শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

পুঁজিবাজার : চ্যালেঞ্জ ও উন্নয়নের দিকনির্দেশনা

শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন কঠোর নজরদারি এবং পলিসির যথাযথ বাস্তবায়ন। বিশেষত, বাজারে কারসাজি রোধে প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য। স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের প্রতিটি দিক মনিটর করা উচিত। এতে বাজারের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে এবং বিনিয়োগকারীরা পুনরায় আস্থার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
মাহমুদুল হাসান
  ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
পুঁজিবাজার : চ্যালেঞ্জ ও উন্নয়নের দিকনির্দেশনা
পুঁজিবাজার : চ্যালেঞ্জ ও উন্নয়নের দিকনির্দেশনা

বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো পুঁজিবাজার। যা দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। তবে এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজার কাঙ্ক্ষিত অবস্থানে পৌঁছাতে পারেনি। পুঁজিবাজারের বিকাশে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। যার মধ্যে ব্যাংকনির্ভর পুঁজির যোগান, নীতিনির্ধারকদের অসঙ্গতি এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা অন্যতম।

এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে প্রায় সব সূচকেই বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের অবস্থান সবার নিচে। যদিও বয়স বিবেচনায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চেয়েও পুরনো দেশের পুঁজিবাজার। এদেশে পুঁজিবাজারের যাত্রা ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ নামে। ১৯৬৪ সালে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাজার মূলধন দেশের জিডিপির তুলনায় অত্যন্ত কম। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) দেশের প্রধান দু'টি স্টক এক্সচেঞ্জ হলেও সেগুলোর কার্যকারিতা এখনো উন্নয়নশীল পর্যায়ে রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বাজারের গভীরতা এবং স্থিতিশীলতা আশানুরূপ নয়।

বিশ্বের অনেক দেশেই অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে সেখানকার পুঁজিবাজার। এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতিগুলোয়ও জিডিপির বিপরীতে পুঁজিবাজারের মূলধনের অবস্থান বেশ শক্তিশালী। কিন্তু এক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে বাংলাদেশ।

ব্যাংকনির্ভর পুঁজির সমস্যা : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো এখনো ব্যাংকমুখী, অর্থাৎ ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে পুঁজির সরবরাহ বেশি। এতে কর্পোরেট খাতের দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন ব্যাহত হয় এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারের পরিবর্তে ঋণের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ব্যাংক ঋণের সুদের হার উচ্চ হওয়ায় ব্যবসাগুলো উচ্চ ব্যয় বহন করতে বাধ্য হয়, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট : বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থার অভাব লক্ষ্য করা যায়। অতীতের বেশ কয়েকটি ধস, বাজার কারসাজি, স্বচ্ছতার অভাব এবং দুর্বল নিয়ন্ত্রণ কাঠামো বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করেছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কম হওয়ার কারণে বাজারে স্থিতিশীলতা আসে না।

তুলনামূলক বিশ্লেষণ : ভারত, চীন এবং মালয়েশিয়ার মতো এশিয়ার দেশগুলোতে পুঁজিবাজার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সেসব দেশে বাজার মূলধন, লেনদেনের পরিমাণ এবং বিনিয়োগের সুযোগ বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, উন্নত প্রযুক্তি এবং সুসংহত নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর ফলে তারা সফলতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকেও এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

বাংলাদেশের বাজার মূলধন গত বছর শুধু শ্রীলংকার চেয়ে এগিয়ে ছিল। শ্রীলংকার বাজার মূলধন ছিল ১ হাজার ৬৪৫ কোটি ডলার, যেখানে বাংলাদেশের বাজার মূলধন ছিল ২ হাজার ৯৯৬ কোটি ডলার। একই সময়, ভারতীয় বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ২৮ হাজার ৭৪৮ কোটি ডলার, পাকিস্তানে ৪ হাজার ৬৩৫ কোটি ডলার, থাইল্যান্ডে ৫৫ হাজার ৯২২ কোটি ডলার, ভিয়েতনামে ২১ হাজার ১৮৪ কোটি ডলার, ইন্দোনেশিয়ায় ৭৫ হাজার ৫৮০ কোটি ডলার এবং ফিলিপাইনে ছিল ৩৪ হাজার ২৮৬ কোটি ডলার।

একটি দেশের পুঁজিবাজারের গভীরতা সাধারণত জিডিপির তুলনায় বাজার মূলধন হিসাব করে পরিমাপ করা হয়। এই দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক নিচে। গত বছর শেষে বাংলাদেশের বাজার মূলধন ছিল জিডিপির মাত্র ৬.৬ শতাংশ। একই সময়ে, ভারতের বাজার মূলধন ছিল জিডিপির ১৩৬ শতাংশ, পাকিস্তানে ১২.৪ শতাংশ, শ্রীলংকায় ২২.১ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ১০৫.৭ শতাংশ, ভিয়েতনামে ৪৫.২ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৫৪ শতাংশ এবং ফিলিপাইনে ছিল ৭৩ শতাংশ।

বাংলাদেশে পুঁজিবাজারের আকারের তুলনায় বাজারের মধ্যস্থতাকারীদের সংখ্যা অত্যধিক। এর কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানই আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে দেশে ৪৫৬টি স্টক ব্রোকারেজ, ৬৬টি মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ৬৭টি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান কার্যরত রয়েছে।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে

বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সুশাসন : বাংলাদেশের শেয়ারবাজার দীর্ঘ সময় ধরে মন্দাবস্থার মধ্যে রয়েছে, যার মূল কারণ হচ্ছে সুশাসনের অভাব। বর্তমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম আস্থাহীনতা সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য জরুরি হলো, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।

শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন কঠোর নজরদারি এবং পলিসির যথাযথ বাস্তবায়ন। বিশেষত, বাজারে কারসাজি রোধে প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য। স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের প্রতিটি দিক মনিটর করা উচিত। এতে বাজারের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে এবং বিনিয়োগকারীরা পুনরায় আস্থার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

এই পরিবর্তনগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশে শেয়ারবাজারের দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করা সম্ভব হবে, যা একদিকে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে, অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।

বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ : বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রূপান্তরে এফডিআই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। যেমনটি ভিয়েতনাম, চীন, মেক্সিকো ও ভারত উদাহরণস্বরূপ দেখিয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হলে, একটি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি কর কাঠামো সংস্কার করতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে সহজে মুনাফা অর্জন ও রপ্তানি করতে পারে এবং আইনি সুরক্ষা পায়, তাও নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কোনো বৈষম্য না রেখে সমান সুবিধা প্রদান করা জরুরি। এর ফলে, বাংলাদেশ বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠবে; যা দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে উন্নয়ন সম্ভাবনাকে সম্প্রসারিত করবে।

প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো উন্নয়ন : পুঁজিবাজারে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে বাজারের কার্যক্রম আরও উন্নত করা সম্ভব। অ্যালগরিদমিক ট্রেডিং এবং হাই-ফ্রিকোয়েন্সি ট্রেডিং (ঐঋঞ) প্রযুক্তি যুক্ত হলে ট্রেডিং প্রক্রিয়া দ্রম্নত, নির্ভুল ও স্বচ্ছ হবে, যা তরলতা বৃদ্ধি ও লেনদেন ব্যয় কমাবে। উন্নত মোবাইল অ্যাপিস্নকেশন, অনলাইন ট্রেডিং পস্ন্যাটফর্ম ও বস্নকচেইন প্রযুক্তির সংযোজন বিনিয়োগকারীদের জন্য লেনদেন আরও সহজতর করবে, ফলে তারা দেশে যে কোনো প্রান্ত থেকে ট্রেড করতে পারবেন। নিরাপত্তা সুরক্ষার জন্য নিয়মিত নিরাপত্তা নিরীক্ষা, এনক্রিপশন প্রযুক্তি ও ডাটা সুরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে। ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ফিনটেক কোম্পানিগুলোর যৌথ উদ্যোগ বাজারের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে পারে। ফিনটেক সেবা যেমন ই-ওয়ালেট, ই-পেমেন্ট গেটওয়ে ও স্মার্ট ইনভেস্টমেন্ট টুলস সহজলভ্য হলে নতুন বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি অনলাইন প্রশিক্ষণ, ওয়েবিনার ও ই-লার্নিং পস্ন্যাটফর্ম চালু করে বিনিয়োগকারীদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানো যেতে পারে।

বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসার : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ইঝঊঈ), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (উঝঊ) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ঈঝঊ) যৌথভাবে একটি জাতীয় বিনিয়োগ শিক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পর্যায়ে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম চালু করলে তরুণ শিক্ষার্থীরা শেয়ারবাজার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা অর্জন করতে সক্ষম হবে। এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইউটিউবে বিনিয়োগ শিক্ষা বিষয়ক বিনামূল্যের কন্টেন্ট তৈরি করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (ওচঙ), সেকেন্ডারি মার্কেট, মিউচুয়াল ফান্ড এবং ডেরিভেটিভসের মতো জটিল আর্থিক পণ্যের সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে পারবে, যা বাজারে তাদের অংশগ্রহণ ও আস্থা বৃদ্ধি করবে।

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ইঝঊঈ) এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ে একটি সুসংহত দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। নতুন আর্থিক পণ্য যেমন বন্ড মার্কেট, ডেরিভেটিভস, এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ঊঞঋ) এবং ইসলামিক ফিন্যান্স পণ্য চালু করার মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে আরও গতিশীল করা সম্ভব। বাজারে তালিকাভুক্তির সংখ্যা বাড়াতে বড় ও সম্ভাবনাময় সরকারি-বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আসার জন্য উৎসাহিত করা উচিত। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মুদ্রানীতি, আর্থিক খাতের সুসংহত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতিমালা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এই ধরনের সুপরিকল্পিত দীর্ঘমেয়াদি কৌশল পুঁজিবাজারকে একটি টেকসই ও গতিশীল অবস্থানে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা : বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল, বিশেষ করে যদি বিদ্যমান সমস্যাগুলোর যথাযথ সমাধান করা যায়। সুসংহত নীতিমালা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা গেলে পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। আন্তর্জাতিক মানের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানো হলে পুঁজিবাজারের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

উপসংহার : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংকনির্ভর পুঁজির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে পুঁজিবাজারের মাধ্যমে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য পুঁজিবাজারের সংস্কার ও আধূনিকীকরণ অপরিহার্য। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ- সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে আরও গতিশীল, স্থিতিশীল ও টেকসই করা সম্ভব হবে। একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার দেশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান অর্জনে সহায়তা করবে। এই দিকে যদি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, তবে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও উন্নত ও সামর্র্থ্যবান হয়ে উঠবে।

মাহমুদুল হাসান : এফসিসিএ, ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট, পিকেএসএফ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে