আগামী ২ জুনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন কমিশন গঠনের আশ্বাসে দীর্ঘ ৮১ ঘণ্টা পর আজ অনশন ভেঙেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ তিন শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে পানি পান করিয়ে তাদের অনশন ভাঙান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
এরই মধ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ সাম্য হত্যার বিচারের সন্তোষজনক অগ্রগতি এবং ডাকসুর নির্বাচন কমিশন ও নির্দিষ্ট রোড ম্যাপ ঘোষণার জন্য আগামী ২৭ মে পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছেন।
এ সময়ের মধ্যে দাবি না মানা হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২৪ মে) সামাজিক যোগাযোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
পাঠকদের জন্য হুবহু এস এম ফরহাদের ফেসবুক পোস্টটি তুলে ধরা হল :
ভিসি স্যারের পক্ষ থেকে সাম্য হত্যার বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরিষ্কার অগ্রগতি জানানো এবং ২ জুনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন কমিশন ঘোষণা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের নিশ্চয়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে উনাদের প্রতি সম্মান রেখে অনশনকারী শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙতে রাজি হন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রো ভিসি (শিক্ষা) মামুন আহমেদ ও প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
প্রশাসনের বক্তব্য অনুযায়ী ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে উনারা ইতিবাচক ও নির্বাচন কমিশনের খসড়াও প্রস্তুত। সুতরাং বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আমরা আগামী তিন কার্য দিবস অর্থাৎ ২৭ মে পর্যন্ত যথেষ্ট মনে করছি।
এ সময়ের ভিতরে সাম্যহত্যার বিচারের সন্তোষজনক অগ্রগতি এবং ডাকসুর নির্বাচন কমিশন ও নির্দিষ্ট রোড ম্যাপ ঘোষণায় প্রশাসনের অবহেলা পরিলক্ষিত হলে আগামী বুধবার থেকে কঠোর কর্মসূচি শুরু হবে, ইনশাআল্লাহ।