শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

সবচেয়ে খারাপ ছবি 'কুলি নম্বর ওয়ান'!

বিনোদন ডেস্ক
  ২৯ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০
সবচেয়ে খারাপ ছবি 'কুলি নম্বর ওয়ান'!
বরুন ও সারা

১৯৯৫ সালের পর পুরো ২৫টা বছর কেটে গেছে। আর এই দীর্ঘ সময়ে বহু কিছু বদলে গেছে। বিজ্ঞান থেকে রাজনীতি, ফ্যাশন থেকে ফুড। পাশাপাশি সর্বোপরি বদলেছে মানুষের চিন্তাশক্তি ও রুচিবোধ। কিন্ত বলিউড নির্মাতা ডেভিড ধাওয়ানের ক্ষেত্রে এসব কিছুই প্রযোজ্য নয়। এত বছর পরও বড়দিনে সেই একই গল্প উপহার দিলেন তিনি। শুধু খানিক বদলে গেছে চরিত্রগুলোর মুখ। প্রশ্ন উঠেছে, ২০২০ সালে দাঁড়িয়ে এমন মাথামুন্ডুহীন, উদ্ভট একটি সিনেমা দর্শকরা কেন দেখবে বলতে পারেন? ১৩৪টা মিনিট রীতিমতো নষ্ট কেন করবে? হাস্যরসে ভরা অনেক মজাদার ছবি দর্শককে অতীতে উপহার দিয়েছেন ডেভিড

ধাওয়ান। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তো সিনেমার উপস্থাপনের ধরনেও আমূল পরিবর্তন এসেছে।

সেখানে একটা বস্তাপচা গল্পের গায়ে নতুন করে লিপস্টিক লাগিয়ে আর আধুনিক পোশাক পরিয়ে নামিয়ে দিলে কীভাবে চলবে? হাসির ছবি হিসেবে কেউ যদি ছবির প্রধান পাত্র-পাত্রী বরুণ-সারার কান্ডকারখানা দেখতে বসেন, তাহলে হাসি তো দূর, এতটা সময় নষ্ট হওয়ার জন্য শেষমেশ মেজাজই হারাবেন তিনি- এমনই মন্তব্য অনেক দর্শকের। তাদের বক্তব্য, গল্পে নতুনত্বের ছিটেফোঁটা তো নেই-ই, বরং এক-একটা দৃশ্য দেখে দেওয়ালে মাথা ঠুকতে ইচ্ছা করে। বিশেষ করে চলন্ত ট্রেনের সামনে থেকে শিশুকে বাঁচানোর দৃশ্যটি। ওটিটি পস্ন্যাটফর্মে এখন হাজারো ভালো কনটেন্ট। একে অপরকে পালস্না দিয়ে চলেছে সারাক্ষণ। সেখানে বরুণ ধাওয়ানের 'অতি অভিনয়' দেখার কারণ তো খুঁজে পেলাম না। একজন স্টেশনের কুলি বড়লোকের বাড়ির ছেলের বেশ ধরে নায়িকাকে 'পটিয়ে' বিয়ে করে ফেলছে। আর মেয়ের বাবা সব বুঝেও বুঝতে পারছে না। কখনও শ্বশুরমশাইকে যজম ভাই হয়ে ধন্দে ফেলে দিচ্ছে জামাই তো কখনও মেয়ে সেজে শ্বশুরের সঙ্গেই ফ্লার্ট করছে সে। ২৫ বছর আগে দেখে ফেলা দৃশ্যগুলো ফিরলেও মুখে হাসি ফুটল না।

চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ধরনের ছবি করে আয়ুষ্মান খুরানা, রাজকুমার রাওদের সঙ্গে তিনি কতদূর পালস্না দিতে পারবেন, কে জানে। সারা আলি খান অভিনয় জানেন। তাই মনে হয় তার এবার বাছাই করে ছবি করার সময় এসেছে। পরেশ রাওয়াল, জাভেদ জাফরিরা ডুবন্ত নৌকাকে কোনোক্রমে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু গল্পের গরু গাছে চড়লে তারাই বা আর কী করবেন! ছবির সঙ্গে গানের সিকোয়েন্সের দূর-দূরান্তের কোনও সম্পর্ক নেই।

এত গেল ছবির খারাপ দিক। কিন্তু ভাল দিক কোনটা? জবাবে বেশিরভাগ দর্শকই বলেছেন, নাহ, মাথায় আসছে না। তাই একটাই পরামর্শ। বছর শেষে জীবনের মূল্যবান সময় বাঁচাতে চাইলে 'কুলি নম্বর ওয়ান' দেখার প্রয়োজন নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে