পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় মানুষের সম্পর্ক যেন সাপে নেউলে। কোনোভাবেই যেন দহরম-মহরম হয় না তাদের মাঝে। স্থানীয়রা কোনোক্রমেই শিক্ষার্থীদের খুব সহজভাবে নিতে পারে না, তাদের মাঝে সংগঠিত হয় না সুন্দর কোনো রসায়ন। সামান্য কোনো কিছুতেই যেন বেঁধে যায় বড় পরিসরে ঝামেলা। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ক্যাম্পাসেই যেন একই চিত্র বিদ্যমান। শিক্ষার্থীরা কোথাও যেন নিরাপদ নয়, সব জায়গায় শিক্ষার্থীদের ওপর চলে আধিপত্য।
অথচ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে। স্কুল-কলেজ থেকেই সেই স্বপ্ন লালন করা হয় হৃদয়ে। স্বপ্ন পূরণের কত নির্ঘুম রাতযাপন, কত অভিমান চাপা থাকে, সঙ্গে বুকফাঁটা আর্তনাদ। বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পিছনে কত গল্প থাকে।
স্বপ্ন পূরণের জন্য ভিটেমাটি, মা-বাবা-পরিজন ছেড়ে দিতে হয়। ক্যাম্পাসের আঙিনাজুড়ে আপন বলতে কেউ থাকে না। যখন নতুন নতুন মানুষকে আপন ভাবতে শুরু করে। তাদের কাছে টানার বদলে লাঠিচার্জ আর প্রতিহিংসার অনল দেখা যায়। সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘটে এমন ঘটনা। শিক্ষার্থীদের ওপর বেপরোয়া হয়ে যায় স্থানীয়রা। তাদের ওপর চালানো হয় বর্বর হামলা। এতে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা শিক্ষার্থীদের কোমল মনকে ব্যথিত করে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না আর। প্রশাসনের কাছে আবেদন, দ্রম্নত এই হামলার তদন্ত করে যেন বিচারের আওতায় আনা হয়। পাশাপাশি স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
জুবায়েদ মোস্তফা
শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়