প্রশ্ন : ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?
উত্তর : যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ১০টি (০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯) প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে ডেসিমেল বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি বলে। যেমন- (১২০)১০। দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত মোট ১০টি প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় বলে এর বেজ বা ভিত্তি হচ্ছে ১০। ইউরোপে আরবরা এই সংখ্যা পদ্ধতির প্রচলন করায় অনেকে এটিকে আরবি সংখ্যা পদ্ধতি নামেও অভিহিত করেন। মানুষ সাধারণত গণনার কাজে ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করে।
প্রশ্ন : হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?
উত্তর : যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ১৬টি (০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯, অ,ই,ঈ,উ,ঊ,ঋ) প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। যেমন- (১২০৯অ)১৬। হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে মোট ১৬টি প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় বলে এর বেজ বা ভিত্তি হচ্ছে ১৬। হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিকে চার বিট সংখ্যা পদ্ধতিও বলা হয়। কারণ হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ১৬টি (০,১,২,৩,,৫,৬,৭,৮,৯,অ,ই,ঈ,উ,ঊ,ঋ) প্রতীক বা চিহ্নকে চার বিটের মাধ্যমেই প্রকাশ করা যায়। ডিজিটাল সিস্টেমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাইনারি সংখ্যাকে নির্ভুল ও সহজে উপস্থাপন করার জন্য হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন মেমোরি অ্যাড্রেস ও রং-এর কোড হিসেবে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন : চিহ্নযুক্ত সংখ্যা (ঝরমহবফ ঘঁসনবৎ) বলতে কি বুঝ? ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর :দৈনন্দিন গাণিতিক কাজে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। ধনাত্মক ও ঋণাত্মক সংখ্যা বোঝানোর জন্য সংখ্যার আগে +/- চিহ্ন দিতে হয়। চিহ্ন বা সাইনযুক্ত সংখ্যাকে চিহ্নযুক্ত সংখ্যা বা সাইন্ড নাম্বার বলে।
প্রশ্ন :কাউন্টার কি?
উত্তর :কাউন্টার এক ধরনের সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সফার রেজিস্টার।
প্রশ্ন :বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ কাকে বলে?
উত্তর :বুলিয়ান অ্যালজেবরায় সমস্ত গাণিতিক কাজ করা হয় যৌক্তিক যোগ ও যৌক্তিক গুণের সাহায্যে। বুলিয়ান অ্যালজেবরায় শুধু যৌক্তিক যোগ ও যৌক্তিক গুণের নিয়মগুলোকে বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ বলে।
প্রশ্ন :অ্যাসকি (অঝঈওও) কি?
উত্তর :অঝঈওও-এর পূর্ণ নাম অসবৎরপধহ ঝঃধহফধৎফ ঈড়ফব ঋড়ৎ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ওহঃবৎপযধহমব। অঝঈওও আধুনিক কম্পিউটারে বহুল ব্যবহৃত কোড। কম্পিউটার এবং ইনপুট বা আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে তথ্য স্থানান্তরের জন্য এ কোড ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন : ইঈউ কী?
উত্তর : ইঈউ-এর পূর্ণরূপ হলো ইরহধৎু ঈড়ফবফ উবপরসধষ. দশমিক সংখ্যার প্রতিটি অঙ্ককে অর্থাৎ ০ থেকে ৯ পর্যন্ত দশটি অংকের প্রতিটিকে উহার সমতুল্য ৪ (চার) বিট বাইনারি ডিজিট দ্বারা প্রতিস্থাপন করাকে ইঈউ কোড বলে।
প্রশ্ন : হেক্সাডেসিমেল ৪ বিটের কোড ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ০ - ঋ পর্যন্ত মোট ১৬টি সংখ্যা ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ এই সংখ্যা পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সংখ্যাটি ঋ, এর বাইনারি (ঋ)২ = (১১১১)২। যেহেতু হেক্সাডেসিমালের সর্বোচ্চ সংখ্যাটি প্রকাশ করতে ৪টি বিটের প্রয়োজন পড়েছে। সেহেতু বলা যায় যে, হেক্সাডেসিমাল ৪ বিটের কোড।
প্রশ্ন : বুলিয়ান অ্যালজেবরা কি?
উত্তর : ১৮৪৭ সালে ইংরেজ গণিতজ্ঞ জর্জ বুলি (এবড়ৎমব ইড়ড়ষব) সর্বপ্রথম যে অ্যালজেবরা নিয়ে আলোচনা করেন তাই বুলিয়ান অ্যালজেবরা। বুলিয়ান অ্যালজেবরায় শুধুমাত্র বুলিয়ান যোগ ও গুণ-এর সাহায্যে সমস্ত কাজ করা হয়। যোগ ও গুণের ক্ষেত্রে বুলিয়ান অ্যালজেবরা কতকগুলো নিয়ম মেনে চলে। এ নিয়মগুলোকে বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ বলে।
প্রশ্ন : দশমিক ও বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির পার্থক্য লিখ।
উত্তর : যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা গণনা করার জন্য ১০টি অঙ্ক বা প্রতীক ব্যবহৃত হয় তাকে ডেসিম্যাল বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি বলে। অপরদিকে, যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা গণনা করার জন্য ২টি অঙ্ক বা প্রতীক ব্যবহৃত হয় তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলে।
দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির বেজ ১০। অপরদিকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির বেজ ২।
প্রশ্ন : ২-এর পরিপূরক কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর : সাধারণত যোগ এবং বিয়োগ দুটি ভিন্ন অপারেশন। কম্পিউটারে সব ডেটা এবং তথ্য শুধুমাত্র ০ এবং ১ দিয়ে গঠিত হওয়ায় এবং কম্পিউটারের শুধু যোগ করার ক্ষমতা থাকায় এতে ২-এর পরিপূরক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। এতে যে সংখ্যাটিকে বিয়োগ করতে হবে তাকে ২ এর পরিপূরক করে অন্যটির সাথে যোগ করলেই হয়। তাই যোগ ও বিয়োগের জন্য আলাদা অপারেশন করার দরকার পড়ে না। তাই ২-এর পরিপূরক গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন : কেন ঘঅঘউ ও ঘঙজ গেইটকে সর্বজনীন গেইট বলা হয়?
উত্তর : যে সকল গেইটের সাহায্যে মৌলিক গেইটসহ অন্যান্য সকল প্রকার গেইট তৈরি বা বাস্তবায়ন করা যায় সেই সমস্ত গেইটকে সর্বজনীন গেইট বলে। মৌলিক গেইট দ্বারা অন্যান্য সকল প্রকার গেইট তৈরি বা বাস্তবায়ন করা যায় সেইভাবে ঘঅঘউ ও ঘঙজ দিয়েও মৌলিক গেইটসহ অন্যান্য সকল গেইটকে প্রকাশ করা যায়। এই জন্য ঘঅঘউ ও ঘঙজ-কে সর্বজনীন (টহরাবৎংধষ) গেইট বলা হয়।
প্রশ্ন : কি-বোর্ড থেকে ইনপুট দেয়ার ক্ষেত্রে কোন সার্কিটটি ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : কি-বোর্ড থেকে ইনপুট দেওয়ার জন্য যে সার্কিট ব্যবহৃত হয় তা হলো এনকোডার। যে ডিজিটাল বর্তনীর মাধ্যমে মানুষের বোধগম্য ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তরিত করা হয় অর্থাৎ আনকোডেড ডেটাকে কোডেড ডেটায় পরিণত করা হয় তাকে এনকোডার বলে।
প্রশ্ন : অ + ই কোন গেটকে সমর্থন করে?
উত্তর : অ + ই ঙজ গেটকে সমর্থন করে। যে লজিক গেটে দুই বা দুইয়ের বেশি ইনপুট থাকে এবং যৌক্তিক যোগের মাধ্যমে একটি মাত্র আউটপুট পাওয়া যায় তাকে ঙজ গেট বলে। ঙজ গেটে সকল ইনপুট ০ হলে আউটপুট ০ হয় এবং যে কোনো একটি ইনপুট ১ হলে আউটপুট ১ হয়। ঙজ গেট যৌক্তিক যোগের প্রতিনিধিত্ব করে।
প্রশ্ন : বুলিয়ান অ্যালজেবরায় ধনাত্মক ও ঋণাত্মক যুক্তি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : যে যুক্তি পদ্ধতিতে +৫ ভোল্টকে যৌক্তিক ১ এবং ০ ভোল্টকে ০ ধরা হয় তাকে ধনাত্মক যুক্তি পদ্ধতি বলা হয়। অপরপক্ষে যে যুক্তি পদ্ধতিতে ৫ ভোল্টকে যৌক্তিক ১ এবং ০ ভোল্টকে ০ ধরা হয় তাকে ঋণাত্মক যুক্তি পদ্ধতি বলা হয়।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়