শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান

হাবিবুর রহমান বাপ্পা, সহকারী শিক্ষক, শহীদ বীর-উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
  ১০ জুন ২০২৩, ০০:০০
সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান

১. আচরণিক সূচক (ইবযধারড়ঁৎধষ ওহফরপধঃড়ৎ, ইও)

র. দলীয় কাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ। পাঠ্যপুস্তকে বর্ণিত কাজগুলো সম্পন্ন করা এবং বইয়ের নির্ধারিত স্থানে প্রয়োজনীয় ছক অনুশীলনী পূরণ করা দলীয় ও একক কাজের বিভিন্ন ধাপে সততার পরিচয় দেওয়া।

রর. নিজের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অন্যের কাজে সহযোগিতা করা এবং দলের সমন্বয় সাধন করা।

ররর. দলের অন্যদের কাজের ওপর ভিত্তি করে গঠনমূলক ফিডব্যাক দেওয়া।

রা. ব্যক্তিগত যোগাযোগ, উপস্থাপন, মডেল তৈরি, উপকরণ নির্বাচন ও ব্যবহার ইত্যাদির ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধ বৈচিত্র্যময়তা ও নান্দনিকতা বজায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

২. পারদর্শিকতার সূচক, চবৎভড়ৎসধহপব ওহফরপধঃড়ৎ চও

কাজের শিরোনাম : সবাই মিলে বাঁচি

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশন

প্রথমেই তোমাদের প্রতিটি গ্রম্নপ একটি করে নমুনা ছবি (পশু/পাখি /পোকামাকড়) পাবে (নমুনার ছবিগুলো হয় প্রজেক্টরের মাধ্যমে অথবা ফটোকপি করে তোমাদের গ্রম্নপে দেওয়া হবে) সেখান থেকে নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে হবে-

১. উলিস্নখিত প্রাণীগুলোর খাদ্যাভাস, বাসস্থান, পরিবেশের ধরন সম্পর্কে লিখতে হবে-

২. প্রাণীগুলো নিজ পরিবেশে টিকিয়ে রাখতে কীভাবে সাহায্য করে তার ব্যাখ্যা-

৩. জীববৈচিত্র্যের উদ্ভব কি করে হলো তা ব্যাখ্যা করতে হবে- (তোমাদের অনুসন্ধানী বইয়ের প্রথম অধ্যায় জীববৈচিত্র্য পড়লে উত্তর দিতে পারবে)

তৃতীয়, চতুর্থ ও চূড়ান্ত উপস্থাপনের দিন

তোমাদের জানা নিজ এলাকার পশুপাখি ও পোকামাকড়ের তালিকা তৈরি করার পর এখান থেকে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করে যে কোনো একটি পশু/পাখি অথবা পোকামাকড় নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে। উক্ত প্রতিবেদনে যে বিষয়সমূহ উলেস্নখ করতে হবে তা হলো-

১. কীভাবে তথ্য সংগৃহীত হয়েছে?

২. পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সদস্যদের ভূমিকা কি ছিল?

৩. পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন এসেছে কিনা?

৪. দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া কি ছিল?

যে সকল নমুনা ছবি তোমাদের দেওয়া হবে তা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য (নমুনা-১)

উলিস্নখিত নমুনা চিত্রের প্রাণীগুলো বিভিন্ন প্রকার বিড়ালের

নিম্নে তাদের বৈশিষ্ট্য উলেস্নখ করা হলো-

সিলন বিড়াল :

১. সিলন বিড়াল খুব শান্ত এবং ভারসাম্যপূর্ণ প্রাণী।

২. এরা পোষা প্রাণী হিসেবে বেশ জনপ্রিয়।

৩. এরা মালিকের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করে এবং এটি সামাজিক একটি প্রাণী।

নরওয়েজিয়ান বন বিড়াল :

নরওয়েজিয়ান বনবিড়ালের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো :

১. এরা লম্বা পুরো আবরণ ও বড় আকার।

২. এর মাথাটি উল্টানো ত্রিভুজের মতো আকৃতির যার উপরে ভারী গোলাকৃতির মাঝারি থেকে বড় কান রয়েছে।

৩. একটি লম্বা গুল্মযুক্ত লেজ রয়েছে।

মেছো বিড়াল

মেছো বিড়াল এ দেশে এখনো দুর্লভ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায়নি। চেহারার আদল এবং গায়ের ডোরা প্রায় বাঘের মতো হওয়ার কারণে এ প্রাণীকে অনেকেই বলেন মেছো বাঘ, ছোট বাঘ, বাঘুইলা বা মেচি বাঘ।

মেছো বিড়াল লেজসহ লম্বায় সাড়ে তিনফুট। ওজনে ১২-১৩ কেজি ভারী। দেহের সাথে খাটো পা এদের আকৃতি অন্যসব বিড়াল থেকে কিছুটা আলাদা করে ফেলে।

মেছো বাঘ মূলত মাছ এবং কাঁকড়াভুক্ত হলেও এদের খাদ্য তালিকায় শামুক, মোরগ-মুরগি, হাঁস, ছাগল, ভেড়া এবং বাছুর অন্তর্ভুক্ত। খাদ্যাভাব দেখা দিলে ওরা মানুষের ঘরে ঢুকে শিশু বা বাচ্চা তুলে নিয়ে যায়।

মাছ ধরার জন্য মেছো বিড়াল পানিতে নামে না। পানির উপর কোনো গাছের ডালে বা পানির উপর জেগে থাকা কোনো পাথরের উপরে বসে থাবা দিয়ে শিকার ধরে।

উলিস্নখিত প্রাণী তিনটি বিড়ালের বিভিন্ন প্রজাতি।

নমুনা ২

পাতিহাঁস :

বৈশিষ্ট্য :

১. পালকের রং খাকি, মাথা এবং ঘাড় ব্রোঞ্জ রঙের, পা ও পায়ের পাতার রং হাঁসার হলুদ, হাঁসির কালো। ঠোঁটের রং হাঁসা নীলাভ, হাঁসি কালো।

২. ডিমের উদ্দেশ্যে এ জাতের হাঁস পালন করা হলেও ডিম পাড়ার পর স্ত্রী হাঁস এবং হাঁসাকে মাংস হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

৩. এ হাঁসের মাংসও মুরগির মতোই পুষ্টিকর।

৪. এই হাঁস কেবল খাবার ও গলা ডোবানোর জন্য প্রয়োজনীয় পানি পেলেই সহজ ও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে। তাই পুকুর বা অন্যান্য জলাশয় ছাড়াই এ হাঁস পালন সম্ভব।

৫. খাকি ক্যাম্পবেল জাতের হাঁস বেশ কষ্টসহিষ্ণু।

৬. খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস সাড়ে ৪ মাস বয়স থেকেই ডিম দিতে শুরু করে এবং বছরে গড়ে প্রায় ২৫০-৩০০টি পর্যন্ত ডিম দেয়।

৭. ডিমের রং সাদা এবং আকারও অপেক্ষাকৃত বড়।

৮. খাকি ক্যাম্পবেল জাতের হাঁসের বয়ঃপ্রাপ্তদের ওজন ২-২.৫ কেজি হয়ে থাকে।

৯. এ জাত টানা ১-৩ বছর পর্যন্ত একই হারে ডিম পাড়ে।

সারস পাখি :

এগুলো দলবেঁধে বাসা বাঁধে ও বাচ্চা প্রসব করে সাগর অথবা হ্রদপাড়ের ঝোপঝাড়ে। ডিম পাড়ে বর্ষা মৌসুমে, সে সময় ডালপালা, খড়কুটো, ঘাস ইত্যাদি জড়ো করে ভেলার মতো করে তার ওপর ডিম পাড়ে। যাতে শিয়াল, কুকুর বা অন্য বন্যপ্রাণী কোনো ক্ষতিসাধন করতে না পারে। ঘোলাটে সাদা রঙের ২টা ডিম দেয়। নারী ও পুরুষ উভয় সারসই ডিমে তা দেয়। তিন সপ্তাহ ধরে।

\হ হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে