প্রশ্ন:সোয়াইন ফ্লুকে সংক্রামক রোগ কেন বলা হয়?
উত্তর: আক্রান্ত রোগীর মলমূত্র, পরিধেয় কাপড়-চোপড়, ব্যবহার্য থালাবাসন থেকে সোয়াইন ফ্লু রোগ ছড়ায়। তাই সোয়াইন ফ্লুকে সংক্রামক রোগ বলা হয়।
প্রশ্ন:বয়ঃসন্ধিকাল কাকে বলে?
উত্তর: ছেলে ও মেয়েদের যে সময়ে শারীরিক, মানসিক ও আচরণের পরিবর্তন দেখা যায় সে সময়কে বয়ঃসন্ধিকাল বলে।
প্রশ্ন:এইডস রোগটি কিসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়?
উত্তর:এইডস রোগটি এইচআইভি ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
প্রশ্ন:সংক্রামক রোগ প্রতিকারের উপায়গুলো কী?
উত্তর:সংক্রামক রোগ প্রতিকারের উপায় হলো :
১. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া, ২. পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, ৩. প্রচুর পরিমাণ নিরাপদ পানি পান করা ও ৪. প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেব করা।
প্রশ্ন:বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের পরিবর্তনের কারণে দুশ্চিন্তা হলে তুমি কী করবে?
উত্তর:বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের পরিবর্তনের কারণে দুশ্চিন্তা হলে আমি মা-বাবা, শিক্ষক কিংবা বড় ভাই বা বোনের কাছে এ বিষয়ে পরামর্শ নেব।
প্রশ্ন:সংক্রামক রোগ এর কারণ কী কী?
উত্তর: সংক্রামক রোগের কারণ হলো বিভিন্ন ধরনের জীবাণু। যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি।
বর্ণনামূলক প্রশ্ন :
প্রশ্ন:কীভাবে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা যায় তার ৫টি উপায় লেখ।
উত্তর:সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করার ৫টি উপায় হলো :
১. সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
২. নিজেকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণুমুক্ত রাখা।
৩. বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
৪. হাঁচি-কাশির সময় টিসু্য, রুমাল বা হাত দিয়ে মুখ ঢাকা।
৫. সময়মতো প্রয়োজনীয় টিকা গ্রহণ এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করা।
প্রশ্ন:সংক্রামক রোগ কীভাবে ছড়ায় তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বিভিন্ন জীবাণু যেমন : ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি শরীরে প্রবেশের ফলে সৃষ্ট রোগই হলো সংক্রামক রোগ। সংক্রামক রোগ বিভিন্নভাবে ছড়াতে পারে। যেমন-
১. কিছু কিছু রোগ হাঁচি-কাশির মাধ্যমে একজন থেকে আরেক জনে সংক্রমিত হয়। যেমন- সোয়াইন ফ্লু, হাম।
২. সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহারের মাধ্যমে জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। যেমন- ফ্লু, ইবোলা।
৩. মশার মতো পোকামাকড় বা কুকুরের মতো প্রাণীর কামড়ের মাধ্যমে সংক্রামক রোগ ছড়াতে পারে। যেমন- ডেঙ্গু, জলাতঙ্ক। দূষিত খাদ্য ও পানি গ্রহণও সংক্রামক রোগ ছড়ানোর অন্যতম কারণ। যেমন- ডায়রিয়া, কলেরা।
প্রশ্ন:পানি জমে থাকে এমন বস্তু যেমন- গামলা, টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলার মাধ্যমে আমরা ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করতে পারি। এর কারণ কী?
উত্তর: পানি জমে থাকে এমন বস্তু যেমন- গামলা, টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলার মাধ্যমে আমরা ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করতে পারি। কারণ এগুলোতে জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া রোগের বাহক মশা ডিম পাড়ে। তাই ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করতে হলে মশার আবাসস্থলে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। কারণ, জমে থাকা পানিতে এডিস মশা বংশ বৃদ্ধি করে।
প্রশ্ন:পানিবাহিত এবং বায়ুবাহিত রোগের সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্য কোথায়?
উত্তর: পানিবাহিত ও বায়ুবাহিত রোগের সাদৃশ্য নিম্নরূপ :
র. পানিবাহিত ও বায়ুবাহিত উভয় রোগের বাহক প্রয়োজন।
রর. পানিবাহিত ও বায়ুবাহিত উভয় রোগই সংক্রামক রোগ।
ররর. পানিবাহিত ও বায়ুবাহিত উভয় রোগই জীবাণুর মাধ্যমে ছড়ায়।
পানিবাহিত ও বায়ুবাহিত রোগের বৈসাদৃশ্য নিম্নরূপ :
র. বায়ুবাহিত রোগ হলো সে সকল রোগ যা হাঁচি-কাশি বা কথাবার্তা বলার সময় বায়ুতে জীবাণু ছড়ানোর মাধ্যমে হয়ে থাকে। আর পানিবাহিত রোগ হলো সে সকল রোগ যা জীবাণুযুক্ত দূষিত পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে।
রর. বায়ুবাহিত রোগের মধ্যে রয়েছে সোয়াইন ফ্লু, হাম, গুটিবসন্ত, যক্ষ্ণা, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি আর পানিবাহিত রোগের মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয় এবং টাইফয়েড।
প্রশ্ন:হাঁচি-কাশির সময় হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বা রুমাল ব্যবহার করে আমরা সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতে পারি। এক্ষেত্রে হাতের তালু ব্যবহার করার চেয়ে হাতের উল্টো পিঠ বা কনুই এর ভাঁজ ব্যবহার করা ভালো কেন?
উত্তর: হাঁচি-কাশির সময় হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বা রুমাল ব্যবহার করে আমরা সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতে পারি। এক্ষেত্রে হাতের তালু ব্যবহার করার চেয়ে হাতের উল্টো পিঠ বা কনুই এর ভাঁজ ব্যবহার করা ভালো। কারণ, হাঁচি-কাশির সময় হাতের তালু ব্যবহার করলে জীবাণু হাতের তালুতে লেগে যাবে। পরবর্তীতে ঐ হাত দিয়ে খাদ্যদ্রব্য বা নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র স্পর্শ করলে তাতেও জীবাণু লেগে যাবে। ফলে খুব সহজেই জীবাণু সেখান থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে সংক্রমিত হবে। আর হাঁচি-কাশির সময় হাতের উল্টো পিঠ বা কনুইয়ের ভাঁজ ব্যবহার করলে রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা কম থাকে।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়