সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনী সহিংসতা রোধে কঠোর হতে হবে

নতুনধারা
  ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
নির্বাচনী সহিংসতা রোধে কঠোর হতে হবে

নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই নির্বাচনী সহিংসতা বাড়ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বাকি মাত্র তিন দিন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে হন্যে হয়ে ভোট চাইছেন। প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে সারাদেশ। এরই মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা সংঘাত সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েছেন। নির্বাচনী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। কারও ক্যাম্প ভাঙচুর হচ্ছে তো কারও অফিসে আগুন দেওয়া হচ্ছে। এসব অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনও হিমশিম খাচ্ছে।

কালিয়াকৈরে নৌকা পোড়ানোর অভিযোগ। গাজীপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের নৌকা প্রতীক পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। নওগাঁয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে কুপিয়ে জখম, নির্বাচন ঘিরে আবারও নওগাঁয় সহিংসতার ঘটনা ঘটল। ভালুকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্যাম্পে হামলা, রংপুরে নির্বাচনী সংঘাতে বাড়ছে উত্তেজনা। রাজশাহীতে মাহির ক্যাম্পে আগুন, বাগমারায় মিছিলে হামলা। এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে এবং যথাযথ নিয়মনীতি মেনে প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে, এমনটি প্রত্যাশিত হলেও, নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়- যা অত্যন্ত উৎকণ্ঠার। যদি একের পর এক নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে, তবে তা কতটা আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিকে স্পষ্ট করে, সেটি আমলে নেওয়া জরুরি।

প্রসঙ্গত বলা দরকার, মারামারি, সংঘাত-সহিংসতার মধ্য দিয়েই যদি নির্বাচন হয় তবে সেটা শুভ ফল বয়ে আনবে না। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হোক- এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। আর এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের আমলে নেওয়া দরকার, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করতে পারলে তাতে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। আর তা নিশ্চিত করাও অপরিহার্য। দুঃখজনক বাস্ততা হলো, আমাদের দেশের নির্বাচনগুলো শতভাগ সহিংসতামুক্ত হতে পারছে না। ফলে নির্বাচনী সহিংসতা রোধে করণীয় নির্ধারণ সাপেক্ষে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে, রাজনৈতিক সংস্কৃতি উন্নত করতে হবে। প্রয়োজনে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংস পরিস্থিতি আমলে নিয়ে কঠোর হতে হবে। আমরা বলতে চাই, নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে নির্বাচনী উৎসবে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যা কাম্য হতে পারে না। নির্বাচনকেন্দ্রিক সংঘাত-সহিংসতা অব্যাহত থাকলে ভোটারদের উপস্থিতি উদ্বেগজনক হারে কমে যেতে পারে এবং ভোটারদের উপস্থিতি কম হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সঙ্গত কারণেই, সার্বিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সহিংসতা-সংঘাতের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যেমন উদ্যোগী হতে হবে, তেমনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর হতে হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টরা তৎপর থাকবে এমনটি প্রত্যাশিত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে