শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম য়
  ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

উত্তর :

যোগাযোগ প্রযুক্তি - টেলিফোন।

তথ্য সংরক্ষণ - ক্যামেরা।

তথ্যের উৎস - টেলিভিশন।

তথ্য সংগ্রহের একটি উপায় - পর্যবেক্ষণ।

টেলিগ্রাফ - ব্যারন শিলিং।

তারের মধ্য দিয়ে সংকেত পাঠানো - স্যামুয়েল মোর্স।

টেলিফোন - আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল।

দেয়ালে ছবি আঁকা - লিথোগ্রাফ।

পেনড্রাইভ - তথ্য সংরক্ষণ।

টেলিভিশন - তথ্য সংগ্রহ।

প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় এমন চারটি ক্ষেত্রের নাম লেখ।

উত্তর : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যেমন- ব্যবসা, শিক্ষা, চিকিৎসা ও কৃষি।

প্রশ্ন: তথ্য বিনিময়ের সময় কোন কোন বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হতে হবে?

উত্তর : তথ্য বিনিময়ের সময় কোন তথ্যটি বিনিময় করতে চাচ্ছি এবং তা সঠিকভাবে বিনিময় করছি কি না সে বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হতে হবে।

প্রশ্ন: তথ্য সংগ্রহের চারটি উৎসের নাম লেখ।

উত্তর : তথ্য সংগ্রহের বিভিন্ন উৎস রয়েছে। যেমন- জনসাধারণ, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, ইন্টারনেট ইত্যাদি।

প্রশ্ন: তথ্যের যথাযথ ব্যবহারের চারটি ধাপ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : তথ্যের যথাযথ ব্যবহার বলতে বোঝায় তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিনিময়। নিচের ধাপগুলোর মাধ্যমে তথ্যের যথাযথ পদ্ধতি দেখানো হলো-

ধাপ ১ : কোন বিষয়ের তথ্য প্রয়োজন তা নির্দিষ্ট করা- আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে প্রচুর তথ্যের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে রয়েছে সংবাদ, আবহাওয়া, খেলাধুলা, বিভিন্ন ঘটনা, উন্নত চিন্তাধারা বা মানুষের জীবনের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য।

ধাপ ২ : তথ্যের উৎস ও সংগ্রহের উপায় নির্ণয়- আমাদের অবশ্যই প্রয়োজনীয় তথ্যের উৎস ও তা সংগ্রহের উপায় নির্ণয় করতে হবে। পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে, সরাসরি মানুষকে জিজ্ঞাসা করে আমরা তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। তথ্যের বিভিন্ন উৎস রয়েছে। যেমন- জনসাধারণ, সংবাদপত্র, বই, রেডিও, টিভি, ইন্টারনেট ইত্যাদি।

ধাপ ৩ : তথ্য সংগ্রহ-প্রয়োজনীয় তথ্যটি নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে ও সর্বোত্তম উপায়ে সংগ্রহ করতে হবে। তথ্যটি সংগ্রহের সময় অবশ্যই তা সংরক্ষণ করতে হবে। আমরা নোটবই বা কাগজে লিখে তথ্য সংরক্ষণ করতে পারি। আবার বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ প্রযুক্তি যেমন- ক্যামেরা, সিডি, ডিভিডি ইত্যাদি ব্যবহার করেও তথ্য সংরক্ষণ করা যায়।

ধাপ ৪ : তথ্য বিনিময়-তথ্য বিনিময়ের পূর্বে সংরক্ষিত তথ্য সুন্দরভাবে সাজাতে হবে। তথ্য বিনিময়ের সময় কোন তথ্যটি বিনিময় করতে চাচ্ছি এবং তা সঠিকভাবে বিনিময় করছি কি না সে বিষয়ের অধিক মনোযোগী হতে হবে।

প্রশ্ন: কীভাবে তথ্য সংরক্ষণ করা যায় ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : কাগজে লিখে এবং বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্য সংরক্ষণ করা যায়।

প্রতিদিন আমরা প্রচুর তথ্য পাই। এই তথ্যের পরিমাণ খুব দ্রম্নত বাড়ছে। তথ্যের যথাযথ ব্যবহারের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দু'টি ভাগ হলো- যোগাযোগ প্রযুক্তি ও তথ্য সংরক্ষণ প্রযুক্তি। আমরা নোট বই বা কাগজে লিখে তথ্য সংরক্ষণ করতে পারি। আবার বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ প্রযুক্তি যেমন- ক্যামেরা, সিডি, ডিভিডি ইত্যাদি ব্যবহার করেও তথ্য সংরক্ষণ করা যায়।

প্রশ্ন: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? কী কী?

উত্তর : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- ক) যোগাযোগ প্রযুক্তি, খ) তথ্য ও সংরক্ষণ প্রযুক্তি।

প্রশ্ন: টেলিফোন কে এবং কত সালে আবিষ্কার করেন?

উত্তর : আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল ১৮৭৬ সালে টেলিফোন আবিষ্কার করেন।

প্রশ্ন: যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত তিনটি আইসিটি যন্ত্রের নাম লেখ।

উত্তর : যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত তিনটি আইসিটি যন্ত্র হলো ক) কম্পিউটার, খ) মোবাইল ফোন এবং গ) ইন্টারনেট।

প্রশ্ন: তথ্যের যথাযথ ব্যবহার বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : তথ্যের যথাযথ ব্যবহার বলতে তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিনিময় বোঝায়।

প্রশ্ন: তথ্যের যথাযথ ব্যবহারের চারটি ধাপ কী কী?

উত্তর : তথ্যের যথাযথ ব্যবহারের চারটি ধাপ হলো- ক) কোন বিষয়ের তথ্য প্রয়োজন তা নির্দিষ্ট করা, খ) তথ্যের উৎস ও সংগ্রহের উপায় নির্ণয়, গ) তথ্য সংগ্রহ ও ঘ) তথ্য বিনিময়।

প্রশ্ন: তথ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত তিনটি প্রযুক্তির নাম লেখ।

উত্তর : তথ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত তিনটি প্রযুক্তি হলো-

ক) ক্যামেরা, খ) সিডি ও গ) ডিভিডি।

প্রশ্ন: আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্য কোথা থেকে জানা যায়?

উত্তর : আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্য বিভিন্ন মাধ্যম যেমন- রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও ইন্টারনেট ইত্যাদি থেকে জানা যায়।

প্রশ্ন: যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত তিনটি আইসিটি যন্ত্রের নাম লেখ।

উত্তর : যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত তিনটি আইসিটি যন্ত্র হলো- ক) কম্পিউটার, খ) মোবাইল ফোন ও গ) ইন্টারনেট।

প্রশ্ন: আমাদের জীবনে তথ্যের গুরুত্ব উলেস্নখ কর।

উত্তর : তথ্য ব্যবহার করে আমরা জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে পারি বলে আমাদের জীবনে তথ্যের গুরুত্ব অপরিসীম।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সহজ করে। কারণ এ প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা বিভিন্ন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। ব্যবসা, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিভিন্ন তথ্য ব্যবহার করে আমরা লাভবান হতে পারি। যেমন- জমিতে কোন ফসলের জন্য কী পরিমাণ সার দিতে হবে, কখন কোন ফসল ফলাতে হবে, এ ধরনের তথ্য যথাযথভাবে ব্যবহার করে আমরা ফসল উৎপাদন বাড়াতে পরি। এভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে