রোববার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

রোমানা হাবীব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
  ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০
পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
নারী অধিকার নিশ্চিত করতে হবে

আজ তোমাদের জন্য কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো

প্রশ্ন : রোকেয়া দিবস কত তারিখ উদযাপিত হয়? বেগম রোকেয়াকে নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয় কেন? নারী নির্যাতনের চারটি কুফল উলেস্নখ করো।

উত্তর : প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস উদযাপিত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সমাজকে সচেতন করার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় বেগম রোকেয়াকে নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয়। নারী নির্যাতনের চারটি কুফল হলো-

১. নারী নির্যাতনের কারণে মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণ বাধাগ্রস্ত হয়।

২. নির্যাতনের কারণে মেয়েদের বাইরে কাজের সুযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৩. অনেক নারী নির্যাতনের কারণে পরিবারের মধ্যে নিজস্ব অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেন না।

৪. নির্যাতনের কারণে অনেক নারীর শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।

প্রশ্ন : আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে? এ দিবসটি কেন পালন করা হয়? এ দিবসটির তাৎপর্য চারটি বাক্য লেখ।

উত্তর : আন্তর্জাতিক নারী দিবস ৮ মার্চ। নারী-পুরুষের বৈষম্য হ্রাস করার জন্য দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটির চারটি তাৎপর্য হলো-

১. নারী-পুরুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবধান কমাতে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়।

২. নারীর অধিকার নিশ্চিত করাসহ নানা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়।

৩. সমাজে নারী-পুরুষের সমতা অর্জনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।

৪. নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছেন এমন মহীয়সীদের এই দিনে স্মরণ করা হয়।

প্রশ্ন : নারী নির্যাতন কী? নারীরা নির্যাতিত হয় কেন? নারী নির্যাতন প্রতিরোধের চারটি উপায় লেখ।

উত্তর : নারী হিসেবে মানবাধিকার খর্ব করাই হচ্ছে নারী নির্যাতন। যৌতুকের জন্য নারীরা নির্যাতিত হয়। নারী নির্যাতন প্রতিরোধের চারটি উপায় হচ্ছে-

১. নির্যাতনের শিকার নারীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়।

২. আইনি সহায়তা প্রদান করা।

৩. জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করা।

৪. সামাজিক মূল্যবোধের উন্নয়ন ঘটানো।

প্রশ্ন : সমাজ কী? সমাজের প্রয়োজন কেন? সমাজের প্রতি আমাদের চারটি কর্তব্য উলেস্নখ করো।

উত্তর : চারপাশের পরিবেশ, মানুষ ও তাদের কাজ নিয়ে আমাদের সমাজ। মানুষ একা বাঁচতে পারে না। সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য সমাজ প্রয়োজন। সমাজের প্রতি আমাদের চারটি কর্তব্য হলো-

১. সমাজের বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলা।

২. সুবিধাবঞ্চিতদের সহযোগিতা করা।

৩. সমাজের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করা।

৪. সমাজের বিভিন্ন সম্পদ যেমন- পার্ক, খেলার মাঠ ইত্যাদি সংরক্ষণ করা।

প্রশ্ন : দুর্ঘটনা কী? দুর্ঘটনা ঘটে কেন? বাড়িতে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার চারটি উপায় লেখ।

উত্তর : অসর্তকতা বা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে হঠাৎ করে যে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তাই দুর্ঘটনা। নিজের কিংবা অন্যের অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা

ঘটে। বাড়িতে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার চারটি উপায় হলো-

১. ছুরি, কাঁচিজাতীয় ধারালো জিনিস সাবধানে ব্যবহার করা।

২. খালি পায়ে বা ভেজা হাতে বৈদু্যতিক সুইচ না ধরা।

৩. ওষুধ ও কীটনাশকের গায়ে স্পষ্ট করে নাম লিখে রাখা, যেন ভুল করে কেউ খেয়ে না ফেলে।

৪. আগুনের ব্যবহারে সতর্ক থাকা।

প্রশ্ন : নাগরিক কারা? নাগরিকরা রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে কেন? একজন সুনাগরিকের চারটি গুণাবলি লেখ।

উত্তর : যারা রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করে এবং রাষ্ট্রের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে তারাই নাগরিক। নাগরিকরা রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও উন্নয়নের স্বার্থে দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালন করে। তারাও বিনিময়ে বিভিন্ন সুবিধা পায়। একজন সুনাগরিকের চারটি গুণাবলি হচ্ছে-

১. রাষ্ট্রের আইন মেনে চলা।

২. নিয়মিত কর প্রদান।

৩. রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট না করা।

৪. রাষ্ট্র প্রদত্ত শিক্ষা গ্রহণ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে