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেশদ্রোহিতার অপরাধের পর্যায়ে পড়ে কিনা, তা নিয়ে যৌথ তদন্ত করছে দেশটির পুলিশ ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্তকারী কার্যালয়। তদন্ত চলাকালে ইউনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করা হলেও প্রতিবারই তা উপেক্ষা করেছেন ইউন। তদন্তকারীদের অনুরোধ অনুযায়ী পরোয়ানা জারি হবে কিনা, তা সিদ্ধান্ত দেবে আদালত।
বরখাস্ত প্রেসিডেন্ট ইউনের আইনজীবী ইউন কাব-কেউনের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে সে ডাকে সাড়া দেননি তিনি। চলতি মাসের শুরুতে সামরিক আইন জারির ফলে কিছুদিনের মধ্যেই অভিশংসিত হন ইউন। তার পুনর্বহাল বা স্থায়ী অপসারণ নির্ভর করছে সাংবিধানিক আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর। এই সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য ১৮০ দিন সময় রয়েছে। গত শুক্রবার মামলার প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আরও ভালো প্রস্তুতির জন্য শুনানি স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছিলেন ইউনের আইনজীবীরা। তবে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় আদালত। জানুয়ারির ৩ তারিখে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।