শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
পাঠক মত

মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা বৃদ্ধির জন্য আবেদন

মুনযির আকলাম কোরপাই, বুড়িচং, কুমিলস্না
  ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা বৃদ্ধির জন্য আবেদন

মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই সেই দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আজীবন সম্মানী ও সব রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। যা হোক, বিলম্বে হলেও বহু চড়াই-উত্রাই উপেক্ষা করে অবশেষে জাতীর জনকের সুযোগ্য কন্যা ও চার-চারবারের সফল প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা বৃদ্ধি করে নূ্যনতম হলেও জীবন ধারনের একটা অবলম্বন করেছিলেন, যাহা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। তবে সেই ভাতা বৃদ্ধির সময়ও যথারীতি প্রায় পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে।

এমতাবস্থায়, বর্তমান এই লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের বাজারে পাঁচ বছর আগের বরাদ্দকৃত মাসিক ভাতা দিয়ে অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের আদৌও বেঁচে থাকা সম্ভব কিনা, তা বর্তমান সফল প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই বিবেচনা করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সাধারণভাবে বেঁচে থাকার মাপকাঠিতে ভাতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারিসহ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এ প্রসঙ্গে উলেস্নখ করা যায় যে, জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাতির বীর সন্তানদের কল্যাণে যখনই কিছু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, ঠিক তখনই প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা এক শ্রেণির পাকিস্তানপন্থি প্রেত-আত্মা বা বর্জুয়া আমলাদের কালো থাবায় মুক্তিযোদ্ধাদের সপক্ষে আনিত কোনো কল্যাণমূলক প্রস্তাবই অবশেষে আলোর মুখ দেখে না। যাহা নির্মম সত্য ও হৃদয়বিদারকও বটে। কিন্তু বর্তমান এই অগ্নিমূল্যের বাজারে কোনো মতে বেঁচে থাকার তাগিদে জরুরিভিত্তিতে আমাদের মাসিক ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণাসহ অবিলম্বে কার্যকরী করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার সদয় অবগতির জন্য আরও জানাচ্ছি যে, জাতির জনকের ডাকে সাড়া দেওয়া এই অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা সবাই সত্তরোর্র্ধ্ব। বর্তমান এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে অভাব-অনটন ও দুঃখ-কষ্টের কষাঘাতে এবং নানান রোগ-শোকে জর্জরিত, ফলে স্বাধীনতার প্রাণগর্ভ এই সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা হয়ত অচিরেই হারিয়ে যাচ্ছেন সেই না ফেরার দেশে। তাই, আমি একজন বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলতে পারি, আগামী পাঁচ বছর পর হয়ত বা রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের আর খুঁজেও পাওয়া যাবে না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটাসহ দুই বছর বাড়িয়ে দিয়েছেন, যাহা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে পদস্বল্পতাহেতু কয়জনইবা সেই সুযোগ লাভ করতে পারছেন? এ ক্ষেত্রে আপনার সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ বেসরকারি ব্যাংক, বীমাসহ বিভিন্ন সুপ্রতিষ্ঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে বিপুলসংখ্যক মেধাবি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের অনায়াসে চাকরির ব্যবস্থা করে অসহায় ও গরিব পিতা-মাতাদের সাহায্যের কান্ডারি হতে পারেন। এ ব্যাপারে আপনার সক্রিয় নির্দেশনা অবশ্যই কার্যকরী হবে।

পরিশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধির সপক্ষে জরুরি ও কার্যকরী নির্দেশনা জারি করবেন- এটাই আমাদের একমাত্র প্রত্যাশা। জীবন ছায়াহ্নে আপনার এখনো মানবিক ও বিরল দৃষ্টান্ত পরপারেও উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকবে।

লাখো মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আ. সাদেক মিয়া

নবীনগর পৌরসভা, নবীনগর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

পলিথিন নিষিদ্ধ পণ্য বোঝার উপায় নেই

পলিথিন যে এ দেশে অবৈধ কিংবা নিষিদ্ধ আজকাল সেটি বোঝার কোনো উপায় নেই। প্রতিদিনকার বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাতে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এ ব্যাগটি ব্যবহার করা হচ্ছে খুব সাধারণভাবে। এমনকি পাইকারি ও খুচরা দোকানগুলোতেও দেখতে পাওয়া যায় প্রকাশ্যেই। পলিথিনের শপিং ব্যাগ বা অন্য যেকোনো সামগ্রী যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, সেসব উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুত, পরিবহণ ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫-এর ভিত্তিতে ২০০২ সালে আইন করা হয়। নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রায় দুই যুগ পরও বাজারে বা কোনো দোকানে গেলে পলিথিন নিষিদ্ধ হওয়ার আগের ও পরের সময়ে কোনো পার্থক্য বোঝা যায় না। আইন করে নিষিদ্ধ করার পরও বিষয়টি মারাত্মকভাবে গুরুত্ব হারিয়েছে বর্তমানে। প্রায় তিন হাজার কারখানায় দিনে ১ কোটি ৪০ লাখ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদিত হচ্ছে আজও। যা নানা কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাছাড়া এসবের কারখানাগুলোও গোপন না। ফলে যত্রতত্র পলিব্যাগের ব্যবহার বন্ধ হয়নি এমনকি উৎপাদন, সরবরাহও কমেনি। দেশে পলিথিন ও পলিথিনজাত দ্রব্যসামগ্রীর ব্যাপক ব্যবহারে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পলিথিন অপচনশীল বলে দীর্ঘদিন প্রকৃতিতে অবিকৃত অবস্থায় থেকে মাটিতে সূর্যালোক, পানি এবং অন্যান্য উপাদান প্রবেশে বাঁধা সৃষ্টি করে, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পলিথিনের বহুবিধ ব্যবহারের কারণে মানবদেহে বাসা বাঁধছে ক্যানসারহ নানা জটিল রোগ। কিন্তু তার পরও পলিথিনের ব্যবহার কমছে না, বরং দিন দিন বেড়েই চলছে। পাড়া-মহলস্নার মুদি দোকান থেকে অভিজাত বিপণিবিতান সর্বত্রই পলিথিনের যথেচ্ছাচার। পলিথিনের ব্যবহার সাম্প্রতিক সময়ে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কোনো কার্যকর তৎপরতা এবং মনিটরিং না থাকায় নিষিদ্ধ পলিথিনে বাজার সয়লাব। পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ আইন আছে, আইনে শাস্তির বিধানও রয়েছে। কিন্তু কেউ এসব আইন পরোয়া করে না। এসব আইন ভঙ্গ করলে শাস্তি হতে পারে এমন চিন্তাও কেউ করে না আজকাল। অথচ জনগুরুত্বপূর্ণ ও পরিবেশের ক্ষতিকর বিবেচনায় এসব আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব আইন সম্পর্কে দেশের মানুষের ব্যাপক সমর্থনও রয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে উদাসীন থাকার কারণে আইন সম্পর্কে জনগণ যেমন সচেতন নয়, তেমনি এসব আইন মানার প্রবণতাও কারও মধ্যে নেই। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ, সদিচ্ছা, সততা, দায়িত্ব, কর্তব্যবোধ, জবাবদিহি, দক্ষতা, কার্যক্ষমতা এবং আন্তরিকতার বহু অভাব রয়েছে।

মুনযির আকলাম

কোরপাই, বুড়িচং, কুমিলস্না

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে