সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষালয়ে নীরব কান্না কত গভীরে?

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে কোনো মূল্যেই হোক, শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যথায় চরম মূল্য দিতে হবে জাতিকে। ব্যক্তি স্বার্থ এবং দলীয় স্বার্থকে বড় করে না দেখে দেশপ্রেমের শিক্ষায় আলোকিত হতে হবে শিক্ষার্থীদের।
মাজহার মান্নান
  ২২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অস্থিরতা নতুন কোনো বিষয় নয়। বিভিন্ন কারণে বিশ্ববিদ্যালয় অস্থির হয়ে উঠতে পারে। সাধারণত রাজনৈতিক কারণেই বিশ্ববিদ্যালগুলো বেশি অস্থির হয়ে উঠে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারী নির্যাতন অতি মাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় প্রতিবাদের মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে। নারী নির্যাতনের ধরন ও কৌশল বদলাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই করুণ দশা সমাজ ও রাষ্ট্রকে নেগিটিভ বার্তা দিচ্ছে। কিন্তু সেটাতে সমাজ ও রাষ্ট্রের তেমন কোনো ভ্রূক্ষেপ আছে বলে প্রতীয়মান হয় না। কিছু দিন আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটল। সেটার লোমহর্ষক স্মৃতিগুলো মুছতে না মুছতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ঘটনার জন্ম হলো। অবন্তিকা আত্মহত্যা করল, সে সুইসাইড নোট লিখে কারণও জানিয়ে গেল। অবন্তিকার চলে যাওয়া রাষ্ট্রের হয়তো ক্ষুদ্র একটি ক্ষত। কিন্তু তার সুইসাইড নোটে যে বার্তা দিয়ে গেছে সেটা মোটেও নগণ্য ক্ষত নয়। বরং, এই ক্ষত এতটাই গভীরে পৌঁছে গেছে যে, এটাকে নির্মূল করতে নতুন বিপস্নবের ভাবনা ভাবতে হবে। যাহোক, এ বিষয়ে লেখালেখিও কম হয়নি। কিন্তু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থিতিশীলতা আনতে তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ এখনো নেয়া সম্ভব হয়নি। শিক্ষক এবং ছাত্র রাজনীতির জাঁতাকলে পিষ্ট উচ্চশিক্ষার পরিবেশ। উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন অনেক আগেই সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অস্থিরতা দমনে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করা হলেও স্থায়ীভাবে সমাধানে কোনো উদ্যোগ গৃহীত হয়নি।

উচ্চশিক্ষায় নানা বিশৃঙ্খলা আমরা লক্ষ্য করি। কিন্তু দিনে দিনে সেটা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীদের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন এক নব দানবীয় রূপ লাভ করেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিশেষ ধরনের স্বাধীনতা ভোগ করে থাকেন। কিন্তু সেই স্বাধীনতাকে চৌর্যবৃত্তির স্তরে নামিয়ে এনে তারা কি বার্তা দিচ্ছেন। ব্যক্তিগত লালসার শিকার বানিয়ে মহাদাপটে তারা কি করে ঘুরে বেড়ান। কোনো ঘটনা ঘটলে সেটা কত টুকু সত্য বা কতটুকু মিথ্যা তা তথ্য, উপাত্ত ও তদন্ত সাপেক্ষে জানা যায়। আমার প্রশ্ন হলো শিক্ষকদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কেন? রক্ষক কেন ভক্ষকের ভূমিকায় যাবে? ১৫/২০ বছর আগেতো বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অবক্ষয়ের চিত্র দেখা যায়নি। তবে এখন কেন সীমা অতিক্রম করছে? রোগটা আসলে শনাক্ত করা দরকার। রোগ শনাক্ত হলেই তো ওষুধ প্রয়োগ করা যায়। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে- তরকারি কুটায় দোষ থাকলে রান্নায় সেটা সারে না। কিং লেয়ার নাটকে শেক্সপিয়ার বললেন, নাথিং কামস আউট ফরম নাথিং ( শূন্য থেকে শূন্যই আসে)। বাবা-চাচারা বলতেন, বীজ ভালো তার ফল ভালো। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই হয়তো এই প্রবাদ প্রবচনগুলো এসেছে। কারা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন? একটা সময় ছিল যারা বিভাগে সর্বোচ্চ মেধাবী থাকতেন এবং নৈতিক চরিত্রের অগ্নি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতেন তারা কোনো রাজনৈতিক প্রভাব ছাড়াই নিয়োগ পেতেন। তারা আদর্শ শিক্ষক হিসেবে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতেন। কিন্তু এখন কি হচ্ছে? নিয়োগের প্রধানতম পূর্ব শর্ত হয়ে গেছে স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ আর রাজনৈতিক বিবেচনা। নিয়োগেই যখন দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে তখন তাদের কাছ থেকে কীভাবে ভালো কিছু আশা করা যায়? ক্ষমতার দাপটে যখন নিয়োগ বিজয় হয়ে যায় তখন অন্যকে পদপিষ্ট করা খুব একটা বিবেকে বাধার কথা নয়। ব্যক্তিগত ভোগ লালসা মিটানোও তখন খুব সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। খুঁটির জোরে সবকিছুকে ধামাচাপা দেয়া যায়। কারণ তারা জানে অন্যায় করেও পার হওয়ার মতো শক্তি তাদের আছে। আমরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এসেছি। স্যারদের দেখতাম গবেষণা নিয়ে মেতে থাকতেন। নতুন কিছু দেওয়ার জন্য অনন্ত চেষ্টা চালাতেন। কিন্তু এখন কি হাল! শিক্ষকদের গবেষণা কোথায় গেল? তারা কেন সন্তানতুল্য মেয়েদের দিকে ভিন্ন দৃষ্টি দিচ্ছে? তবে সব শিক্ষক এক রকম নন। অনেক আদর্শ শিক্ষক আছেন এখনো যারা নিবেদিত প্রাণ শিক্ষার জন্য। তারা আছে বলেই হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো চলছে। কিংবদন্তি কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক বড় দুঃখ করে বলেছিলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার দিকে তাকালে মনে হয় এ যেন কৃমি কীটে খাওয়া দগ্ধ লাশের চেহারা। আর এই ভয়ংকর চেহারার সবচেয়ে বড় ছাপটি দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত কয়েক বছরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। সেগুলো আলোচনা করতে গেলে কলেবর বেড়ে যাবে। তাই সেদিকে না গিয়ে অবন্তিকার আত্মহত্যার দিকেই নজর দিতে চাই। প্রতিটি মানুষ তার স্বীয় সত্তা নিয়ে বড় হয়। নারী সত্তা অনেক সূক্ষ্ন হয়ে থাকে। মুখ বুজে নারীরা অনেক কিছু সহ্য করলেও তাদের প্রতিবাদী সত্তা জাগ্রত থাকে। পুরুষ শাসিত সমাজে হয়তো তাদের সেই প্রতিবাদী রূপটি পূর্ণতা পায় না। পুরুষের শোষণের মাত্রা যখন সীমা ছাড়ায় তখন নারী প্রতিবাদ করতে চায়। কিন্তু যখন সে দেখে তার প্রতিবাদ প্রস্ফুটিত হবে না তখন সে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। সমাজ বিজ্ঞানী এমিল ডুরখেইম তার আত্মহত্যা মতবাদে দেখান যে, একজন মানুষ যখন তার প্রতিবাদী সত্তাকে সমাজে ঠাঁই করাতে পারে না তখন সে আত্মহত্যা করে। অবন্তিকা হয়তো প্রতিবাদ করে জয়ী হতে চেয়েছিল। কিন্তু সে হয়তো বুঝে উঠতে পারিনি যে, এ সমাজ এখনো পশুত্বমুক্ত হয়নি। সে বদলের কাছে দুধের ভিক্ষা চেয়েছে তাই সে দুধ পায়নি। যাদের কাছে সে বিচার চেয়েছে তারা তাকে বিচারের পরিবর্তে হয়তো তিরস্কার দিয়েছে যেটা অবন্তিকার সহ্য করা কঠিন ছিল। ফেসবুকে আরেক মেয়ের আর্তনাদ দেখলাম। তাকে কীভাবে পরতে পরতে হেনস্তা করা হচ্ছে। সাবলীল বাচনভঙ্গিতে সে তার তিক্ত অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছে। শিক্ষকতা নামক মহান পেশাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি আমরা? অভিভাবকরা তাদের মেয়েদের কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবেন? কার ভরসায় মেয়েরা নিরাপদ থাকবে? অঘটন ঘটার পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। কিন্তু সেটা কি যথেষ্ঠ? তবে একটি বিষয় বলতে চাই, জোর গলায়, অনেক সময় শিক্ষকরা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকেন। কোনভাবেই যখন প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা যায় না তখন নারীকে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এসব ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ এবং নিখুঁত তদন্ত হওয়া দরকার পড়ে। কিন্তু দেশের তদন্ত ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা কতটুকু? যে রোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে সেটার শিকড় খুঁজে বের করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই চরিত্রকে সর্বপ্রথম প্রাধান্য দিতে হবে। সৎ চরিত্রবানদের মধ্য থেকেই মেধাবী বের করে আনা সম্ভব। কিছু দিন আগে ভিকারুননেসায় যা হলো তাতে শিক্ষক হিসেবে খুব লজ্জিত হয়েছি। আমার এই কলামটি হয়তো যাদের নজরে আসার দরকার তাদের নজরে নাও আসতে পারে। তবুও প্রতিবাদী কলম চলতে থাকবে। অবন্তিকার বিষয়টিকে সিরিয়াসলি নিতে হবে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

শিক্ষকদের মধ্যে দলীয়করণ, রেষারেষি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, এটার লাগাম টেনে ধরা এখন সুকঠিন হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় উপাচার্য নিয়োগ এবং শিক্ষক নিয়োগের সংস্কৃতি কতটুকু লাভবান করেছে উচ্চশিক্ষার পরিবেশকে তা বিজ্ঞজনেরাই ভাল বলতে পারবেন। একাডেমিক ও প্রশাসনিক রাজনীতির কারণে বলির পাঁঠা হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কোনো কারণে অস্থির হয়ে উঠলে শিক্ষক রাজনীতির ছদ্ম রূপটি আরো বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কি ব্যক্তিস্বার্থ বড়, নাকি সামগ্রিক স্বার্থ? বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ধরনের অস্থিরতার পেছনে একক কোনো কারণ থাকে না। তবে শিক্ষকদের দলীয়করণ এবং রেষারেষি একটি অন্যতম কারণ এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে দলীয়করণ এবং স্বজনপ্রীতি যখন চরমে তখন এই ধরনের অস্থিরতাই নিত্য হয়ে উঠে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের খবর পত্রিকায় বহুবার প্রকাশিত হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটি আমাদের সবার জানা। উপাচার্যরা দলীয়ভাবে আসেন বলে, তিনি সবার উপাচার্য হয়ে উঠতে পারেন না। একটি নির্দিষ্ট পক্ষকে নিয়েই তাকে চলতে হয়। শিক্ষকদের রাজনীতি শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে থাকে। পড়াশোনা করার জন্য শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় যায়। কিন্তু সেখানকার পরিবেশ তাদের ভুল পথে চালিত করে। কারো হীন স্বার্থের হাতিয়ার হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা। রাজনীতির এই গ্যারাকলে পড়ে উচ্চশিক্ষার মান নষ্ট হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ব্যাহত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার পরিবেশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বাণিজ্যিক কর্মকান্ডে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাশ নিতে তারা বেশি আগ্রহী। এমনকি সান্ধ্যকালীন কোর্সের দিকে তাদের অনেক বেশি নজর। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলি স্বায়ত্তশাসিত হওয়ায় শিক্ষকরা স্বাধীনতা ভোগ করেন, কিন্তু সেটারও একটি সীমা থাকা উচিত। দলীয় বিবেচনা এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হওয়ার কারণে তারা প্রকৃত শিক্ষক হয়ে উঠার চেয়ে শিক্ষক নেতা হয়ে উঠতে বেশি পছন্দ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদগুলোতে যাওয়ার জন্য তারা মরিয়া। আর একবার সেখানে গেলে সেটা আকড়ে রাখতে আরো বেশি মরিয়া। শিক্ষাদান এবং গবেষণার প্রতি তাদের অনীহা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর ফলে, শিক্ষকদের রেষারেষি তীব্রতর হচ্ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানদন্ডে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা জানা যায়।

কোথায় যাচ্ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার পরিবেশ? এভাবেই কি চলতে থাকবে। এর শেষ কোথায়? উপাচার্য ফরিদ আহমেদ দুই মেয়াদে আছেন। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরানোর জন্য তাকে যদি পদত্যাগ করতে হয় তবে একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি হিসেবে তার সেটাই করা উচিত। আমাদের দেশে কারো বিরুদ্ধে যদি পদত্যাগের দাবি উঠে তবে তিনি তা সহজে করতে চান না। তিনি এটাকে পরাজয় এবং অসম্মানের মনে করেন। কিন্তু পদত্যাগের মধ্যেও যে এক ধরনের ডাইনামিক ব্যক্তিত্ব কাজ করতে পারে তারা সেটা ভুলে যান। পদত্যাগের মাধ্যমেও নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হতে পারে। তবে আমাদের দেশে এই সংস্কৃতি গড়ে উঠেনি, কেননা, যিনি একবার ক্ষমতায় যান তিনি এমনভাবে মনোপলিক হয়ে উঠেন যে, পদত্যাগ করতে তিনি ভয় পান। পদত্যাগের মাঝেও যে গৌরব লুকিয়ে থাকতে পারে সেটা উপলব্ধির বিষয়। যাহোক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাপ্তবয়স্ক। তাদের বুঝার ক্ষমতা আছে, যে কোন বিষয়। আবেগে গা ভাসিয়ে না দিয়ে পরিস্থিতি বুঝে তাদের চলা উচিত। অন্যের স্বার্থের কাছে তারা ধরা দিলে তাদের ক্যারিয়ার নষ্ট হতে পারে এই বোধটুকু তাদের থাকতে হবে। কেন তারা অন্যের হাতিয়ার হয়ে নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলবে এই চিন্তা তাদের করতে হবে। শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে দেশ গঠনে মনোযোগ দেবে, কারো হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তারা বলির পাঁঠা হবে না।

\হবিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে কোনো মূল্যেই হোক, শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যথায় চরম মূল্য দিতে হবে জাতিকে। ব্যক্তি স্বার্থ এবং দলীয় স্বার্থকে বড় করে না দেখে দেশপ্রেমের শিক্ষায় আলোকিত হতে হবে শিক্ষার্থীদের।

মাজহার মান্নান : কলাম লেখক ও শিক্ষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে