বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম য়
  ০৮ জুন ২০২৩, ০০:০০
পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

ব্রিটিশ শাসন

প্রশ্ন : সিপাহি বিদ্রোহের পাঁচটি কারণ লেখো।

1

উত্তর : সিপাহি বিদ্রোহের পাঁচটি কারণ-

১. সেনাবাহিনীতে সিপাহি পদে ভারতীয়দের সংখ্যাধিক্য ছিল।

২. ভারতে বিভিন্ন এলাকার সৈন্যদের মধ্যে সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল।

৩. ১৮৫৬ সালের পর ভারতের বাইরেও সৈন্যদের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

৪. কামান ও বন্দুকের কার্তুজ পিচ্ছিল করার জন্য গরুর এবং শূকরের চর্বি ব্যবহারের গুজব নিয়ে ধর্মীয় অশান্তি সৃষ্টি হয়েছিল।

৫. সৈন্যদের আন্দোলনকে সমর্থন জানানোর জন্য সাধারণ মানুষ প্রস্তুত ছিলেন। তাই এ আন্দোলন দ্রম্নতই সৈন্যদের থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

প্রশ্ন : বাংলার শিক্ষা ও অর্থনীতিতে ব্রিটিশদের প্রভাব পাঁচটি বাক্যে লেখো।

উত্তর : বাংলার শিক্ষা ও অর্থনীতিতে ব্রিটিশদের প্রভাব সম্পর্কিত পাঁচটি বাক্য হলো:

১. ইংরেজদের মাধ্যমে বাংলায় ইংরেজি শিক্ষার প্রচলন হয়।

২. শিক্ষা বিস্তারে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

৩. আধুনিক ও ইংরেজি শিক্ষার ফলে এ দেশে ক্রমে একটা ইংরেজি শ্রেণি গড়ে ওঠে।

৪. ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলার অর্থনীতির মেরুদন্ড কৃষি ও এককালের তাঁতশিল্প প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়।

৫. বাংলার শিল্প, বাণিজ্য ও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রশ্ন : কত সালে বাংলাসহ ভারতের শাসনভার ব্রিটিশ সরকারের হাতে চলে যায়? ব্রিটিশ শাসনের ভালো দিক সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো।

উত্তর : ১৮৫৮ সালে বাংলাসহ ভারতের শাসনভার ব্রিটিশ সরকারের হাতে চলে যায়।

ব্রিটিশ শাসনামলের ভালো দিক সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-

১. নতুন নতুন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার ফলে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি হয়।

২. টেলিগ্রাফ ব্যবস্থার প্রচলন ঘটে।

৩. সড়ক ও রেলপথ উন্নয়নের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়।

৪. শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে উনিশ শতকে বাংলায় নবজাগরণ ঘটে।

প্রশ্ন : ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের গুরুত্ব সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখো।

উত্তর : ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখা হলো-

১. ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ ছিল প্রথম ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম।

২. এই বিদ্রোহের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতবর্ষকে স্বাধীন করা।

৩. সিপাহি বিদ্রোহে বিদ্রোহীরা পরাজিত হলেও এর ফলেই কোম্পানির শাসনের অবসান হয়।

৪. শুরু হয় ব্রিটিশ রাজা তথা রানী ভিক্টোরিয়ার শাসন।

৫. জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকার কোনো বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করবে না বলে রানী ভিক্টোরিয়া প্রতিশ্রম্নতি দেন।

পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে