দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কৃষি বিদ্যাপীঠ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদ তার আটপৌরে ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত। আর এই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় অনুষদের ৫৬তম ব্যাচ, যা ' স্ফূরণ ৫৬' নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পরিচিত, সম্প্রতি আয়োজন করেছে এক মনোরম এবং আনন্দঘন চড়ুইভাতির।
শীতের মিষ্টি আমেজে, রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ওই চড়ুইভাতি সমাগম। পশুপুষ্টি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এই চড়ুইভাতিতে অংশ নেয় স্ফূরণ ৫৬ ব্যাচের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। তাদের মিলিত উপস্থিতি এবং খোশগল্পে মেতে ওঠা মুহূর্তগুলো যেন স্নাতক জীবনের এক অনন্য স্মৃতি হয়ে সবার মাঝে থেকে যাবে।
এছাড়া আড্ডা, গল্প ও হাসি-ঠাট্টার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা কাটিয়েছেন তাদের জীবনের স্মরণীয় একটি সন্ধ্যা। চড়ুইভাতির পরিবেশ ছিল উষ্ণ এবং আনন্দমুখর। ব্যাচের প্রত্যেক শিক্ষার্থী আয়োজনকে সফল করে তুলতে তাদের সার্বিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করেছে।
চড়ুইভাতির পাশাপাশি, 'স্ফূরণ ৫৬' ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিশেষভাবে ডিজাইন করা টি-শার্ট বিতরণ করা হয়। এটি ছিল তাদের স্নাতক জীবনের শেষ পর্যায়ের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে বহন করার মতো একটি দারুণ উপহার।
এই আয়োজনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল পশুপুষ্টি বিভাগের প্রবীণ অধ্যাপক ড. মো. আল-মামুন এবং প্রভাষক মো. অলিয়ার রহমানের উপস্থিতি। তাদের অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য শিক্ষার্থীদের জন্য উৎসাহের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
অধ্যাপক ড. মো. আল-মামুন বলেন, 'তোমাদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তোমাদের প্রচেষ্টা ভবিষ্যতে আরও বড় বড় উদ্যোগের অনুপ্রেরণা হবে। তোমাদের সকলের জন্য শুভকামনা রইল।'
স্ফূরণ ৫৬-এর এই আয়োজন শুধুমাত্র একটি চড়ুইভাতি ছিল না, এটি ছিল তাদের স্নাতক জীবনের শেষ প্রান্তে একে অপরের সঙ্গে বন্ধন মজবুত করার একটি উপলক্ষ। এই আয়োজন তাদের মনে এক গভীর আনন্দ এবং স্মৃতির রেশ রেখে যাবে।
পশুপুষ্টি বিভাগের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের এই অনবদ্য আয়োজন যেমন তাদের সৃজনশীলতার পরিচায়ক, তেমনি এটি স্ফূরণ ৫৬ ব্যাচের অনন্য ঐতিহ্যেরও একটি অংশ হয়ে থাকবে।