৯. উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

আবদুর রবের একমাত্র ছেলে ফয়সাল। লেখাপড়ায় সে বেশ ভালো। ফয়সালের মামা তাকে ঢাকায় এনে লেখাপড়া করাতে চান। কিন্তু ফয়সাল গ্রামের এ চমৎকার পরিবেশ ছেড়ে কোলাহলপূর্ণ ঢাকায় যেতে চায় না।

প্রশ্ন : (ক) 'হিয়া' অর্থ কী?

উত্তর : 'হিয়া' অর্থ হলো হৃদয়।

প্রশ্ন : (খ) 'চাই না ও অলকায়'্ত এর দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর : 'চাই না ও অলকায়' ্ত এর দ্বারা বোঝানো হয়েছে, প্রকৃতির থেকে দূরে গিয়ে স্বর্গের আবাসস্থলও কবির কাম্য নয়।

কাজী নজরুল ইসলামের 'ঝিঙে ফুল' কবিতায় প্রকৃতির প্রতি কবির গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধের প্রকাশ ঘটেছে। পৌষের বেলা শেষে সবুজ পাতার এ দেশে জাফরান রঙ নিয়ে ঝিঙে ফুল মাচার ওপর ফুটে থাকে। এ সৌন্দর্যে মুগ্ধ কবি প্রজাপতির ডাকে আকাশে এমনকি স্বর্গের অলকাপুরীতেও যেতে চান না। এই মাটি মায়ের গভীর সান্নিধ্যেই থাকতে চান।

প্রশ্ন : (গ) ফয়সালের মামার চাওয়া 'ঝিঙে ফুল' কবিতার প্রজাপতির ডাকের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কিত ্ত ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : ফয়সালের মামার চাওয়া 'ঝিঙে ফুল' কবিতার প্রজাপতির ডাকের সঙ্গে যেভাবে সম্পর্কিত তা হলো- জন্মভূমির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বাহ্যিক সৌন্দর্যের আকর্ষণে সাড়া দেওয়ার আহ্বান।

উদ্দীপকের ফয়সাল লেখাপড়ায় ভালো বলে তার মামা তাকে ঢাকায় রেখে লেখাপড়া করাতে চান।

'ঝিঙে ফুল' কবিতায় ও ঝিঙে ফুলের সৌন্দর্য দেখে প্রজাপতি ও আকাশের তারারা মুগ্ধ। পৌষের শেষ বেলায় সবুজ পাতার দেশে জাফরানি রঙ নিয়ে মাচার ওপরে ঝিঙে ফুল যখন থরে থরে ঝলমলিয়ে ফুটে থাকে, তখন প্রজাপতি তাকে বোঁটা ছিঁড়ে চলে আসার জন্য আহ্বান করে। আকাশের তারারাও তাকে আকাশে চলে যাওয়ার জন্য ডাকে।

উদ্দীপকের ফয়সালের মামার চাওয়া 'ঝিঙে ফুল' কবিতার প্রজাপতি ও তারার ডাকের সঙ্গে উপর্যুক্তভাবে সম্পর্কিত।

প্রশ্ন : (ঘ) 'ফয়সাল এবং ঝিঙে ফুলের ইচ্ছা যেন একই সূত্রে গাঁথা'- উক্তিটির যথার্থতা নির্ণয় করো।

উত্তর : ফয়সাল এবং ঝিঙে ফুলের ইচ্ছা যেন একই সূত্রে গাঁথা- যার নাম নিজস্ব পরিবেশ ও প্রকৃতিপ্রেম। উদ্দীপকের ফয়সালকে তার মামা লেখাপড়ার জন্য ঢাকা নিয়ে যেতে চাইলেও ফয়সাল গ্রামের পরিবেশের মায়ায় পড়ে শহরে যেতে চায় না। 'ঝিঙে ফুল' কবিতার ঝিঙে ফুলও ঝোপঝাড়ে মাচার ওপরে অসংখ্য সবুজ পাতার মধ্যে তার জাফরানি রঙ নিয়ে ফুটে থাকে। এই ফুলগুলো যখন দীর্ঘ লতার মধ্যে তার সোনা রঙ নিয়ে দোল খায়, তখন মনে হয় সে রূপে ঝলমলিয়ে উঠেছে। ঘন পাতায় এই ফুলের রূপে মুগ্ধ হয়ে পাখিরা গান গায়। শ্যামল বাংলা মায়ের পরম মমতায় এই ফুলগুলো ফুটে থাকে। তাই প্রজাপতি আর আকাশের তারার ডাকে ঝিঙে ফুল সাড়া দেয় না। মাটিও প্রকৃতিকে ভালোবেসে সে মাটি-মায়ের কাছাকাছিই থাকতে চায়।

উপর্যুক্ত বক্তব্য থেকে এটিই প্রতীয়মান হয় যে ফয়সাল ও ঝিঙে ফুলের ইচ্ছা একই সূত্রে গাঁথা ্তযার নাম পরিবেশ ও প্রকৃতিপ্রেম।

১০. উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

\হরহিম, শ্যামল ও রোজারিও তিন বন্ধু। ঈদ, পূজা ও বড়দিনে তারা একে অন্যের বাড়ি বেড়াতে যায়। আনন্দ-উৎসবে সুখে-দুঃখে একে অন্যকে সাহায্য-সহযোগিতা করে। এ ধরনের আচরণে তাদের মা-বাবা খুশি। রহিমের বাবা বলেন, 'তোমরা অতি অসাধারণ। তোমাদের মতো সবাই বন্ধুসুলভ হলে এ পৃথিবী আরও সুন্দর বাসস্থান হবে।'

\হ

ক. 'মানুষ জাতি' কোন কাব্য গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?

উত্তর : 'মানুষ জাতি' কবিতাটি কবির 'অভ্র আবীর' কাব্য গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

খ. 'দুনিয়া সবারই জনম বেদি' ্ত এ কথা দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর : 'দুনিয়া সবারই জনম বেদি' ্ত এ কথা দ্বারা বোঝানো হয়েছে- এ পৃথিবী সব মানুষেরই জন্মক্ষেত্র। মানুষ জাতি কবিতার কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বলেছেন, আমাদের এই পৃথিবী জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষেরই বাসভূমি। এই ধরণীর স্নেহ ছায়ায় এবং একই সূর্য ও চাঁদের আলোতে লালিত ও প্রতিপালিত হচ্ছে সব মানুষ। মানুষ আজ কৃত্রিম পরিচয়ে নিজেদের পরিচয়কে সংকীর্ণ করলেও এই সারা পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক হলো এই পৃথিবীই সবার জন্মক্ষেত্র।

\হগ. রহিম, শ্যামল ও রোজারিওর বন্ধুত্বে 'মানুষ জাতি' কবিতার কোন বক্তব্যটি ফুটে উঠেছে ্ত ব্যাখ্যা করো।