প্রশ্ন : বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান মহাস্থানগড় সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর : মহাস্থানগড় সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখা হলো-
১. মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থান।
২. এটি বগুড়া শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত।
৩. এখানে বাংলাদেশের প্রাচীনতম ও বৃহৎ নগর পুন্ড্রনগরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।
৪. মহাস্থানগড়ে বাংলাদেশের প্রাচীনতম শিলালিপি পাওয়া গেছে।
৫. এখানে গোবিন্দ ভিটা, লখিন্দরের মেধ' ও 'গোকুল মেধ' নামে ধর্মীয় পুরাকীর্তি রয়েছে।
প্রশ্ন : ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো পরিদর্শনের পাঁচটি কারণ লেখো।
উত্তর : ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের পাঁচটি কারণ হলো-
১. অতীতের সংস্কৃতি ও সভ্যতা সম্পর্কে জানা যায়।
২. পর্যটকরা এসব স্থান ভ্রমণ করে আনন্দের পাশাপাশি অনেক কিছু শেখার জন্য।
৩. ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই।
৪. নিদর্শনগুলোর সঠিক ইতিহাস জানা যায়।
৫. ঐতিহাসিক স্থানগুলোর ছবি সংগ্রহে রাখা যায়।
প্রশ্ন : পাহাড়পুরের গড়ের উচ্চতা কত মিটার? পাহাড়পুরের গড়টি কী নামে পরিচিত? পাহাড়পুরের প্রাপ্ত তিনটি ঐতিহাসিক নিদর্শনের নাম লেখো।
উত্তর : পাহাড়পুরের গড়ের উচ্চতা ২৪ মিটার। পাহাড়পুরের গড়টি সোমপুর মহাবিহার নামে পরিচিত।
পাহাড়পুরের প্রাপ্ত তিনটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হলো-
১. মন্দির ২. জীবজন্তুর মূর্তি ৩. টেরাকোটা
প্রশ্ন : লালবাগ দুর্গ কোন নদীর তীরে অবস্থিত? লালবাগ দুর্গের বিশেষ বৈশিষ্ট্য কোনটি? লালবাগ দুর্গের ওপর গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বাক্য লেখো। উত্তর : লালবাগ দুর্গ বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। লালবাগ দুর্গের বৈশিষ্ট্য হলো- এটি সম্পূর্ণ ইটের তৈরি।
লালবাগ দুর্গ সম্পর্কে তিনটি বাক্য হলো-
১. ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ১৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে লালবাগ দুর্গ নির্মাণ করা হয়।
২. দুর্গের মাঝখানে খোলা জায়গায় মোঘল শাসকরা তাঁবু টানিয়ে বসবাস করতেন।
৩. দুর্গের দক্ষিণে গোপন প্রবেশপথ এবং একটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ রয়েছে।
প্রশ্ন : আহসান মঞ্জিল কোন নদীর তীরে অবস্থিত? প্রাসাদটি কে তৈরি করেছিলেন? প্রাসাদটি সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখো।
উত্তর : আহসান মঞ্জিল বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। প্রাসাদটি তৈরি করেন জমিদার শেখ এনায়েতউলস্না।
প্রাসাদটি সম্পর্কে তিনটি বাক্য হলো-
১. প্রাসাদটির উত্তর-দক্ষিণে রয়েছে লম্বা বারান্দা।
২. এ ছাড়া রয়েছে জলসা ঘর, দরবার হল, রংমহল।
৩. বর্তমানে প্রাসাদটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত কেন?
উত্তর : বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। এসব ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখার মাধ্যমে জ্ঞানলাভ করা যায়। এগুলো আমাদের অতীত সভ্যতা ও সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে। আমরা এসব ঐতিহ্যে গৌরব বোধ করি। তাই ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হওয়া প্রয়োজন।
আমাদের অর্থনীতি : কৃষি ও শিল্প
প্রশ্ন : আমাদের দেশে দিন দিন একটি ফসলের চাষ প্রসার লাভ করেছে। যেটি দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে বেশি হয়। ফসলটির নাম কী? ফসলটি কখন চাষ করা হয়? ফসলটি সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখো।
উত্তর : ফসলটির নাম গম। গম শীতকালে চাষ করা হয়। গম সম্পর্কে তিনটি বাক্য-
১. বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে গম উৎপাদন বেশি হয়।
২. গমের আটায় তৈরি বিভিন্ন খাবারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
৩. শীতকালে গমের চাষ করা হয়।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের প্রধান ফসল যেটি দেশের প্রায় সর্বত্র উৎপন্ন হয়। ফসলটির নাম কী? ফসলটি সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো। উত্তর : ফসলটির নাম ধান।
ধান সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-
১. আমাদের তিনটি প্রধান খাদ্যশস্যের একটি হচ্ছে ধান।
২. বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলের জলবায়ু ও অগভীর জলভূমি ধান চাষের জন্য উপযোগী।
৩. বাংলাদেশে আউশ, আমন, বোরো এই তিন ধরনের ধানের চাষ বেশি হয়।
৪. ধান তথা ভাত এ দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য।
প্রশ্ন :বাংলাদেশের একটি অর্থকরী কৃষিপণ্য সিলেট ও চট্টগ্রাম এলাকায় বেশি উৎপন্ন হয়। এ অর্থকরী কৃষিপণ্যটির নাম কী? কৃষিপণ্যটি সম্পর্কে চারটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লেখো।
উত্তর : এ অর্থকরী কৃষিপণ্যটির নাম চা। চা সম্পর্কে চারটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো-
১. চা রপ্তানি করে বাংলাদেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
২. বর্তমানে দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলায়ও চা চাষ হচ্ছে।
৩. বিশেষ সুনাম থাকায় বিদেশে বাংলাদেশের চায়ের অনেক চাহিদা আছে।
৪. বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রশ্ন : কারখানায় কার্পেট, রশি, বস্তা তৈরি হয়। এগুলো তৈরিতে কী ব্যবহার করা হয়। উক্ত দ্রব্য সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো। উত্তর : কার্পেট, রশি, বস্তা তৈরিতে পাট ব্যবহার করা হয়। পাট সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-
১. কাঁচামাল হিসেবে পাট আমরা বিদেশে রপ্তানি করি।
২. পাটজাত বিভিন্ন পণ্যও বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
৩. পাটকল নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, খুলনার দৌলতপুরসহ নদীতীরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত।
৪. পরিবহণ সুবিধার কারণে পাটকলগুলো নদীতীরবর্তী অঞ্চলে স্থাপন করা হয়।
পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়