রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচন, সুশাসন ও জবাবদিহিতা

স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বেঁচে থাকার অধিকার চাই। সময়ের পরিবর্তনে, সময়ের প্রয়োজনে, ইতিহাসের গতিধারা বারবার পাল্টালেও উত্তম ও কীর্তিমান হওয়ার সুযোগ ইতিহাস বারবার কাউকে দেয় না। অতএব, আমাদের কীর্তিমান হওয়ার পথে এগিয়ে যেতে হবে সহিংসতা নয়, সমঝোতার মাধ্যমে।
মোহাম্মদ নজাবত আলী
  ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
নির্বাচন, সুশাসন ও জবাবদিহিতা

রাষ্ট্র পরিচালিত হয় সংবিধান মোতাবেক। পৃথিবীর সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই সংবিধান রয়েছে। সংবিধান ছাড়া কোনো রাষ্ট্র চলতে পারে না। এজন্য সংবিধানকে রাষ্ট্রের দর্পণ বলা হয়। সংবিধান অনুসারে সরকারের মেয়াদ ৫ বছর। প্রতি ৫ বছর পর পর দেশে নির্বাচন হবে, সরকার পরিবর্তন হবে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনের বৈধ পথ হচ্ছে নির্বাচন। কিন্তু শুধু নির্বাচন হলেই হবে না। সে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা থাকতে হবে। কোনো রাষ্ট্রে যদি ক্ষমতাসীন দল প্রধান বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন করে সে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। শেষ পর্যন্ত নানা প্রতিরোধ, হরতাল, অবরোধ, সহিংসতার মধ্যে হলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ইতোমধ্যে শপথ গ্রহণ করেছেন এবং সাংসদদের নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ গঠিত ও তাদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে।

শুরু থেকেই এ নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলেও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। তাদের দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না- একথা তারা এ বিধান বাতিল হওয়ার পর থেকে বলে আসছেন। এ নিয়ে বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত জোট অনেক আন্দোলন হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এমনকি তারা নির্বাচন প্রতিরোধেরও ডাক দেন। কিন্তু সরকার সাংবিধানিক এ ধারা অব্যাহত রাখতে নির্বাচনের আয়োজন করেন এবং সফল হন। এবারে নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত জোট অংশগ্রহণ করেনি। বিএনপি'র মত একটি বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন যেভাবে উৎসবমুখর হওয়ার কথা ছিল সেভাবে হয়নি। ভোটার উপস্থিতিও কম হয়। এজটি জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৪১ বা ৪২ শতাংশ কাঙ্ক্ষিত নয়। একটি বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। নির্বাচন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সে অর্থে নির্বাচনটি জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে হয়নি। নির্বাচনটি অনেকাংশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে এমন মতামত দিয়েছে বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা। তবে দেশের কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত তৎপর ছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) শুরু থেকেই নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত করার লক্ষ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের রদবদলসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রার্থীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনেন। এমনকি বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারেই প্রথম নির্বাচনের দিন আচরণবিধি লঙ্ঘন ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে একজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেন। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন পদক্ষেপই প্রমাণ করে নির্বাচন কমিশন অনেকাংশেই নিরপেক্ষ ছিল।

এবারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। বিএনপি নির্বাচনে না আসায় নিজ দলের নেতাকর্মীদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার দ্বার উন্মুক্ত করে আওয়ামী লীগ। এটা তাদের রাজনৈতিক কৌশল ছিল। বেশ কিছু সাবেক সাংসদ, এবারে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। যারা দলের মনোনয়ন পাননি তাদের মধ্যে অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে বাজিমাত করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে অনেক হেভিওয়েট আওয়ামী লীগের নেতা পরাজিত হন। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এবারের নির্বাচনে বিএনপি'র বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য ও জেলা উপজেলা পর্যায়ের নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে। অবশ্য বিএনপি তাদের বহিষ্কার করে। তাদের মধ্যে ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর যিনি পিটার হাসকে অবতার বলেছিলেন তিনি শেষ পর্যায়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২২টি আসন পেয়ে এককভাবে সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে এবং জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয়ী হয় ও যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তারা অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, যারা ৬২টি আসনে জয়ী হয়। অর্থাৎ একই দলের নীতি, আদর্শে বিশ্বাসী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়। একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কারণে নির্বাচনের ফলাফল কি হবে বা হতে যাচ্ছে জনগণ আগে থেকেই তা আঁচ করতে পেরেছিল বলেই অনেকেই ভোটকেন্দ্রে যাননি এটাও ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার একটি কারণ। যাহোক, নির্বাচনটি দেশ-বিদেশে সমালোচনার পাশাপাশি ইইউসহ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) বহির্বিশ্বের অনেক রাষ্ট্র সরকারকে সমর্থন ও সাধুবাদ জানাচ্ছেন এবং তারা বর্তমান সরকারের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করছেন। নির্বাচনের পর থেকেই বিরোধী দল কারা হবে এই নিয়ে দেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছিল। কেননা, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দলকে ছায়া সরকার বলা হয়। বিরোধী দল সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবে এটাই স্বাভাবিক। প্রয়োজনে তারা সংসদ থেকে ওয়াকআউট করবে এটাই সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতি। নিবন্ধিত দল ছাড়া জাতীয় সংসদে বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে না এ নিয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু অতীতে সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকায় সংসদ প্রাণবন্ত হয়ে ওঠেনি। এবারেও জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দল থাকছে। ইতোমধ্যে জি এম কাদের সংসদে বিরোধী দলের নেতা, উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মুজিবুল হক চুন্নুকে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মনোনয়ন দিয়েছে জাতীয় পার্টি। তবে এ বিষয়টি নির্ভর করছে জাতীয় সংসদের স্পিকারের ওপরে। জাতীয় পার্টি সংসদে সত্যিকার অর্থে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকা কতটা পালন করবে বা করতে পারবে এই নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা গুঞ্জন রয়েছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদে প্রথম অধিবেশন বসতে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় জাতীয় পার্টি যদি সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে দেশে-বিদেশে সরকার ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হবে। সংসদকে কার্যকর করতে সংসদ সদস্যদের উপস্থিত হওয়া যেমন জরুরি, তেমনি বিরোধী দল হিসেবে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করাও কম জরুরি নয়। এক্ষেত্রে জাতীয় সংসদে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি কেমন ভূমিকা রাখে তা জানার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

এমনিতে বহির্বিশ্বে এ নির্বাচন নিয়ে অনেক সমালোচনার ও চাপ রয়েছে। ভিসা নীতি, শ্রম আইনসহ নানামুখী চাপে রয়েছে সরকার। উপরন্ুত্ম দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অর্থনীতি, কূটনীতি, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন, ব্যাংক খাত সংস্কারসহ সর্বক্ষেত্রে সুশাসন ও জবাবদিহিতার এ বিষয়গুলো সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। সরকার যদি এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হয় তাহলে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং গণমানুষের কাছে আস্থা অর্জন করবে। এর ব্যতয় ঘটলে দেশের রাজনৈতিক সংকট দেখা দিতে পারে। তাই সরকারকে অবশ্যই নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অত্যন্ত সতর্কতার সহিত এগোতে হবে।

কারণ গণতন্ত্র শুধু একদিনের নির্বাচন নয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিভিন্ন মত ও পথের মানুষ রয়েছে। এসমস্ত মত পার্থক্যকে একই স্রোত ধারায় মিলনের নামই হচ্ছে গণতন্ত্র। কিন্তু এবারের নির্বাচনে এর ব্যতয় ঘটেছে। গণতন্ত্র হচ্ছে সর্বজনীন শাসন ব্যবস্থা। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে আমাদের রাজনৈতিকদলগুলো মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও গণতান্ত্রিক আচরণ করেন না। যখন যে দলই ক্ষমতায় তাকে বিরোধী দলের ওপর শুরু করে দমনপীড়ন। জনগণই ক্ষমতার উৎস। আমাদের সংবিধানে রয়েছে, প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। আর নির্বাচন হবে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যম, জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে বা জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে অথবা ভোটার বিহীন নির্বাচন হলে সে নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়। জাতি হিসেবে আমরা নানা প্রত্যাশার কথা বলি কিন্তু হতাশাও রযেছে। বাঙালি জাতির সৌভাগ্য '৫২-র ভাষা আন্দোলনের চেতনা নিয়ে '৭১-র মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি স্বাধীন নয়। বলার অপেক্ষা রাখেনা যে '৫২-র ভাষা আন্দোলনের চেতনা বাঙালি জাতিকে ধাপে ধাপে '৭১-র পৌঁছে দেয়। এটা বাঙালি জাতির বড় সাফল্য ও গৌরব। আর ব্যর্থতার কথা যদি বলা হয়, তাহলে জাতি ৫২ বছরেও '৫২ ও '৭১-র চেতনা হৃদয়ে ধারণ করতে পারেনি।

'[৭১-র যে স্বপ্ন ও অঙ্গীকার নিয়ে জাতি মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল আত্মমর্যাদা, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, সুশাসন। এখনো গণতন্ত্র পুরোপুরি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেনি। সর্বক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। গণতন্ত্র মানে শুধু জনগণের শাসনই নয়, সুশাসনও বটে। প্রতি ৫ বছর পর সরকার পরিবর্তন নয়। গণতন্ত্র হচ্ছে সর্বজনীন শাসন ব্যবস্থা যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ায় গণতন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। কিন্তু কোনো কোনো সময় রাজনীতিবিদরা দলকেই বড় করে দেখতে চান। এটা জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন, একটি সাম্য, অসাম্প্রদায়িক ও সুশাসনভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অন্তড়ায়। দলীয় বা ব্যক্তিগত স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও তখন গৌণ হয়ে যায়। তখন স্বাভাবিকভাবে সমাজে নানা বিভেদ তৈরি হয়। গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে কত নির্বাচন হলো কিন্তু সুস্থ ধারার রাজনীতি গড়ে উঠলো না। ক্ষমতা কেন্দ্রিক রাজনীতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহমর্মিতা বিশ্বাস, আস্থা, সহযোগিতার মনোভাব গড়ে উঠলো না। গণতন্ত্রের বিকল্প গণতন্ত্র, গণতন্ত্রের বিকল্প সমঝোতা, গণতন্ত্রের বিকল্প পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। তথাপি বর্তমান সরকারের কিছু কিছু ক্ষেত্রে ত্রম্নটি বিচু্যতি অনিয়ম থাকা সত্ত্বেও দেশ এগিয়ে গেছে। কৃষি, শিল্প, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা, বিদু্যৎসহ কয়েকটি সেক্টরে সরকারের সফলতা অস্বীকার করা যায় না। কেননা, এ বিষয়গুলো দৃশ্যমান। তবে সদ্যসমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যতই প্রশ্ন উঠুক না কেন সাংবিধানিকভাবে এ নির্বাচন বৈধ। দেশে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা দূরীকরণে সরকারের সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

যাহোক, রাজনীতিবিদদের মনে রাখা দরকার দেশটা ১৭ কোটি মানুষের। এ ১৭ কোটি মানুষের জীবনের আজ আমরা নিরাপত্তা চাই। চাই সুস্থ রাজনীতি ও সঠিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।

স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বেঁচে থাকার অধিকার চাই। সময়ের পরিবর্তনে, সময়ের প্রয়োজনে, ইতিহাসের গতিধারা বারবার পাল্টালেও উত্তম ও কীর্তিমান হওয়ার সুযোগ ইতিহাস বারবার কাউকে দেয় না। অতএব, আমাদের কীর্তিমান হওয়ার পথে এগিয়ে যেতে হবে সহিংসতা নয়, সমঝোতার মাধ্যমে।

মোহাম্মদ নজাবত আলী : শিক্ষক ও কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে