বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
সা ক্ষা ৎ কা র

চরিত্রাভিনেতা হিসেবেই অভিনয় করতে চাই

ছোট ও বড়পর্দা দু'টি মাধ্যমেই সুনাম কুড়িয়েছেন অভিনেতা ইরেশ যাকের। ২০১৫ সালে 'ছুঁয়ে দিলে মন' সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ খলচরিত্র অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। সামনে বৈশাখে তার 'কাজল রেখা' সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। এ অভিনেতার সাম্প্রতিক কাজ নিয়ে কথা বলেছেন....
নতুনধারা
  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
চরিত্রাভিনেতা হিসেবেই অভিনয় করতে চাই

এর মধ্যে নতুন কোন সিনেমায় যুক্ত হলেন?

নতুন সিনেমা বলতে মিঠু খান পরিচারিত 'নীলচক্র' নামে একটি সিনেমায় কাজ করছি। এ ছাড়া আর কোনো সিনেমায় কাজ করছি না আপাতত। তবে এর মধ্যে আমার কয়েকটি সিনেমার কাজ শেষ হয়েছে। এগুলো এখন মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। তার মধ্যে আছে গিয়াসউদ্দিন সেলিমের 'কাজল রেখা', জাহিদুর রহিম অঞ্জনের 'চাঁদের অমাবশ্যা'

বর্তমানের খল চরিত্রের সংকটে আপনাকে এমন চরিত্রে নিয়মিত দেখা যাবে?

ওই 'ছুঁয়ে দিলে মন' পর্যন্তই। লাস্ট কয়েকটি সিনেমা, ওয়েবসিরিজের যেসব চরিত্রে অভিনয় করেছি- ওই অর্থে আমি খল চরিত্রে অভিনয় করিনি। কোনো চরিত্র যদি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় তখনই সেটাতে আমি অভিনয় করি। পজিটিভ নাকি নেগেটিভ সেটা আমার কাছে বিবেচ্য নয়।

তবে কি খলনায়ক হিসেবে কাজ করতে চান না?

না, আমি চরিত্রাভিনেতা হিসেবেই অভিনয় করতে চাই। বিশেষ কোনো চরিত্রে বা খলচরিত্রে নিজেকে সীমাবদ্ধ করতে চাই না। কোনো চরিত্র আমার কাছে চিত্তাকর্ষক মনে হলেই তাতে অভিনয় করি। পজিটিভ নাকি নেগেটিভ আমার কাছে কোনো বিষয় নয়।

অনুদানের এবং তার বাইরের সিনেমা- দু'টিকে কীভাবে দেখেন?

সব সিনেমাকেই ব্যবসায়িকভাবে সফল করার চেষ্টা করা উচিত। কমার্শিয়ালি সাসটেইনবল না হলে কোনো ইন্ডাস্ট্রিই দাঁড়াতে পারে না। অবশ্য অনেক সময় এসব ক্ষেত্রে ইন্টারেস্টিং কাজের সুযোগ হয়। সেটা অবশ্য মনের খোরাকের জন্য। যেহেতু এ ধরনের সিনেমা অনেকেই দেখেন না আর সেটা আপনারাও ভালো করে জানেন। তাছাড়া এখন হলের যে অবস্থা তাতে হলেও আগের মতো বেশিদিন সিনেমা থাকে না। কাজেই সিনেমা নির্দিষ্ট দর্শকের জন্য না হয়ে সবার জন্যই বানানো উচিত। অনুদানের সিনেমা, অফট্র্যাকের সিনেমা- এভাবে কেন সিনেমাকে পার্থক্য করা হবে? সিনেমা তো বানাবে যেটা মানুষ দেখবে সেভাবেই। আমার মনে হয় আমাদের সিনেমাকে ওই রকম জায়গায় যেতে পারাই হবে মঙ্গলজনক।

অভিনয়ের জন্য গল্প নাকি পরিচালক- কোনটাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত?

দেখেন, বাংলাদেশে ভালো নির্মাতা এমনিতেই হাতেগোনা। ভালো নির্মাতা বাছতে গেলে আমাদের জন্য অভিনয় করাই কঠিন হয়ে পড়বে। তবে আমার কাছে প্রথম প্রাইয়রিটি গল্পই। নির্মাতার গুরুত্ব অবশ্যই আছে। কারণ দেখা গেছে, গল্প ভালো হলেও নির্মাতার যে শ্রম, পস্ন্যানিং, পরিকল্পনা ও অনুশীলন লাগে সেটা অনেকের থাকে না। গল্প যতই ভালো হোক যদি বুঝি নির্মাতার ওই স্কিলটা নেই তখন আমার জন্য এটা বিশ্বাস করা কঠিন হবে আমি যে শ্রমটা দেব সে নির্মাতা আমার শ্রমটা নিয়ে ঠিকমতো কিছু করতে পারবে। কারণ, সিনেমা মানেই কম্বিনেশন। ভালো গল্প ও ভালো নির্মাতা দু'টিরই ভালো কম্বিনেশন থাকা উচিত। দেখা গেছে এই স্কিলের অভাবে ভালো গল্পও অনেকের সিনেমায় ভালোভাবে ফুটে ওঠেনি।

অনেকেই বলেন গল্পের অভাবেই ভালো সিনেমা হচ্ছে না?

আমার মনে হয় দু'টিই। আর কে বলেছেন আমাদের ভালো গল্প নেই? আমাদের আশপাশে অনেক ভালো গল্প আছে। অনেক ভালো সাহিত্যিক আছেন। যাদের লেখায় অনেক ভালো ও বিশ্বমানের সিনেমা হতে পারে। কিন্তু সে জন্য যে শ্রম ও মেধার কম্বিনেশন থাকা উচিত সেটা আমাদের নির্মাতাদের অনেকেরই নেই। সমস্যা হচ্ছে আমরা প্রিপ্রোডাকশনে মনোযোগ কম দিই। সিনেমা নির্মাণে আমরা পোস্টপ্রোডাকশনে যে মনোযোগটি দিই সেটা যদি প্রিপ্রোডাকশনে দিতাম তাহলে আমরা বোধ হয় আরও শক্তিশালী কাজ দিতে পারতাম।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে