প্রশ্ন : কঠিন পদার্থের আকৃতি সবসময় একই থাকে কেন?
উত্তর : কঠিন পদার্থসমূহ দৃঢ় হওয়ায় এদের আকৃতি সবসময় একই থাকে।
প্রশ্ন : বায়ু কী?
উত্তর : বায়ু বা বাতাস এক ধরনের পদার্থ যার ভর এবং আয়তন আছে কিন্তু আকার নেই। বায়ুর ঘনত্ব ০.০০১২৯ ম/পস্ব৩
প্রশ্ন : ওজন কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বস্তুর ওপর অভিকর্ষীয় ক্ষেত্র দ্বারা প্রযুক্ত বলের মানকে ওজন বলে। ওজনকে সাধারণত ড দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্ন : ভৌত পরিবর্তন কাকে বলে?
উত্তর : যে পরিবর্তনে পদার্থ মৌলিকভাবে পরিবর্তিত হয় না তাকে ভৌত পরিবর্তন বলে। যেমন- বরফ গলানো, কাচ ভাঙা ভৌত পরিবর্তন।
প্রশ্ন : পদার্থের ধর্ম ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে জড়িত আছে শুধু সেই জিনিসগুলোকেই আমরা বস্তু বা পদার্থ বলে থাকি, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মহাবিশ্বের যা কিছু আছে সমস্তই পদার্থ। কখনো পদার্থগুলোকে দেখতে পাওয়া যায় আবার কখনো দেখা যায় না। কখনো স্পর্শ করা যায় কখনো যায় না। পদার্থের আকার, আয়তন, ভর থাকে।
প্রশ্ন : পদার্থের বৈশিষ্ট্য কী কী? উদাহরণ দিয়ে বুঝাও।
উত্তর : পদার্থের কিছু সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন- ১. পদার্থ জায়গা দখল করে। ২. পদার্থ বল প্রয়োগে বাধার সৃষ্টি করে। ৩. পদার্থের নির্দিষ্ট ওজন আছে। ৪. তাপ দিলে পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন হয়। ৫. পদার্থ একাধিক অবস্থায় থাকতে পারে। উদাহরণ : পানি একটি পদার্থ। কারণ পানির ওজন আছে, বল প্রয়োগে বাধার সৃষ্টি করে, তাপ প্রয়োগ করে তরলে পরিণত করা যায় এবং অধিক পরিমাণে তাপ দিলে তা বাষ্পে পরিণত হয়। আবার তাপ অপসারণ করে পানিকে কঠিন বরফে পরিণত করা যায়।
প্রশ্ন : শক্তির ধারণা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে। পৃথিবীর মোট শক্তির পরিমাণ ধ্রম্নব। শক্তির ধ্বংস বা সৃষ্টি নেই, কেবল রূপান্তর রয়েছে। এটিই শক্তির নিত্যতার সূত্র। শক্তির বিভিন্ন রূপ রয়েছে, যেমন- আলো, তাপ, শব্দ।
প্রশ্ন : লোহার ঘনত্ব ৭.৮ ম/পস্ব৩ বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : লোহার ঘনত্ব ৭.৮ ম/পস্ব৩ বলতে বুঝায় প্রতি ঘন সেন্টিমিটার লোহার টুকরার ভর ৭.৮ গ্রাম।
প্রশ্ন : হালকা অ্যালুমিনিয়ামের কয়েন পানিতে ডুবে গেলেও ভারি কাঠের গুঁড়ি পানিতে ভাসে কেন?
উত্তর : একটি বস্তুর ভাসা এবং ডোবা সেই বস্তুর ভরের উপর নির্ভর করে না, তার ঘনত্বের উপর নির্ভর করে। অ্যালুমিনিয়ামের ঘনত্ব পানির ঘনত্বের চেয়ে বেশি যার কারণে সেটি পানিতে ডুবে যায় পক্ষান্তরে কাঠের গুঁড়ির ঘনত্ব পানির চেয়ে কম তাই সেটি ভাসে।
প্রশ্ন : উদ্ভিদের খাদ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া একটি রাসায়নিক পরিবর্তন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সাধারণত সবুজ উদ্ভিদ সূর্যের আলোর
উপস্থিতিতে বায়ুমন্ডলের কার্বন-ডাইঅক্সাইড এবং মূল দ্বারা শোষিত পানিকে কাজে লাগিয়ে শর্করা জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করে। এ ক্ষেত্রে উদ্ভিদ বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন ত্যাগ করে, যা আমরা গ্রহণ করি। এ বিক্রিয়া বিক্রিয়ক এবং উৎপাদের ধর্ম সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই এটি একটি রাসায়নিক পরিবর্তন।
প্রশ্ন : একটি দাড়িপালস্নার ডানপাশে ২.৫ কেজি ভরের একটি বস্তু এবং বামপাশে ২৯০০ গ্রামের টমেটো রাখা হলো। তাহলে দাড়িপালস্নার কোনপাশ ভূমি থেকে বেশি উচ্চতায় থাকবে? প্রতিটি টমেটোর ভর ১০০ গ্রাম হলে, দুইপাশ একই উচ্চতায় রাখতে কতটি টমেটো নামাতে বা উঠাতে হবে?
উত্তর : যে পাশে বস্তুর ভর বেশি সে পাশ অপরপাশ থেকে নিচে থাকবে।
এখানে দাড়িপালস্নার ডানপাশের বস্তুর ভর = ২.৫ কেজি
= ২৫০০ গ্রাম এবং বামপাশে টমেটোর ভর ২৯০০ গ্রাম। সুতরাং ডানপাশে কম ভর থাকায় ডানপাশ ভূমি থেকে বেশি উচ্চতায় থাকবে।
দুইপাশ একই উচ্চতায় রাখতে হলে দুইপাশের ভর সমান হতে হবে। এখানে বামপাশে ভর
(২৯০০ ু ২৫০০)
= ৪০০ গ্রাম বেশি।
সুতরাং বামপাশ থেকে ৪০০ গ্রাম ভর কমাতে হবে। প্রতিটি টমেটোর ভর ১০০ গ্রাম হওয়ায়, ৪০০ গ্রামের জন্য (৪০০/১০০) বা ৪টি টমেটো দাড়িপালস্না থেকে নামাতে হবে।
প্রশ্ন : পদার্থ কাকে বলে? পদার্থের অবস্থা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যা জায়গা দখল করে এবং যার ভর আছে তাকেই পদার্থ বলে। মহাবিশ্বে যা কিছু রয়েছে সবই পদার্থ। যেমন- কলম, পানি, গ্যাস ইত্যাদি।
সহজভাবে আমরা বলতে পারি পদার্থের অবস্থা তিনটি কঠিন, তরল, বায়বীয়। কঠিন পদার্থের ভর, আকার, আয়তন নির্দিষ্ট। এর আকারের পরিবর্তন করতে এর
\হউপর নানা কাজ করতে হয়। অন্যদিকে তরলের আয়তন নির্দিষ্ট হলেও আকার নির্দিষ্ট নয়। যখন যে পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। আর বায়বীয় পদার্থের আকার, আয়তন কোনোটিই নির্দিষ্ট নয়। যখন যে পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের আকার এবং আয়তন ধারণ করে।
প্রশ্ন : এল পি গ্যাস কী? কঠিন, তরল ও বায়বীয় পদার্থের দুটি করে ব্যবহার লেখ।
উত্তর : এল. পি. গ্যাস হলো তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস। মূলত এটি বিউটেন এবং প্রোপেনের সমন্বয়। কঠিন, তরল ও বায়বীয় পদার্থের দুটি করে ব্যবহার নিচে দেওয়া হলো-
কঠিন :
(র) ঘরবাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
(রর) যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
তরল :
(র) প্রত্যহ জীবনে নিত্য প্রয়োজনে পানি, তেল ব্যবহৃত হয়।
(রর) মোটর গাড়ির জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
বায়বীয় :
(র) অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়।
(রর) বেলুন ফুলাতে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন : ভরের আন্তর্জাতিক একক কী? কঠিন পদার্থের আকৃতি সবসময় একই থাকে কেন? সমপরিমাণ গ্যাস অপেক্ষা সোনার ঘনত্ব বেশি কেন?
উত্তর: ভরের আন্তর্জাতিক একক হলো কিলোগ্রাম (শম). কঠিন পদার্থসমূহ দঢ় হওয়ায় এদের আকৃতি সবসময় একই থাকে।
সমপরিমাণ গ্যাস অপেক্ষা সোনার ঘনত্ব বেশি কারণ- সোনার পরমাণুর ভর অনেক এবং এরা ঘনভাবে সন্নিবেশিত। অন্যদিকে গ্যাসের অণুগুলো ঘন সন্নিবেশিত নয়, চারদিকে ছড়িয়ে যায়, ফলে সোনা অপেক্ষা গ্যাসের আয়তন বেশি হয়ে থাকে এবং ঘনত্ব আয়তন বৃদ্ধির সাথে হ্রাস পেতে থাকে।