ব্রিটিশ শাসন
প্রশ্ন : বাংলা নবজাগরণের ফলাফল কী ছিল? পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর : বাংলা নবজাগরণের ফলাফল ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। পাঁচটি বাক্য তা লেখা হলো-
১. উনিশ শতকে বাংলা তথা ভারতে জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশ ঘটে।
২. ১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নামক রাজনৈতিক দল গঠিত হয়।
৩. পূর্ব বাংলা ও আসাম নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ গঠন করা হয়।
৪. বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে বাংলায় তীব্র আন্দোলন গড়ে ওঠে।
৫. ১৯০৬ সালে ভারতীয় মুসলিম লীগ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয়।
প্রশ্ন : কত শতক পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলতে থাকে? এ ধরনের আন্দোলন সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো।
উত্তর : ২০ শতক পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলতে থাকে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-
১. ভারতের বড় আন্দোলনগুলোর মধ্যে ছিল স্বরাজ আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন এবং সশস্ত্র যুব বিদ্রোহ।
২. এ সব আন্দোলনে মাস্টারদা সূর্যসেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এবং ক্ষুদিরামের আত্মত্যাগ ও সাহসিকতা চিরস্মরণীয়।
৩. রাজনৈতিক আন্দোলন তৃতীয় ধাপে নেতৃত্ব দিয়েছেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু এবং শেরে-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক।
৪. কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাদের লেখনীর মাধ্যমে বাঙালির স্বাধিকার চেতনা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন
প্রশ্ন : বাংলা নবজাগরণের ফলাফল কী ছিল? পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর : বাংলা নবজাগরণের ফলাফল ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। পাঁচটি বাক্য তা লেখা হলো-
১. উনিশ শতকে বাংলা তথা ভারতে জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশ ঘটে।
২. ১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নামক রাজনৈতিক দল গঠিত হয়।
৩. পূর্ব বাংলা ও আসাম নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ গঠন করা হয়।
৪. বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে বাংলায় তীব্র আন্দোলন গড়ে ওঠে।
৫. ১৯০৬ সালে ভারতীয় মুসলিম লীগ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয়।
প্রশ্ন : কোন ঐতিহাসিক স্থানটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের কুমিলস্না শহরের কাছে অবস্থিত। স্থানটি বৌদ্ধ সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র ছিল। ঐতিহাসিক স্থানটির নাম কী? স্থানটিতে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলো সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো। উত্তর : ঐতিহাসিক স্থানটির নাম ময়নামতি। ময়নামতিতে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলো সম্পর্কে ৪টি বাক্য হলো-
১. ময়নামতিতে হিন্দু ও জৈন ধর্মের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
২. এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়।
৩. জীবজন্তু অঙ্কিত পোড়ামাটির বিভিন্ন স্মৃতির নিদর্শন দেখা যায়।
৪. ময়নামতিতে বিভিন্ন মুদ্রা ও পাথরের ফলক পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন : ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে একটি ঐতিহাসিক স্থান অবস্থিত। এটি বাংলার নবাবদের প্রাসাদ ছিল। উক্ত স্থানের নাম কী? উক্ত স্থানের ইতিহাস সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো।
উত্তর : ওই স্থানের নাম আহসান মঞ্জিল। আহসান মঞ্জিলের ইতিহাস সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-
১. আহসান মঞ্জিল বাংলাদেশের একটি উলেস্নখযোগ্য স্থাপত্য নিদর্শন।
২. মুঘল আমলে বরিশালের জামালপুর পরগনার জমিদার শেখ এনায়েতউলস্না এ প্রাসাদটি তৈরি করেন।
৩. আঠারো শতকে তার পুত্র শেখ মতিউলস্নাহ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে প্রাসাদটি ফরাসি বণিকদের কাছে বিক্রি করে দেন।
৪. ১৮৩০ সালে খাজা আলিমুলস্নাহ ফরাসিদের কাছ থেকে প্রাসাদটি ক্রয় করে এটিকে আবার প্রাসাদে পরিণত করেন।
প্রশ্ন : ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো কোথায় রাখা হয়? ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো আমাদের সংরক্ষণ করা উচিত কেন চারটি বাক্যে লেখো। উত্তর : ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো প্রদর্শনের জন্য জাদুঘরে রাখা হয়। ঐতিহাসিক নিদর্শন সংরক্ষণ করা উচিত। কারণ-
১. ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো আমাদের অতীত সভ্যতার পরিচয় বহন করে।
২. অতীতের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির পরিচয় বহন করে বলে।
৩. অতীত ইতিহাস জানতে সহায়তা করে।
৪. আমরা এসব ঐতিহ্যে গৌরববোধ করি বলে।
প্রশ্ন : মহাস্থানগড় কোন নামে পরিচিত ছিল? নগরটি কোন আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? মহাস্থান গড়ে প্রাপ্ত তিনটি নিদর্শনের নাম লেখো। উত্তর : মহাস্থানগড় 'পুন্ড্রনগর' নামে পরিচিত ছিল। পুন্ড্রনগর মৌর্য আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত তিনটি নিদর্শন হলো-
১. প্রাচীন বাহ্মী শিলালিপি।
২. পোড়ামাটির ফলক, ভাস্কর্য ধাতব মুদ্রা, পুঁতি।
৩. ৩.৩৫ মিটার লম্বা খোদাই পাথর।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান মহাস্থানগড় সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর : মহাস্থানগড় সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখা হলো-
১. মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থান।
২. এটি বগুড়া শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত।
৩. এখানে বাংলাদেশের প্রাচীনতম ও বৃহৎ নগর পুন্ড্রনগরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।
৪. মহাস্থানগড়ে বাংলাদেশের প্রাচীনতম শিলালিপি পাওয়া গেছে।
৫. এখানে গোবিন্দ ভিটা, লখিন্দরের মেধ' ও 'গোকুল মেধ' নামে ধর্মীয় পুরাকীর্তি রয়েছে।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়